নতুন গাইডিং সিস্টেমের রকেট লঞ্চার পরীক্ষা করল উত্তর কারিয়া

  • Update Time : ০৪:২৯:৩৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৮ অগাস্ট ২০২৪
  • / 20

নিজেদের অস্ত্র ভান্ডারকে আরও সমৃদ্ধ করার অংশ হিসেবে নতুন ‘গাইডিং সিস্টেম’ সমৃদ্ধ ২৪০ মি.মি. মাল্টিপল রকেট লঞ্চারের সফল উৎক্ষেপণের দাবি করেছেন উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন।

বুধবার (২৮ আগস্ট) উত্তর কোরিয়ার সরকারি বার্তা সংস্থা কোরিয়ান সেন্ট্রাল নিউজ এজেন্সি (কেসিএনএ) এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। খবর এএফপির।

তিন মাস আগে উত্তর কোরিয়া বলেছিল, তারা দেশের সামরিক বাহিনীকে ২৪০ মি.মি. মাল্টিপল রকেট লঞ্চারের মতো অস্ত্রে সুসজ্জিত করতে যাচ্ছে। এই ধরনের রকেট দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউল এবং এর আশপাশের এলাকায় আঘাত করতে সক্ষম।

বিশ্ব থেকে প্রায় পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন পারমাণবিক অস্ত্রের শক্তিধর দেশটি সাম্প্রতিক সময়ে মস্কোর সঙ্গে তার সামরিক সম্পর্ক জোরদার করেছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, ইউক্রেন যুদ্ধে ব্যবহার করার জন্য এসব অস্ত্রশস্ত্র ও ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র রাশিয়ায় পাঠানোর আগে নিজেদের উৎপাদন বাড়ানোর ফল হিসেবে এই পরীক্ষাগুলো চালাচ্ছে উত্তর কোরিয়া।

যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়া আগে থেকেই উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে রাশিয়ায় গোলাবারুদ ও ক্ষেপণাস্ত্র পাঠানোর অভিযোগ জানিয়ে আসছে। তবে পিয়ংইয়ং তাদের এই দাবিকে ‘অযৌক্তিক’ হিসেবে অভিহিত করে আসছে।

উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানায়, মার্টিপল রকেট লঞ্চারগুলোর চলাচল করার এবং গোলাবর্ষণের ক্ষমতার আধুনিকায়ন করা হয়েছে, যা সমস্ত সূচকের মাধ্যমে সুবিধাজনক হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে। আধুনিকায়নের এই প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে নতুন প্রয়োগ করা গাইডিং সিস্টেম, নিয়ন্ত্রণ করার ব্যবস্থা এবং ধ্বংসলীলা চালানোর সক্ষমতা।
বার্তা সংস্থাটি আরও জানায়, পরীক্ষা চালানোর সময় কিম জং উন নতুন এই আর্টিলারি যন্ত্রাংশ উৎপাদনের বিষয়ে এবং সেনাবাহিনীকে সেগুলোর মাধ্যমে সুসজ্জিত করতে গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা দেন।

এদিকে, মাত্র দুদিন আগে ‘সুইসাইড ড্রোন’ তৈরির ঘোষণা দেওয়ার পরপরই নতুন সমরাস্ত্র পরীক্ষার বিষয়টি এলো। মনুষ্যবিহীন এই আকাশযানগুলো অনেকটা গাইডেড মিসাইলের মতো শত্রুর অবস্থান লক্ষ্য করে আঘাত হানতে সক্ষম।

গত ফেব্রুয়ারিতে উত্তর কোরিয়া জানিয়েছিল, তারা মাল্টিপল রকেট লঞ্চারের জন্য একটি কন্ট্রোল সিস্টেম উদ্ভাবন করেছে, যা দেশের প্রতিরক্ষা খাতে গুণগত পরিবর্তন আনবে। এ ছাড়া গত মে মাসে বলা হয়, এসব অত্যাধুনিক রকেট লঞ্চার ২০২৪ সাল থেকে ২০২৬ সালের মধ্যে কোরিয়ান পিপলস আর্মির জন্য বদলি যন্ত্রপাতি হিসেবে সরবরাহ করা হবে।

এসব অস্ত্রশস্ত্রের পরীক্ষা এমন একটা সময়ে চালানো হচ্ছে যখন দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র বড় ধরনের বার্ষিক সামরিক মহড়া চালিয়ে যাচ্ছে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার এই মহড়া শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। উত্তর কোরিয়া এটিকে ‘আগ্রাসন চালানোর মহড়া’ হিসেবে অভিহিত করে আসছে।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


নতুন গাইডিং সিস্টেমের রকেট লঞ্চার পরীক্ষা করল উত্তর কারিয়া

Update Time : ০৪:২৯:৩৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৮ অগাস্ট ২০২৪

নিজেদের অস্ত্র ভান্ডারকে আরও সমৃদ্ধ করার অংশ হিসেবে নতুন ‘গাইডিং সিস্টেম’ সমৃদ্ধ ২৪০ মি.মি. মাল্টিপল রকেট লঞ্চারের সফল উৎক্ষেপণের দাবি করেছেন উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন।

বুধবার (২৮ আগস্ট) উত্তর কোরিয়ার সরকারি বার্তা সংস্থা কোরিয়ান সেন্ট্রাল নিউজ এজেন্সি (কেসিএনএ) এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। খবর এএফপির।

তিন মাস আগে উত্তর কোরিয়া বলেছিল, তারা দেশের সামরিক বাহিনীকে ২৪০ মি.মি. মাল্টিপল রকেট লঞ্চারের মতো অস্ত্রে সুসজ্জিত করতে যাচ্ছে। এই ধরনের রকেট দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউল এবং এর আশপাশের এলাকায় আঘাত করতে সক্ষম।

বিশ্ব থেকে প্রায় পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন পারমাণবিক অস্ত্রের শক্তিধর দেশটি সাম্প্রতিক সময়ে মস্কোর সঙ্গে তার সামরিক সম্পর্ক জোরদার করেছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, ইউক্রেন যুদ্ধে ব্যবহার করার জন্য এসব অস্ত্রশস্ত্র ও ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র রাশিয়ায় পাঠানোর আগে নিজেদের উৎপাদন বাড়ানোর ফল হিসেবে এই পরীক্ষাগুলো চালাচ্ছে উত্তর কোরিয়া।

যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়া আগে থেকেই উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে রাশিয়ায় গোলাবারুদ ও ক্ষেপণাস্ত্র পাঠানোর অভিযোগ জানিয়ে আসছে। তবে পিয়ংইয়ং তাদের এই দাবিকে ‘অযৌক্তিক’ হিসেবে অভিহিত করে আসছে।

উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানায়, মার্টিপল রকেট লঞ্চারগুলোর চলাচল করার এবং গোলাবর্ষণের ক্ষমতার আধুনিকায়ন করা হয়েছে, যা সমস্ত সূচকের মাধ্যমে সুবিধাজনক হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে। আধুনিকায়নের এই প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে নতুন প্রয়োগ করা গাইডিং সিস্টেম, নিয়ন্ত্রণ করার ব্যবস্থা এবং ধ্বংসলীলা চালানোর সক্ষমতা।
বার্তা সংস্থাটি আরও জানায়, পরীক্ষা চালানোর সময় কিম জং উন নতুন এই আর্টিলারি যন্ত্রাংশ উৎপাদনের বিষয়ে এবং সেনাবাহিনীকে সেগুলোর মাধ্যমে সুসজ্জিত করতে গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা দেন।

এদিকে, মাত্র দুদিন আগে ‘সুইসাইড ড্রোন’ তৈরির ঘোষণা দেওয়ার পরপরই নতুন সমরাস্ত্র পরীক্ষার বিষয়টি এলো। মনুষ্যবিহীন এই আকাশযানগুলো অনেকটা গাইডেড মিসাইলের মতো শত্রুর অবস্থান লক্ষ্য করে আঘাত হানতে সক্ষম।

গত ফেব্রুয়ারিতে উত্তর কোরিয়া জানিয়েছিল, তারা মাল্টিপল রকেট লঞ্চারের জন্য একটি কন্ট্রোল সিস্টেম উদ্ভাবন করেছে, যা দেশের প্রতিরক্ষা খাতে গুণগত পরিবর্তন আনবে। এ ছাড়া গত মে মাসে বলা হয়, এসব অত্যাধুনিক রকেট লঞ্চার ২০২৪ সাল থেকে ২০২৬ সালের মধ্যে কোরিয়ান পিপলস আর্মির জন্য বদলি যন্ত্রপাতি হিসেবে সরবরাহ করা হবে।

এসব অস্ত্রশস্ত্রের পরীক্ষা এমন একটা সময়ে চালানো হচ্ছে যখন দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র বড় ধরনের বার্ষিক সামরিক মহড়া চালিয়ে যাচ্ছে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার এই মহড়া শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। উত্তর কোরিয়া এটিকে ‘আগ্রাসন চালানোর মহড়া’ হিসেবে অভিহিত করে আসছে।