মাকে কখনো ভেঙে পড়তেও দেখিনি : প্রধানমন্ত্রী

  • Update Time : ০৩:১৮:৪১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ অগাস্ট ২০২৩
  • / 159

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমার মায়ের মুখে কোনো দিন অভাব-অনটনের কথা শুনিনি। চড়াই-উতরাই পেরিয়ে জীবনে মাকে কখনো ভেঙে পড়তেও দেখিনি।

মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) সকালে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবের ৯৩তম জন্মবার্ষিকী উদ্‌যাপন ও পদক প্রদান অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আব্বা একটানা দুই বছর জেলের বাইরে ছিলেন কি না, আমি জানি না; কিন্তু মাকে কখনো হতাশ হতে দেখিনি। সব সময় ঘর-সংসার সামাল দিতেন।

তিনি বলেন, আমার মায়ের মুখে কোনো দিন অভাব-অনটনের কথা শুনিনি। তিনি একটা সাহস নিয়ে চলতেন। দলের ভেতরে সমস্যা দেখা দেয়। যখন মওলানা ভাসানী দল ছেড়ে চলে যান, তখন দলের দায়িত্ব নেওয়ার জন্য আমার বাবা মন্ত্রিত্ব ছেড়ে দেন। আম্মা এ ব্যাপারে কোনো দিন অভিযোগ-অনুযোগ করেননি। তিনি হাসিমুখে মেনে নিয়েছেন। সব সময় স্বামীর পাশে থাকতেন। চড়াই-উতরাই পেরিয়ে জীবনে মাকে কখনো ভেঙে পড়তে দেখিনি।

শেখ হাসিনা বলেন, ১৫ আগস্ট ঘাতকের দল শুধু রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবকে হত্যা করেনি, হত্যা করেছে আমার মা, ভাই ও তাদের নববধূদের। পরিবারের ১৮ জন সদস্যকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ দেশের ৯০ ভাগ মানুষ দরিদ্র ছিল। প্রায় ৮০ ভাগ মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে বাস করত। তাদের ক্ষুধার অন্ন জোগাতে পারত না। চিকিৎসা পেত না। তাদের থাকার কোনো ঘর ছিল না। এই বঞ্চিত মানুষের ভাগ্য গড়ে তোলা, এটাই ছিল জাতির পিতার একমাত্র লক্ষ্য ও সাধনা।

তিনি আরও বলেন, ১৯৬০ সালে বের হলেন, আবার ৬২ সালে গ্রেপ্তার হন, ৬৪ সালে আবার গ্রেপ্তার হন, আবার ৬৬ সালে। জেলাখানায় মা যখন আব্বার সঙ্গে দেখা করতে যেতেন, তখন বলতেন–তোমার ঘর-সংসার নিয়ে কোনো চিন্তা করতে হবে না, সেটা আমি দেখব। আব্বা কারাগারে থাকলে দলের কাজও তিনি করতেন।

মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রীর ফজিলাতুন্নেসা ইন্দিরার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমা মোবারেক।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


মাকে কখনো ভেঙে পড়তেও দেখিনি : প্রধানমন্ত্রী

Update Time : ০৩:১৮:৪১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ অগাস্ট ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমার মায়ের মুখে কোনো দিন অভাব-অনটনের কথা শুনিনি। চড়াই-উতরাই পেরিয়ে জীবনে মাকে কখনো ভেঙে পড়তেও দেখিনি।

মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) সকালে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবের ৯৩তম জন্মবার্ষিকী উদ্‌যাপন ও পদক প্রদান অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আব্বা একটানা দুই বছর জেলের বাইরে ছিলেন কি না, আমি জানি না; কিন্তু মাকে কখনো হতাশ হতে দেখিনি। সব সময় ঘর-সংসার সামাল দিতেন।

তিনি বলেন, আমার মায়ের মুখে কোনো দিন অভাব-অনটনের কথা শুনিনি। তিনি একটা সাহস নিয়ে চলতেন। দলের ভেতরে সমস্যা দেখা দেয়। যখন মওলানা ভাসানী দল ছেড়ে চলে যান, তখন দলের দায়িত্ব নেওয়ার জন্য আমার বাবা মন্ত্রিত্ব ছেড়ে দেন। আম্মা এ ব্যাপারে কোনো দিন অভিযোগ-অনুযোগ করেননি। তিনি হাসিমুখে মেনে নিয়েছেন। সব সময় স্বামীর পাশে থাকতেন। চড়াই-উতরাই পেরিয়ে জীবনে মাকে কখনো ভেঙে পড়তে দেখিনি।

শেখ হাসিনা বলেন, ১৫ আগস্ট ঘাতকের দল শুধু রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবকে হত্যা করেনি, হত্যা করেছে আমার মা, ভাই ও তাদের নববধূদের। পরিবারের ১৮ জন সদস্যকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ দেশের ৯০ ভাগ মানুষ দরিদ্র ছিল। প্রায় ৮০ ভাগ মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে বাস করত। তাদের ক্ষুধার অন্ন জোগাতে পারত না। চিকিৎসা পেত না। তাদের থাকার কোনো ঘর ছিল না। এই বঞ্চিত মানুষের ভাগ্য গড়ে তোলা, এটাই ছিল জাতির পিতার একমাত্র লক্ষ্য ও সাধনা।

তিনি আরও বলেন, ১৯৬০ সালে বের হলেন, আবার ৬২ সালে গ্রেপ্তার হন, ৬৪ সালে আবার গ্রেপ্তার হন, আবার ৬৬ সালে। জেলাখানায় মা যখন আব্বার সঙ্গে দেখা করতে যেতেন, তখন বলতেন–তোমার ঘর-সংসার নিয়ে কোনো চিন্তা করতে হবে না, সেটা আমি দেখব। আব্বা কারাগারে থাকলে দলের কাজও তিনি করতেন।

মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রীর ফজিলাতুন্নেসা ইন্দিরার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমা মোবারেক।