ইসরায়েলি বন্দিদের নিয়ে যা জানালেন মুখ্য চিকিৎসক
- Update Time : ০৫:৩৯:৫৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৩
- / 96
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আরও ১১ বন্দিকে মুক্তি দিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস। এদের মধ্যে দুইজন জার্মান। ইসরায়েলও ৩৩ জন ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দিয়েছে।
আন্তর্জাতিক রেডক্রস জানিয়েছে, গাজা থেকে ১১ জন বন্দিকে তারা ইসরায়েলে নিয়ে এসেছে। সকলেই এখন ইসরায়েলে আছে। হামাস এই ১১ জন বন্দিকে তাদের হাতে তুলে দিয়েছে। অন্যদিকে ইসরায়েলের জেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, ৩৩ জন ফিলিস্তিনিকে বন্দিকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।
এদিকে কাতার ও আমেরিকা জানিয়েছে, ইসরায়েল এবং হামাসের মধ্যে সংঘর্ষ-বিরতির চুক্তি আরও দুই দিন বৃদ্ধি পেয়েছে। গত শুক্রবার থেকে সংঘর্ষ-বিরতি শুরু হয়েছে। প্রাথমিকভাবে চার দিনের সংঘর্ষ-বিরতির চুক্তি হয়েছিল। কাতার এবং আমেরিকা দুইপক্ষের মধ্যে মধ্যস্থতা করছে।
চুক্তি অনুযায়ী, মঙ্গলবার এবং বুধবার ১০ জন করে- মোট ২০ জিম্মিকে মুক্তি দেবে হামাস। এর বিনিময়ে দু’দিনে ইসরাইলের কারাগারে বন্দি থাকা ৬০ ফিলিস্তিনি মুক্তি পাবেন।
আল-জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হামাসের পক্ষ থেকেও আরও দুই দিন যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়ানোর খবর নিশ্চিত করা হয়েছে।
দীর্ঘ ৪৮ দিন যুদ্ধাবস্থার পর গত শুক্রবার হামাস ও ইসরাইলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি শুরু হয়। চার দিনের এ অস্থায়ী যুদ্ধবিরতির শেষ দিন ছিল সোমবার।
চলতি সপ্তাহেই ইসরায়েল এবং ওয়েস্ট ব্যাংকে যাবেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন। সংঘর্ষ-বিরতি আরও বাড়ানো যায় কি না, তা নিয়ে দুইপক্ষের সঙ্গেই কথা বলতে পারেন তিনি। মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জানিয়েছেন, বিভিন্ন নেতার সঙ্গে আলোচনা করবেন ব্লিংকেন। গাজায় আরো মানবিক সাহায্য কীভাবে পৌঁছে দেওয়া যায়, তা নিয়ে বৈঠক করবেন।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) প্রধান উরসুলা ফন ডেয়ার লাইয়েন এক্স-এ জানিয়েছেন, ইসরায়েল এবং হামাসের মধ্যে আরও দুই দিন সংঘর্ষ-বিরতির চুক্তি হওয়ায় তিনি খুশি। ইইউ চায় আলোচনার মাধ্যমে মীমাংসা। সংঘর্ষ-বিরতির চুক্তি আরও দীর্ঘ হবে, এমনই আশা প্রকাশ করেছেন তিনি।
প্রফেসর হাগাই লিভাইনের সঙ্গে ডিডাব্লিউ কথা বলেছে। তিনি একজন চিকিৎসক এবং এপিডেমোলজিস্ট। ইসরায়েলে পণবন্দিদের পরিবারের যে ফোরাম তৈরি হয়েছে, সেখানে মুখ্য চিকিৎসক হিসেবে কাজ করছেন তিনি। এখনো পর্যন্ত যে বন্দিদের মুক্তি দেওয়া হয়েছে, তাদের প্রায় সকলের সঙ্গেই দেখা করেছেন হাগাই। চিকিৎসা করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, শারীরিক এবং মানসিকভাবে সকলেই বিধ্বস্ত। মূলস্রোতে ফিরে আসতে তাদের সময় লাগবে। তবে এখনো যাদের মুক্তি হয়নি, তাদের নিয়ে আরো বেশি চিন্তা হচ্ছে তার।
প্রফেসর হাগাই জানিয়েছেন, বন্দিদের মধ্যে আগে থেকে আলাপ না থাকলেও বন্দি অবস্থায় নিজেদের মধ্যে সম্পর্ক তৈরি হয়েছে তাদের মধ্যে। মুক্তিপ্রাপ্ত বন্দিদের কাছ থেকে তিনি জানতে পেরেছেন, এক নারীকে মুক্তি দেওয়ার সময় তিনি হামাসের নেতাদের কাছে অনুরোধ করেন, তার বদলে অন্য একজনকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য। কারণ তার শারীরিক অবস্থা অনেক বেশি খারাপ। এভাবেই বন্দিরা একে অপরের পাশে দাঁড়াচ্ছেন। সূত্র: ডিডাব্লিউ, রয়টার্স, এপি, এএফপি