ঈদে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব বাড়তে পারে: তাজুল ইসলাম

  • Update Time : ০৬:৩৮:৪৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ জুন ২০২৩
  • / 142

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

কোরবানির ঈদের ছুটিতে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব যাতে না বাড়ে সেজন্য সবাইকে সচেতন থাকার আহ্বান জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।

কোরবানির ঈদের ছুটিতে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব বাড়তে পারে উল্লেখ করে তিনি বলেন, মানুষ ঈদের ছুটিতে নানা জায়গায় বেড়াতে যাওয়ার ফলে বিভিন্ন স্থানে জমাকৃত পানিতে এডিস মশার লার্ভা জন্মাতে পারে। সেজন্য ঢাকাসহ দেশবাসীকে সচেতন থাকতে হবে।

সারা দেশে মশাবাহিত রোগ প্রতিরোধে সিটি করপোরেশন ও অন্যান্য মন্ত্রণালয়, বিভাগ, দপ্তর ও সংস্থার কার্যক্রম পর্যালোচনায় বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে এক আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় স্থানীয় সরকারমন্ত্রী এ আহ্বান জানান।
মন্ত্রী বলেন, ডেঙ্গু মোকাবেলায় স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সব ধরনের পদক্ষেপ নেয়ায় এবার এই ভাইরাসজনিত রোগে আক্রান্তের সংখ্যা অন্যান্য দেশের তুলনায় কম।

সিঙ্গাপুরে গত ছয় মাসে ৩ হাজার ৫৯৫ জন আক্রান্ত হয়েছে এবং ইন্দোনেশিয়ায় ৩৫ হাজার আক্রান্ত হয়েছে। তবে বর্তমান ডেংগু পরিস্থিতিতে সন্তুষ্টির কোনো কারণ নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘একটি লোকও যদি আক্রান্ত না হত, একজন লোকও যদি মারা না যেত, তাহলে আমি সন্তুষ্ট হতাম।’

সভায় মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা সে লক্ষ্যেই কাজ করি- একটা লোকও মৃত্যুবরণ না করুক, আর আক্রান্ত না হোক। কিন্তু অসন্তুষ্টি নিয়ে আমাদের বসে থাকলে হবে না, আমাদের ডেংগু প্রতিরোধে কাজ করতে হবে।’

কোরবানির ঈদের সময় ডেংগুর প্রাদুর্ভাব বাড়তে পারে জানিয়ে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, সিটি করপোরেশনের নিবিড়ভাবে মশক নিধনের জন্য যে টিম আছে সে টিমকে কাজে লাগাতে হবে। তাদের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ কীটনাশক ওষুধ রাখা আছে, সেগুলোকে ব্যবহার করবে। পর্যাপ্ত পরিমাণ যন্ত্র কেনা আছে। সিটি করপোরেশনে তিন হাজার করে লোকবল নিয়োগ দেওয়া আছে। ভ্রাম্যমাণ আদালত চালাতে ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা হয়েছে।

এ বছর ডেংগুতে আক্রান্ত হয়ে যারা মারা গেছেন, তাদের শরীরে আগে থেকেই অন্য কোনো জটিল রোগ ছিল কিনা, তা পর্যালোচনা করে দেখা হবে বলে জানান মোঃ তাজুল ইসলাম।

তিনি বলেন, ডেংগু ছাড়া এদের অন্য কোনো রোগ ছিল না সেগুলো যাচাই করা হবে। ক্যান্সারে আক্রান্ত ছিল কিনা, আগে থেকেই মৃত্যুপথযাত্রী ছিল কিনা, এগুলো নজরে আনতে হবে। আমাদের জানতে হবে কোথায় ঘাটতি আছে।
দেশবাসীর উদ্দেশ্যে মো. তাজুল ইসলাম বলেন, ঈদের সময় আঙ্গিনায় কোরবানির বর্জ্য পরিষ্কার করে নেবেন। বাড়ির ছাদ, এয়ারকন্ডিশনার ও ফ্রিজের নিচে যেন পানি জমা না থাকে। ঈদে বাড়ি গেলে কমোডের ঢাকনা বন্ধ করে যাবেন।

তিনি বলেন, টায়ার, টিউবসহ যেসব জায়গায় পানি জমে থাকতে পারে সেখানে এডিস মশার জন্ম হতে পারে, সেসব জায়গায় যেন পানি জমে থাকতে না পারে। কারণ তিন দিনের জমা পানিতে এডিস মশার ডিম থেকে লার্ভার জন্ম হয়। তিন দিনের ভেতর যদি জমা পানি ফেলে দেই তাহলে এডিস মশা থেকে রক্ষা পেতে পারি।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


ঈদে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব বাড়তে পারে: তাজুল ইসলাম

Update Time : ০৬:৩৮:৪৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ জুন ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

কোরবানির ঈদের ছুটিতে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব যাতে না বাড়ে সেজন্য সবাইকে সচেতন থাকার আহ্বান জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।

কোরবানির ঈদের ছুটিতে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব বাড়তে পারে উল্লেখ করে তিনি বলেন, মানুষ ঈদের ছুটিতে নানা জায়গায় বেড়াতে যাওয়ার ফলে বিভিন্ন স্থানে জমাকৃত পানিতে এডিস মশার লার্ভা জন্মাতে পারে। সেজন্য ঢাকাসহ দেশবাসীকে সচেতন থাকতে হবে।

সারা দেশে মশাবাহিত রোগ প্রতিরোধে সিটি করপোরেশন ও অন্যান্য মন্ত্রণালয়, বিভাগ, দপ্তর ও সংস্থার কার্যক্রম পর্যালোচনায় বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে এক আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় স্থানীয় সরকারমন্ত্রী এ আহ্বান জানান।
মন্ত্রী বলেন, ডেঙ্গু মোকাবেলায় স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সব ধরনের পদক্ষেপ নেয়ায় এবার এই ভাইরাসজনিত রোগে আক্রান্তের সংখ্যা অন্যান্য দেশের তুলনায় কম।

সিঙ্গাপুরে গত ছয় মাসে ৩ হাজার ৫৯৫ জন আক্রান্ত হয়েছে এবং ইন্দোনেশিয়ায় ৩৫ হাজার আক্রান্ত হয়েছে। তবে বর্তমান ডেংগু পরিস্থিতিতে সন্তুষ্টির কোনো কারণ নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘একটি লোকও যদি আক্রান্ত না হত, একজন লোকও যদি মারা না যেত, তাহলে আমি সন্তুষ্ট হতাম।’

সভায় মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা সে লক্ষ্যেই কাজ করি- একটা লোকও মৃত্যুবরণ না করুক, আর আক্রান্ত না হোক। কিন্তু অসন্তুষ্টি নিয়ে আমাদের বসে থাকলে হবে না, আমাদের ডেংগু প্রতিরোধে কাজ করতে হবে।’

কোরবানির ঈদের সময় ডেংগুর প্রাদুর্ভাব বাড়তে পারে জানিয়ে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, সিটি করপোরেশনের নিবিড়ভাবে মশক নিধনের জন্য যে টিম আছে সে টিমকে কাজে লাগাতে হবে। তাদের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ কীটনাশক ওষুধ রাখা আছে, সেগুলোকে ব্যবহার করবে। পর্যাপ্ত পরিমাণ যন্ত্র কেনা আছে। সিটি করপোরেশনে তিন হাজার করে লোকবল নিয়োগ দেওয়া আছে। ভ্রাম্যমাণ আদালত চালাতে ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা হয়েছে।

এ বছর ডেংগুতে আক্রান্ত হয়ে যারা মারা গেছেন, তাদের শরীরে আগে থেকেই অন্য কোনো জটিল রোগ ছিল কিনা, তা পর্যালোচনা করে দেখা হবে বলে জানান মোঃ তাজুল ইসলাম।

তিনি বলেন, ডেংগু ছাড়া এদের অন্য কোনো রোগ ছিল না সেগুলো যাচাই করা হবে। ক্যান্সারে আক্রান্ত ছিল কিনা, আগে থেকেই মৃত্যুপথযাত্রী ছিল কিনা, এগুলো নজরে আনতে হবে। আমাদের জানতে হবে কোথায় ঘাটতি আছে।
দেশবাসীর উদ্দেশ্যে মো. তাজুল ইসলাম বলেন, ঈদের সময় আঙ্গিনায় কোরবানির বর্জ্য পরিষ্কার করে নেবেন। বাড়ির ছাদ, এয়ারকন্ডিশনার ও ফ্রিজের নিচে যেন পানি জমা না থাকে। ঈদে বাড়ি গেলে কমোডের ঢাকনা বন্ধ করে যাবেন।

তিনি বলেন, টায়ার, টিউবসহ যেসব জায়গায় পানি জমে থাকতে পারে সেখানে এডিস মশার জন্ম হতে পারে, সেসব জায়গায় যেন পানি জমে থাকতে না পারে। কারণ তিন দিনের জমা পানিতে এডিস মশার ডিম থেকে লার্ভার জন্ম হয়। তিন দিনের ভেতর যদি জমা পানি ফেলে দেই তাহলে এডিস মশা থেকে রক্ষা পেতে পারি।