পশ্চিমবঙ্গে ভোট পরবর্তী রাজনৈতিক সহিংসতা অব্যাহত

  • Update Time : ০৫:৪৫:২৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৭ মে ২০২১
  • / 189
আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে ভোট পরবর্তী রাজনৈতিক সহিংসতা অব্যাহত রয়েছে। প্রতিদিনই হতাহতের সংখ্যা বাড়ছে। এখন পর্যন্ত বেসরকারি হিসাবে নিহতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ২০। হাজার হাজার রাজনৈতিক কর্মী এখন ঘরছাড়া।

পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে মমতার রাজ্যে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি প্রতিনিধি দল পরিদর্শন শুরু করেছে। তৃণমূল বিষয়টিকে বিজেপির সাজানো নাটক বলে দাবি করেছে।

২০১১ ও ২০১৬ সালে বিধানসভায় ভোটে জিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বেশ ভালোভাবেই সামাল দেন নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতা। কিন্তু এবার তার ব্যতিক্রম। ঝরছে প্রাণ।

এবার ভোটের প্রচারে বিজেপির নানা ধরনের উস্কানিমূলক বক্তব্যের জবাবে ঠিকই পরবর্তীতে ব্যবস্থা নেয়ার কথা শোনা যায় মমতার কণ্ঠে। ২ মে ফলাফল প্রকাশের পরই কি সেই ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে বুঝে নেয়া শুরু হয়েছে? এমনই প্রশ্ন তুলেছে বিরোধীদল বিজেপি। রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ দাবি করে জানান, নিহতদের মধ্যে অর্ধেকই তাদের কর্মী। তিনি বলেন, মমতা ব্যানার্জি নিজের কাজ না করে অন্যের সমালোচনা করতেই ভালোবাসেন। আমরা অনুরোধ করছি মিথ্যা কথা না বলে সহিংসতা থামান।

এমন বাস্তবতায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি দল রাজ্যটিতে পরিদর্শন শুরু করেছে। যা নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেছেন তৃতীয়বারের মতো মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে বসা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ওদের শুভবুদ্ধির উদয় হোক। গণতন্ত্রের জয় হয়েছে। এসব করে কিছুই হবে না। পুরো মিথ্যা কথা রটানো হচ্ছে।

দায়িত্ব নিয়ে রাজ্যের পুলিশ প্রশাসনে রদবদল শুরু করেছেন মমতা। ভোটের সময় যারা পক্ষপাতমূলক আচরণ করেছেন বলে মমতা মনে করেন, তাদের বাধ্যতামূলক বসিয়ে দিয়েছেন তিনি। যা নিয়েও পুলিশ মহলে শুরু হয়েছে আলোচনা-সমালোচনা।

Please Share This Post in Your Social Media


পশ্চিমবঙ্গে ভোট পরবর্তী রাজনৈতিক সহিংসতা অব্যাহত

Update Time : ০৫:৪৫:২৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৭ মে ২০২১
আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে ভোট পরবর্তী রাজনৈতিক সহিংসতা অব্যাহত রয়েছে। প্রতিদিনই হতাহতের সংখ্যা বাড়ছে। এখন পর্যন্ত বেসরকারি হিসাবে নিহতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ২০। হাজার হাজার রাজনৈতিক কর্মী এখন ঘরছাড়া।

পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে মমতার রাজ্যে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি প্রতিনিধি দল পরিদর্শন শুরু করেছে। তৃণমূল বিষয়টিকে বিজেপির সাজানো নাটক বলে দাবি করেছে।

২০১১ ও ২০১৬ সালে বিধানসভায় ভোটে জিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বেশ ভালোভাবেই সামাল দেন নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতা। কিন্তু এবার তার ব্যতিক্রম। ঝরছে প্রাণ।

এবার ভোটের প্রচারে বিজেপির নানা ধরনের উস্কানিমূলক বক্তব্যের জবাবে ঠিকই পরবর্তীতে ব্যবস্থা নেয়ার কথা শোনা যায় মমতার কণ্ঠে। ২ মে ফলাফল প্রকাশের পরই কি সেই ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে বুঝে নেয়া শুরু হয়েছে? এমনই প্রশ্ন তুলেছে বিরোধীদল বিজেপি। রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ দাবি করে জানান, নিহতদের মধ্যে অর্ধেকই তাদের কর্মী। তিনি বলেন, মমতা ব্যানার্জি নিজের কাজ না করে অন্যের সমালোচনা করতেই ভালোবাসেন। আমরা অনুরোধ করছি মিথ্যা কথা না বলে সহিংসতা থামান।

এমন বাস্তবতায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি দল রাজ্যটিতে পরিদর্শন শুরু করেছে। যা নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেছেন তৃতীয়বারের মতো মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে বসা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ওদের শুভবুদ্ধির উদয় হোক। গণতন্ত্রের জয় হয়েছে। এসব করে কিছুই হবে না। পুরো মিথ্যা কথা রটানো হচ্ছে।

দায়িত্ব নিয়ে রাজ্যের পুলিশ প্রশাসনে রদবদল শুরু করেছেন মমতা। ভোটের সময় যারা পক্ষপাতমূলক আচরণ করেছেন বলে মমতা মনে করেন, তাদের বাধ্যতামূলক বসিয়ে দিয়েছেন তিনি। যা নিয়েও পুলিশ মহলে শুরু হয়েছে আলোচনা-সমালোচনা।