গাজায় প্রাণহানি বেড়ে প্রায় ৪০ হাজার

  • Update Time : ০৯:৩৬:৫৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ অগাস্ট ২০২৪
  • / 28

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলি হামলায় আরও ১০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এ নিয়ে প্রাণহানির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৯ হাজার ৮৯৭ জনে। আহত হয়েছেন আরও অনেকে।

ওয়াফা নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে, পূর্ব খান ইউনিসের আবসান আল-কাবিরা এলাকায় একটি বাড়িতে রাতভর ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ১০ জন নিহত এবং বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।

ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান বলেছেন, ‘উদাসিনতা ও সমর্থনের’ মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র এবং কিছু পশ্চিমা দেশ ইসরায়েলকে গাজায় তাদের অপরাধ অব্যাহত রাখতে উৎসাহিত করেছে।

গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে ঢুকে গাজার শাসক দল হামাসের প্রাণঘাতী হামলার জবাবে উপত্যকায় প্রায় বিরামহীন হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। হামাসের ওই হামলায় নিহত হয় ১২ শর মতো ইসরায়েলি। ওইদিন দুই শতাধিক ইসরায়েলিকে বন্দি করে গাজায় নিয়ে আসেন সশস্ত্র ফিলিস্তিনিরা।

ওই হামলার প্রতিক্রিয়ায় গাজায় নির্বিচার হামলা শুরু দখলদার দেশ ইসরায়েল। তাদের হামলা থেকে রেহাই পায়নি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল, মসজিদ কিংবা গির্জার মতো বেসামরিক স্থাপনা।

১০ মাসেরও বেশি সময় ধরে চালানো হামলায় এখন পর্যন্ত ৩৯ হাজার ৮৯৭ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৯২ হাজার ১৫২ জন।

হামলার পর বিভিন্ন ভবনের ধ্বংসস্তূপে চাপা পড়া অনেকেই নিখোঁজ হয়েছেন। তারা মারা গেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ মনে করছে, গাজা উপত্যকাজুড়ে ধ্বংস হওয়া বাড়ির ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনও কয়েক হাজার লোক নিখোঁজ রয়েছেন। মূলত গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির দাবি জানিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব সত্ত্বেও ইসরায়েল অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডে তার নৃশংস আক্রমণ অব্যাহত রেখেছে।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


গাজায় প্রাণহানি বেড়ে প্রায় ৪০ হাজার

Update Time : ০৯:৩৬:৫৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ অগাস্ট ২০২৪

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলি হামলায় আরও ১০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এ নিয়ে প্রাণহানির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৯ হাজার ৮৯৭ জনে। আহত হয়েছেন আরও অনেকে।

ওয়াফা নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে, পূর্ব খান ইউনিসের আবসান আল-কাবিরা এলাকায় একটি বাড়িতে রাতভর ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ১০ জন নিহত এবং বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।

ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান বলেছেন, ‘উদাসিনতা ও সমর্থনের’ মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র এবং কিছু পশ্চিমা দেশ ইসরায়েলকে গাজায় তাদের অপরাধ অব্যাহত রাখতে উৎসাহিত করেছে।

গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে ঢুকে গাজার শাসক দল হামাসের প্রাণঘাতী হামলার জবাবে উপত্যকায় প্রায় বিরামহীন হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। হামাসের ওই হামলায় নিহত হয় ১২ শর মতো ইসরায়েলি। ওইদিন দুই শতাধিক ইসরায়েলিকে বন্দি করে গাজায় নিয়ে আসেন সশস্ত্র ফিলিস্তিনিরা।

ওই হামলার প্রতিক্রিয়ায় গাজায় নির্বিচার হামলা শুরু দখলদার দেশ ইসরায়েল। তাদের হামলা থেকে রেহাই পায়নি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল, মসজিদ কিংবা গির্জার মতো বেসামরিক স্থাপনা।

১০ মাসেরও বেশি সময় ধরে চালানো হামলায় এখন পর্যন্ত ৩৯ হাজার ৮৯৭ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৯২ হাজার ১৫২ জন।

হামলার পর বিভিন্ন ভবনের ধ্বংসস্তূপে চাপা পড়া অনেকেই নিখোঁজ হয়েছেন। তারা মারা গেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ মনে করছে, গাজা উপত্যকাজুড়ে ধ্বংস হওয়া বাড়ির ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনও কয়েক হাজার লোক নিখোঁজ রয়েছেন। মূলত গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির দাবি জানিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব সত্ত্বেও ইসরায়েল অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডে তার নৃশংস আক্রমণ অব্যাহত রেখেছে।