লক্ষ্য অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত গাজায় যুদ্ধবিরতি হবে না: নেতানিয়াহু

  • Update Time : ১২:১৬:৩৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৩
  • / 72

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু গাজা উপত্যকায় যেকোনো ধরনের যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠার সম্ভাবনা নাকচ করে দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ইসরাইল গাজা আগ্রাসনের জন্য যেসব লক্ষ্য নির্ধারণ করেছিল তার সবগুলো অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত তেল আবিব যুদ্ধ বন্ধ করবে না।

হামাসের হাতে আটক ইসরাইলি বন্দিদের মুক্ত করে নেয়ার জন্য যখন তেল আবিবের ওপর অভ্যন্তরীণ চাপ তুঙ্গে রয়েছে এবং গাজা উপত্যকায় একটি যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠা করে বন্দিদের মুক্ত করার লক্ষ্যে যখন প্রচেষ্টা চলছে তখন এ বক্তব্য দিলেন নেতানিয়াহু।

নেতানিয়াহু এক বিবৃতিতে বলেন, যেসব লক্ষ্যে গাজায় অভিযান চলছে তার একটি হচ্ছে হামাসের বিলুপ্তি। গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস বর্তমানে ওই উপত্যকায় ইসরাইলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে লড়াই করছে। ‘আমাদের সকল পণবন্দির’ মুক্তি না হওয়া পর্যন্তও গাজা যুদ্ধ বন্ধ হবে না। গাজা উপত্যকা থেকে কেউ যেন আর কোনোদিন ইসরাইলের জন্য হুমকি সৃষ্টি করতে না পারে সেটি নিশ্চিত করাকেও গাজা আগ্রাসনের অন্যতম লক্ষ্য বলে পুনরুল্লেখ করেন তিনি।

তবে নেতানিয়াহুর ওই বিবৃতি প্রকাশের কয়েক ঘণ্টা পর লেবাননের রাজধানী বৈরুতে এক সংবাদ সম্মেলন করেন হামাস নেতা ওসামা হামদান। তিনি বলেন, ইসরাইল এখন পর্যন্ত গাজা উপত্যকায় তার ঘোষিত একটি লক্ষ্যও অর্জন করতে পারেনি এবং ভবিষ্যতেও পারবে না। গাজায় আগ্রাসন পুরোপুরি বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত কোনো ইসরাইলি বন্দি মুক্তি পাবে না। ওদিকে গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠার আলোচনা করতে হামাসের পলিটব্যুরো প্রধান ইসমাইল হানিয়া গতকাল কাতার থেকে মিসরে পৌঁছেছেন।

বিশ্লেষকরা বলছেন, যুদ্ধ বন্ধ না হলে হামাস কোনো বন্দিকে মুক্তি দেবে না- একথা নিশ্চিত। তবে সে যুদ্ধ সাময়িকভাবে বন্ধ হবে নাকি স্থায়ীভাবে আগ্রাসন বন্ধ করে ইসরাইলি সেনারা গাজা থেকে ফিরে যাবে সেটি নিয়েই মূলত এখন কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চলছে।

গত ৭৫ দিন ধরে গাজা উপত্যকার বিরুদ্ধে তেল আবিবের গণহত্যামূলক যুদ্ধ চলছে। গত ৭ অক্টোবর গাজা-ভিত্তিক ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলনগুলো বড় ধরনের অভিযান চালানোর পর ওই দিন থেকেই গাজার ওপর নির্বিচার জাতিগত শুদ্ধি অভিযান শুরু করে তেল আবিব। এ পর্যন্ত ইসরাইলি পাশবিকতায় ২০ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। পার্সটুডে

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


লক্ষ্য অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত গাজায় যুদ্ধবিরতি হবে না: নেতানিয়াহু

Update Time : ১২:১৬:৩৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৩

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু গাজা উপত্যকায় যেকোনো ধরনের যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠার সম্ভাবনা নাকচ করে দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ইসরাইল গাজা আগ্রাসনের জন্য যেসব লক্ষ্য নির্ধারণ করেছিল তার সবগুলো অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত তেল আবিব যুদ্ধ বন্ধ করবে না।

হামাসের হাতে আটক ইসরাইলি বন্দিদের মুক্ত করে নেয়ার জন্য যখন তেল আবিবের ওপর অভ্যন্তরীণ চাপ তুঙ্গে রয়েছে এবং গাজা উপত্যকায় একটি যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠা করে বন্দিদের মুক্ত করার লক্ষ্যে যখন প্রচেষ্টা চলছে তখন এ বক্তব্য দিলেন নেতানিয়াহু।

নেতানিয়াহু এক বিবৃতিতে বলেন, যেসব লক্ষ্যে গাজায় অভিযান চলছে তার একটি হচ্ছে হামাসের বিলুপ্তি। গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস বর্তমানে ওই উপত্যকায় ইসরাইলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে লড়াই করছে। ‘আমাদের সকল পণবন্দির’ মুক্তি না হওয়া পর্যন্তও গাজা যুদ্ধ বন্ধ হবে না। গাজা উপত্যকা থেকে কেউ যেন আর কোনোদিন ইসরাইলের জন্য হুমকি সৃষ্টি করতে না পারে সেটি নিশ্চিত করাকেও গাজা আগ্রাসনের অন্যতম লক্ষ্য বলে পুনরুল্লেখ করেন তিনি।

তবে নেতানিয়াহুর ওই বিবৃতি প্রকাশের কয়েক ঘণ্টা পর লেবাননের রাজধানী বৈরুতে এক সংবাদ সম্মেলন করেন হামাস নেতা ওসামা হামদান। তিনি বলেন, ইসরাইল এখন পর্যন্ত গাজা উপত্যকায় তার ঘোষিত একটি লক্ষ্যও অর্জন করতে পারেনি এবং ভবিষ্যতেও পারবে না। গাজায় আগ্রাসন পুরোপুরি বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত কোনো ইসরাইলি বন্দি মুক্তি পাবে না। ওদিকে গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠার আলোচনা করতে হামাসের পলিটব্যুরো প্রধান ইসমাইল হানিয়া গতকাল কাতার থেকে মিসরে পৌঁছেছেন।

বিশ্লেষকরা বলছেন, যুদ্ধ বন্ধ না হলে হামাস কোনো বন্দিকে মুক্তি দেবে না- একথা নিশ্চিত। তবে সে যুদ্ধ সাময়িকভাবে বন্ধ হবে নাকি স্থায়ীভাবে আগ্রাসন বন্ধ করে ইসরাইলি সেনারা গাজা থেকে ফিরে যাবে সেটি নিয়েই মূলত এখন কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চলছে।

গত ৭৫ দিন ধরে গাজা উপত্যকার বিরুদ্ধে তেল আবিবের গণহত্যামূলক যুদ্ধ চলছে। গত ৭ অক্টোবর গাজা-ভিত্তিক ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলনগুলো বড় ধরনের অভিযান চালানোর পর ওই দিন থেকেই গাজার ওপর নির্বিচার জাতিগত শুদ্ধি অভিযান শুরু করে তেল আবিব। এ পর্যন্ত ইসরাইলি পাশবিকতায় ২০ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। পার্সটুডে