জাহাজ নির্মাণ খাতে নেদারল্যান্ডসকে জমি দেয়ার প্রস্তাব

  • Update Time : ১০:১৯:৩৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৪ অগাস্ট ২০২৩
  • / 133

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নেদারল্যান্ডসকে দেশের জাহাজ নির্মাণ খাতে বিনিয়োগের আহবান জানিয়ে জমি দেয়ার প্রস্তাব করেছেন। তিনি বলেন, “আপনি (নেদারল্যান্ডস) যদি চান, তবে আমরা আপনাকে (বাংলাদেশে) ড্রাইডকের জন্য জায়গা দিতে পারি।”

বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে বাংলাদেশে নেদারল্যান্ডসের বিদায়ী রাষ্ট্রদূত অ্যান ভ্যান লিউয়েন বিদায়ী সাক্ষাতে এলে প্রধানমন্ত্রী একথা বলেন।

বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের বলেন, বৈঠকে উভয়েই দুই দেশের বিদ্যমান দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে সন্তোষ প্রকাশ এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নে বাংলাদেশ ও নেদারল্যান্ডসের মধ্যে সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। ডেল্টা প্ল্যান-২১০০, জলবায়ু পরিবর্তন এবং বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতিসহ বিভিন্ন বিষয় আলোচনায় উঠে আসে। খবর বাসসের।

এসময় বিদায়ী রাষ্ট্রদূত বলেন, এখানে কাজ করতে পেরে তিনি খুশি। তিনি যোগ করেন, “বাংলাদেশ আমার হৃদয়ে থাকবে।”

ডেল্টা প্ল্যান একটি চমৎকার পরিকল্পনা এবং এটি বাস্তবায়নে নেদারল্যান্ডস বাংলাদেশকে সহায়তা দেবে উল্লেখ করে লিউয়েন বলেন, পানি ব্যবস্থাপনা, কৃষি উন্নয়ন এবং আইসিটি বিষয়ে অভিজ্ঞতা বিনিময়ের মাধ্যমে বাংলাদেশ উপকৃত হতে পারে, কারণ এসব খাতে নেদারল্যান্ডের যথেষ্ট দক্ষতা রয়েছে। আগামী দিনে দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও গভীর ও শক্তিশালী হবে বলে আশা প্রকাশ করেন ডাচ রাষ্ট্রদূত।

শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ নেদারল্যান্ডসের মতো জমি পুনরুদ্ধার করতে চায়। জলবায়ু পরিবর্তন ইস্যুতে আলোচনাকালে তিনি বলেন, ঘূর্ণিঝড় ও বন্যার মধ্যেও বাংলাদেশকে টিকে থাকতে হবে।

তিনি আরও বলেন, আমাদের জলবায়ু পরিবর্তনকে কার্যকরভাবে মোকাবিলা করতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৯১ সালের ঘূর্ণিঝড়ে বিপুল সংখ্যক মানুষ মারা গিয়েছিল। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশে প্রথমে ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র নির্মাণ করেন এবং পরে তার সরকার এই কর্মসূচির প্রসার ঘটায়।

বৈশ্বিক পরিস্থিতি সম্পর্কে শেখ হাসিনা বলেন, ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বাংলাদেশের মতো দেশগুলো অর্থনৈতিক চাপের মধ্যে রয়েছে।

অ্যাম্বাসেডর এ্যাট-লার্জ মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন এবং প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া উপস্থিত ছিলেন।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


জাহাজ নির্মাণ খাতে নেদারল্যান্ডসকে জমি দেয়ার প্রস্তাব

Update Time : ১০:১৯:৩৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৪ অগাস্ট ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নেদারল্যান্ডসকে দেশের জাহাজ নির্মাণ খাতে বিনিয়োগের আহবান জানিয়ে জমি দেয়ার প্রস্তাব করেছেন। তিনি বলেন, “আপনি (নেদারল্যান্ডস) যদি চান, তবে আমরা আপনাকে (বাংলাদেশে) ড্রাইডকের জন্য জায়গা দিতে পারি।”

বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে বাংলাদেশে নেদারল্যান্ডসের বিদায়ী রাষ্ট্রদূত অ্যান ভ্যান লিউয়েন বিদায়ী সাক্ষাতে এলে প্রধানমন্ত্রী একথা বলেন।

বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের বলেন, বৈঠকে উভয়েই দুই দেশের বিদ্যমান দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে সন্তোষ প্রকাশ এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নে বাংলাদেশ ও নেদারল্যান্ডসের মধ্যে সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। ডেল্টা প্ল্যান-২১০০, জলবায়ু পরিবর্তন এবং বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতিসহ বিভিন্ন বিষয় আলোচনায় উঠে আসে। খবর বাসসের।

এসময় বিদায়ী রাষ্ট্রদূত বলেন, এখানে কাজ করতে পেরে তিনি খুশি। তিনি যোগ করেন, “বাংলাদেশ আমার হৃদয়ে থাকবে।”

ডেল্টা প্ল্যান একটি চমৎকার পরিকল্পনা এবং এটি বাস্তবায়নে নেদারল্যান্ডস বাংলাদেশকে সহায়তা দেবে উল্লেখ করে লিউয়েন বলেন, পানি ব্যবস্থাপনা, কৃষি উন্নয়ন এবং আইসিটি বিষয়ে অভিজ্ঞতা বিনিময়ের মাধ্যমে বাংলাদেশ উপকৃত হতে পারে, কারণ এসব খাতে নেদারল্যান্ডের যথেষ্ট দক্ষতা রয়েছে। আগামী দিনে দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও গভীর ও শক্তিশালী হবে বলে আশা প্রকাশ করেন ডাচ রাষ্ট্রদূত।

শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ নেদারল্যান্ডসের মতো জমি পুনরুদ্ধার করতে চায়। জলবায়ু পরিবর্তন ইস্যুতে আলোচনাকালে তিনি বলেন, ঘূর্ণিঝড় ও বন্যার মধ্যেও বাংলাদেশকে টিকে থাকতে হবে।

তিনি আরও বলেন, আমাদের জলবায়ু পরিবর্তনকে কার্যকরভাবে মোকাবিলা করতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৯১ সালের ঘূর্ণিঝড়ে বিপুল সংখ্যক মানুষ মারা গিয়েছিল। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশে প্রথমে ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র নির্মাণ করেন এবং পরে তার সরকার এই কর্মসূচির প্রসার ঘটায়।

বৈশ্বিক পরিস্থিতি সম্পর্কে শেখ হাসিনা বলেন, ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বাংলাদেশের মতো দেশগুলো অর্থনৈতিক চাপের মধ্যে রয়েছে।

অ্যাম্বাসেডর এ্যাট-লার্জ মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন এবং প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া উপস্থিত ছিলেন।