বায়ুদূষণ কমাতে অত্যাধুনিক মেশিন দিয়ে পানি ছিটাচ্ছে ডিএনসিসি

  • Update Time : ০৫:৫৮:১০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৩
  • / 147

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ 

ঢাকা শহরে বায়ুদূষণ কমাতে ধুলাবালি নিবারণে ঢাকা উত্তর সিটিকর্পোরেশন (ডিএনসিসি) অত্যাধুনিক স্প্রে ক্যাননের মাধ্যমে পানি ছিটাচ্ছে।

দুটি স্প্রে ক্যানন ডিএনসিসি এলাকার মহাসড়কে পানি ছিটানোর কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে। ডিএনসিসির আওতাধীন পুরো এলাকার মহাসড়ককে দু’ভাগে ভাগ করে একদিন পর পর অত্যাধুনিক প্রযুক্তির এ দু’টি মেশিন দিয়ে পানি ছিটানো হচ্ছে।

এ গাড়িতে মূলত বায়ুদূষণ কমাতে স্প্রে করে পানি ছিটানো হয়। প্রতিটি গাড়িতে ১৫ হাজার লিটার পানি ধরে এবং একটানা ৫ ঘণ্টা ব্যাপী স্প্রে করতে পারে। এছাড়া রাস্তা ভেজানোর জন্যও রয়েছে স্প্রিং লেয়ার সিস্টেম।

বনানী নেভি গেইট থেকে সকালে স্প্রের কাজ শুরু করে ক্যানন-১। এয়ারপোর্ট, উত্তরা হাউস বিল্ডিং হয়ে আবার বনানী কবরস্থান এলাকায় এসে কাজ শেষ করে।

অন্যদিকে ক্যানন-২ মিরপুর রোড/মাজার রোড সিগন্যাল থেকে স্প্রের কাজ শুরু করে। এরপর গণভবন এলাকায়, মানিক মিয়া এভিনিউ, বিজয় স্মরণি, জাহাঙ্গীর গেট, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, ফার্মগেট, কারওয়ানবাজার, মগবাজার হয়ে গাবতলী গিয়ে পানি ছিটানো শেষ করে।

মহাসড়ক ছাড়াও ডিএনসিসি এলাকার অন্যান্য সড়কগুলোতে ১০টি ওয়াটার ব্রাউজার (পানি ছিটানোর মেশিন) দিয়ে প্রতিদিন সকালে ও বিকালে দুইবার পানি ছিটানো হয়। শীতকালে ধুলাবালির পরিমাণ বেশি থাকায় পানি ছিটানোর কাজ চলমান থাকবে।

উল্লেখ্য, নির্মাণাধীন সড়কে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে বেশি পরিমাণ পানি ছিটানো হয়। এছাড়াও অন্যান্য সংস্থা এবং মেট্রোরেল, বিআরটি, এক্সপ্রেসওয়েসহ অন্যান্য চলমান প্রকল্প ও যেকোনো ভবন নির্মাণের সময় ধুলাবালি সৃষ্টি হয়ে যেন বায়ু দূষণ ও পরিবেশের ক্ষতি না হয় সেজন্য সমন্বয় সভায় নির্মাণ সামগ্রী ঢেকে রেখে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার জন্য ডিএনসিসির পক্ষ থেকে আহবান জানানো হয়।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


বায়ুদূষণ কমাতে অত্যাধুনিক মেশিন দিয়ে পানি ছিটাচ্ছে ডিএনসিসি

Update Time : ০৫:৫৮:১০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ 

ঢাকা শহরে বায়ুদূষণ কমাতে ধুলাবালি নিবারণে ঢাকা উত্তর সিটিকর্পোরেশন (ডিএনসিসি) অত্যাধুনিক স্প্রে ক্যাননের মাধ্যমে পানি ছিটাচ্ছে।

দুটি স্প্রে ক্যানন ডিএনসিসি এলাকার মহাসড়কে পানি ছিটানোর কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে। ডিএনসিসির আওতাধীন পুরো এলাকার মহাসড়ককে দু’ভাগে ভাগ করে একদিন পর পর অত্যাধুনিক প্রযুক্তির এ দু’টি মেশিন দিয়ে পানি ছিটানো হচ্ছে।

এ গাড়িতে মূলত বায়ুদূষণ কমাতে স্প্রে করে পানি ছিটানো হয়। প্রতিটি গাড়িতে ১৫ হাজার লিটার পানি ধরে এবং একটানা ৫ ঘণ্টা ব্যাপী স্প্রে করতে পারে। এছাড়া রাস্তা ভেজানোর জন্যও রয়েছে স্প্রিং লেয়ার সিস্টেম।

বনানী নেভি গেইট থেকে সকালে স্প্রের কাজ শুরু করে ক্যানন-১। এয়ারপোর্ট, উত্তরা হাউস বিল্ডিং হয়ে আবার বনানী কবরস্থান এলাকায় এসে কাজ শেষ করে।

অন্যদিকে ক্যানন-২ মিরপুর রোড/মাজার রোড সিগন্যাল থেকে স্প্রের কাজ শুরু করে। এরপর গণভবন এলাকায়, মানিক মিয়া এভিনিউ, বিজয় স্মরণি, জাহাঙ্গীর গেট, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, ফার্মগেট, কারওয়ানবাজার, মগবাজার হয়ে গাবতলী গিয়ে পানি ছিটানো শেষ করে।

মহাসড়ক ছাড়াও ডিএনসিসি এলাকার অন্যান্য সড়কগুলোতে ১০টি ওয়াটার ব্রাউজার (পানি ছিটানোর মেশিন) দিয়ে প্রতিদিন সকালে ও বিকালে দুইবার পানি ছিটানো হয়। শীতকালে ধুলাবালির পরিমাণ বেশি থাকায় পানি ছিটানোর কাজ চলমান থাকবে।

উল্লেখ্য, নির্মাণাধীন সড়কে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে বেশি পরিমাণ পানি ছিটানো হয়। এছাড়াও অন্যান্য সংস্থা এবং মেট্রোরেল, বিআরটি, এক্সপ্রেসওয়েসহ অন্যান্য চলমান প্রকল্প ও যেকোনো ভবন নির্মাণের সময় ধুলাবালি সৃষ্টি হয়ে যেন বায়ু দূষণ ও পরিবেশের ক্ষতি না হয় সেজন্য সমন্বয় সভায় নির্মাণ সামগ্রী ঢেকে রেখে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার জন্য ডিএনসিসির পক্ষ থেকে আহবান জানানো হয়।