সন্ত্রাস দমনে বাংলাদেশ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে জানিয়ে আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা বলেছেন, আলফা জঙ্গিদের ভারতের হাতে তুলে দেওয়ায় আসাম বিচ্ছিন্নতাবাদ ও চরমপন্থি থেকে মুক্ত হয়েছে। এজন্য বাংলাদেশের কাছে বিশেষভাবে কৃতজ্ঞ আমরা।
এসময় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানান তিনি।
শনিবার (৫ জুন) স্থানীয় একটি ইংরেজি দৈনিক আয়োজিত অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত। তিনি বলেন, করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেই আমি বাংলাদেশ যেতে চাই।
সেই সঙ্গে তিনি আরও জানান, বাংলাদেশের সঙ্গে উন্নয়ন সংক্রান্ত বেশ কয়েকটি আর্থিক প্রকল্প বাস্তবায়ন করার পরিকল্পনা রয়েছে আসাম সরকারের। করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হলেই তিনি ঢাকা সফরে যাবেন।
হিমন্ত বিশ্বশর্মা আসামের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে অভিনন্দন বার্তা পাঠান এবং বাংলাদেশের আর্থিক প্রগতিকে কাজে লাগিয়ে উন্নয়নমূলক প্রকল্প গড়ে তোলার আহ্বান জানান। আসামের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর গত বুধবার প্রথম দিল্লিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠক করেন হিমন্ত। সেই আলোচনায় বাংলাদেশ প্রসঙ্গ এসেছে বলে মনে করা হচ্ছে।
দুই দেশের বাণিজ্যিক সম্পর্ক নিয়ে তিনি বলেন, ভারতের উত্তর-পূর্ব স্থলভাগ থেকে বিচ্ছিন্ন বলে বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে ট্রানজিট অত্যন্ত জরুরি। সেই কারণেই আমাদের সঙ্গে বাংলাদেশের উন্নয়নের ক্ষেত্রে সহযোগিতা গড়ে তুলতে হবে। চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দর সম্পূর্ণ ব্যবহার করতে পারলে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দ্বার উন্মুক্ত হবে।
মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বলেন, এনআরসি ট্রাইব্যুনাল বিদেশি বা বাংলাদেশি নাগরিকদের চিহ্নিত করবে। চিহ্নিতদের বাংলাদেশে ফিরতে হবে। কেন্দ্র বিষয়টিকে বাংলাদেশকে বোঝাতে পারবে বলেই মনে করি। যতদিন পর্যন্ত সেই প্রক্রিয়া সম্পন্ন না হচ্ছে, ততদিন সেসব বিদেশির ভোটাধিকার স্থগিত থাকবে। তবে নাগরিক হিসাবে অন্য যেসব সুযোগ সুবিধা রয়েছে, তারা সেগুলো পাবেন।