গবেষণা করতে গিয়ে ইসলাম গ্রহণ করলেন কানাডিয়ান নারী

  • Update Time : ০৯:১৩:০০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২১
  • / 258
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

কানাডা বংশোদ্ভূত ইংরেজি শিক্ষিকা জেনি মোলেন্ডিক ডিভলিলি অনলাইনে শিশুদের জন্য ইসলাম শিক্ষা প্রসারে ব্যাপক ভূমিকা পালন করছেন। পাঁচ সন্তান নিয়ে তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শিশুদের জন্য শিক্ষা প্রদান করছেন।

সংবাদমাধ্যম ডেইলি সাবাহ জানিয়েছেন, ভাষাতত্ত্ব ও সাংকেতিক ভাষা নিয়ে গবেষণার কাজে ইসলামের সঙ্গে পরিচয় হয় তার। পরে ২০০৬ সালে মোলেন্ডিক ডিভলিলি দীর্ঘ পড়াশোনা শেষে ইসলাম গ্রহণ করেন। এরপর থেকে এক দশক ধরে তিনি তুরস্কের ইস্তাম্বুল নগরীতে বসবাস করছেন এবং ইংরেজি ভাষা শেখাচ্ছেন।
.
মোলেন্ডিক কানাডার একটি খ্রিস্টান পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা ছিলেন একজন পুলিশ অফিসার আর মা ছিলেন একজন নার্স। ভাষাতত্ত্বে স্নাতককালে ও আমেরিকার সাংকেতিক ভাষার অনুবাদের সময় তিনি বিভিন্ন বিষয়ে অনুসন্ধান শুরু করেন। জীবনের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে প্রশ্নের জবাব খুঁজতে গিয়ে তিনি মুসলিমদের সঙ্গে নানা বিষয়ে বিতর্ক শুরু করেন।
.
এ নিয়ে মোলেন্ডিক বলেন, ‘আমি মুসলিমদের সম্পর্কে কিছুই জানতাম না। ইসলাম নিয়ে আমি পড়াশোনা শুরু করি। সপ্তাহে একদিন আমাকে মসজিদে সাংকেতিক বা ইশারা ভাষা অনুবাদের কাজ করতে হত। তখন থেকে আমি ইসলাম সম্পর্কে পড়াশোনা শুরু করি। দীর্ঘ অনুসন্ধানের পর আমার সব প্রশ্নের জবাব ইসলামে পেয়েছি। অবশেষে ২০০৬ সালের ১৪ মে আমি ইসলাম গ্রহণ করি। তা ছিল আমার জীবনের সর্বোত্তম সিদ্ধান্ত। আমার জন্য নতুন এক জগত উম্মুক্ত হয় এবং নতুন জীবন শুরু করি। আমি উপলব্ধি করি যে ইসলামই সর্বোত্তম জীবন ব্যবস্থা।
.
ইসলাম নিয়ে পড়তে গিয়ে মোলেন্ডিকের মনে হয়েছে, তার নিজস্ব জীবনাচার ও সংস্কৃতি পুরোপুরি ত্যাগ করতে হবে। বিষয়টি নিয়ে অনেক দুশ্চিন্তায় পড়েন তিনি। কিন্তু একজন মুসলিম ব্যক্তিত্বের একটি আলোচনা শুনে তার ভীতি কেটে যায়।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


গবেষণা করতে গিয়ে ইসলাম গ্রহণ করলেন কানাডিয়ান নারী

Update Time : ০৯:১৩:০০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২১
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

কানাডা বংশোদ্ভূত ইংরেজি শিক্ষিকা জেনি মোলেন্ডিক ডিভলিলি অনলাইনে শিশুদের জন্য ইসলাম শিক্ষা প্রসারে ব্যাপক ভূমিকা পালন করছেন। পাঁচ সন্তান নিয়ে তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শিশুদের জন্য শিক্ষা প্রদান করছেন।

সংবাদমাধ্যম ডেইলি সাবাহ জানিয়েছেন, ভাষাতত্ত্ব ও সাংকেতিক ভাষা নিয়ে গবেষণার কাজে ইসলামের সঙ্গে পরিচয় হয় তার। পরে ২০০৬ সালে মোলেন্ডিক ডিভলিলি দীর্ঘ পড়াশোনা শেষে ইসলাম গ্রহণ করেন। এরপর থেকে এক দশক ধরে তিনি তুরস্কের ইস্তাম্বুল নগরীতে বসবাস করছেন এবং ইংরেজি ভাষা শেখাচ্ছেন।
.
মোলেন্ডিক কানাডার একটি খ্রিস্টান পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা ছিলেন একজন পুলিশ অফিসার আর মা ছিলেন একজন নার্স। ভাষাতত্ত্বে স্নাতককালে ও আমেরিকার সাংকেতিক ভাষার অনুবাদের সময় তিনি বিভিন্ন বিষয়ে অনুসন্ধান শুরু করেন। জীবনের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে প্রশ্নের জবাব খুঁজতে গিয়ে তিনি মুসলিমদের সঙ্গে নানা বিষয়ে বিতর্ক শুরু করেন।
.
এ নিয়ে মোলেন্ডিক বলেন, ‘আমি মুসলিমদের সম্পর্কে কিছুই জানতাম না। ইসলাম নিয়ে আমি পড়াশোনা শুরু করি। সপ্তাহে একদিন আমাকে মসজিদে সাংকেতিক বা ইশারা ভাষা অনুবাদের কাজ করতে হত। তখন থেকে আমি ইসলাম সম্পর্কে পড়াশোনা শুরু করি। দীর্ঘ অনুসন্ধানের পর আমার সব প্রশ্নের জবাব ইসলামে পেয়েছি। অবশেষে ২০০৬ সালের ১৪ মে আমি ইসলাম গ্রহণ করি। তা ছিল আমার জীবনের সর্বোত্তম সিদ্ধান্ত। আমার জন্য নতুন এক জগত উম্মুক্ত হয় এবং নতুন জীবন শুরু করি। আমি উপলব্ধি করি যে ইসলামই সর্বোত্তম জীবন ব্যবস্থা।
.
ইসলাম নিয়ে পড়তে গিয়ে মোলেন্ডিকের মনে হয়েছে, তার নিজস্ব জীবনাচার ও সংস্কৃতি পুরোপুরি ত্যাগ করতে হবে। বিষয়টি নিয়ে অনেক দুশ্চিন্তায় পড়েন তিনি। কিন্তু একজন মুসলিম ব্যক্তিত্বের একটি আলোচনা শুনে তার ভীতি কেটে যায়।