অনিয়ম হলে ভোট বন্ধ করে দেব: সিইসি

  • Update Time : ১০:২১:২৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ জুন ২০২৩
  • / 164

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে আচরণবিধি কঠোরভাবে প্রয়োগের চেষ্টা করব। অনিয়ম হলে ভোট বন্ধ করে দেব।

মঙ্গলবার নির্বাচন ভবনে সিইসির সম্মেলন কক্ষে নির্বাচনের আট প্রার্থীকে নিয়ে আচরণবিধি প্রতিপালন বিষয়ক সভায় তিনি এমন হুঁশিয়ারি দেন।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, আমরা আচরণবিধি প্রতিপালনের বিষয়টির জন্য আপনাদের ডেকেছি। আমরা কোনভাবেই চাই না আচরণবিধি ভঙ্গ হোক। আমরা আশা করি সেটা হবে না। অনেক সময় অজ্ঞতাবশত আচরণবিধি লঙ্ঘন হয়। অতি উৎসাহী হয়ে কিছু কিছু কর্ম করে ফেলেন আচরণবিধি ভঙ্গজনিত।

তিনি আরও বলেন, আচরণবিধি কঠোরভাবে প্রয়োগের চেষ্টা করব। অতীতেও আমরা এ চেষ্টা করেছি। ক্ষেত্র বিশেষে আমরা প্রার্থিতাও বাতিল করেছি। ওই রকম কোনো ঘটনা আশা করি ঘটবে না। আপনারাও সচেতন। আপনারা সংসদ সদস্য হয়ে আইন প্রণয়ন করবেন। আইনের প্রতি শ্রদ্ধশীল হবেন। এটা একান্ততভাবে কাম্য। কোনোভাবে সহিংস মনোভাব না দেখিয়ে সহিষ্ণু হবেন আপনারা।

কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, আমরা নির্বাচন সিসিটিভি দিয়ে নিবিড়ভাবে মনিটর করব। অনেকে পেশিশক্তি লাগিয়ে ব্যালটে সিল দিয়ে স্টাপিং করতে থাকেন। সেটা কিন্তু করবেন না। এমনও হতে পারে আমরা চিহ্নিত করতে পারলাম না। সেক্ষেত্রে আমরা টোটাল ভোট বন্ধ করে দিতে পারব। যদি বুঝি এটা ব্যাপকভাবে হচ্ছে। এজন্য সার্বিক ভোট বিপন্ন হবে. বাধাগ্রস্ত হবে। জনগণের মতামতের প্রতিফলন ঘটবে না। এটা আমাদের কাছে প্রতীয়মান হলে সম্পূর্ণ ভোট বন্ধ করে দিতে বাধ্য হবো।

সভায় অন্যদের মধ্যে নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর ও রাশেদা সুলতানা, জাতীয় পার্টির প্রার্থী সিকদার আনিসুর রহমান, জাকের পার্টির কাজী মো. রাশিদুল হাসান, মুক্তিজোটের মো. আকতার হোসেন, বাংলাদেশ কংগ্রেসের রেজাউল করিম স্বপন, তৃণমূল বিএনপির শেখ হাবিবুর রহমান, স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আশরাফুল হোসেন আলম (হিরো আলম) ও তরিকুল ইসলাম ভুঞা উপস্থিত ছিলেন।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


অনিয়ম হলে ভোট বন্ধ করে দেব: সিইসি

Update Time : ১০:২১:২৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ জুন ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে আচরণবিধি কঠোরভাবে প্রয়োগের চেষ্টা করব। অনিয়ম হলে ভোট বন্ধ করে দেব।

মঙ্গলবার নির্বাচন ভবনে সিইসির সম্মেলন কক্ষে নির্বাচনের আট প্রার্থীকে নিয়ে আচরণবিধি প্রতিপালন বিষয়ক সভায় তিনি এমন হুঁশিয়ারি দেন।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, আমরা আচরণবিধি প্রতিপালনের বিষয়টির জন্য আপনাদের ডেকেছি। আমরা কোনভাবেই চাই না আচরণবিধি ভঙ্গ হোক। আমরা আশা করি সেটা হবে না। অনেক সময় অজ্ঞতাবশত আচরণবিধি লঙ্ঘন হয়। অতি উৎসাহী হয়ে কিছু কিছু কর্ম করে ফেলেন আচরণবিধি ভঙ্গজনিত।

তিনি আরও বলেন, আচরণবিধি কঠোরভাবে প্রয়োগের চেষ্টা করব। অতীতেও আমরা এ চেষ্টা করেছি। ক্ষেত্র বিশেষে আমরা প্রার্থিতাও বাতিল করেছি। ওই রকম কোনো ঘটনা আশা করি ঘটবে না। আপনারাও সচেতন। আপনারা সংসদ সদস্য হয়ে আইন প্রণয়ন করবেন। আইনের প্রতি শ্রদ্ধশীল হবেন। এটা একান্ততভাবে কাম্য। কোনোভাবে সহিংস মনোভাব না দেখিয়ে সহিষ্ণু হবেন আপনারা।

কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, আমরা নির্বাচন সিসিটিভি দিয়ে নিবিড়ভাবে মনিটর করব। অনেকে পেশিশক্তি লাগিয়ে ব্যালটে সিল দিয়ে স্টাপিং করতে থাকেন। সেটা কিন্তু করবেন না। এমনও হতে পারে আমরা চিহ্নিত করতে পারলাম না। সেক্ষেত্রে আমরা টোটাল ভোট বন্ধ করে দিতে পারব। যদি বুঝি এটা ব্যাপকভাবে হচ্ছে। এজন্য সার্বিক ভোট বিপন্ন হবে. বাধাগ্রস্ত হবে। জনগণের মতামতের প্রতিফলন ঘটবে না। এটা আমাদের কাছে প্রতীয়মান হলে সম্পূর্ণ ভোট বন্ধ করে দিতে বাধ্য হবো।

সভায় অন্যদের মধ্যে নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর ও রাশেদা সুলতানা, জাতীয় পার্টির প্রার্থী সিকদার আনিসুর রহমান, জাকের পার্টির কাজী মো. রাশিদুল হাসান, মুক্তিজোটের মো. আকতার হোসেন, বাংলাদেশ কংগ্রেসের রেজাউল করিম স্বপন, তৃণমূল বিএনপির শেখ হাবিবুর রহমান, স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আশরাফুল হোসেন আলম (হিরো আলম) ও তরিকুল ইসলাম ভুঞা উপস্থিত ছিলেন।