মেক্সিকোতে ধর্ষণের শিকার অভিবাসনপ্রত্যাশীরা
- Update Time : ০৩:১৯:০৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩
- / 138
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
উন্নত জীবনের আশায় যুক্তরাষ্ট্রের দিকে ছুটে যান লাখ লাখ অভিবাসনপ্রত্যাশী। পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্র মেক্সিকোর সীমানা পার হয়ে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের চেষ্টা করা এসব অভিবাসনপ্রত্যাশীদের সবাইকে সহ্য করতে হয় অসহনীয় যন্ত্রণা ও নিরাপত্তাঝুঁকি। ক্ষাণিকটা উন্নত জীবনের আশায় এসব কষ্ট মেনেও নেন তারা।
অনেক সময় যুক্তরাষ্ট্রের প্রবেশের জন্য অভিবাসনপ্রত্যাশীদের মুখোমুখি হতে হয় ধর্ষণের মতো ভয়াবহ নরক যন্ত্রণার। বিশেষ করে মেক্সিকোর সীমান্তবর্তী শহর রেইনোসা এবং মাতামোরোসে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের সঙ্গে যৌন সহিংসতার মাত্রা ক্রমেই বেড়ে চলছে। শহর দুটি যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের জন্য সবচেয়ে বড় ট্রানজিট রুট হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে থাকে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে জানা যায়, ২০১৪ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত রেইনোসা এবং মাতামোরোসে আমেরিকানদের বাদ দিয়ে বিদেশি নাগরিকদের ধর্ষণের হার সর্বোচ্চ ছিল। ইউএস ডিপার্টমেন্ট অব হোমল্যান্ড সিকিউরিটির মুখপাত্র লুইস মিরান্ডা জানান, চোরাকারবারিরা তাদের লাভের জন্য অভিবাসীদের বিরুদ্ধে দুর্ব্যবহার, চাঁদাবাজি এবং সহিংসতার মতো অপরাধ ঘটিয়ে থাকে।
ব্যাপক হারে অবৈধ শরণার্থীর ঢল সামলাতে চলতি বছরের মে মাসে বাইডেন প্রশাসন সিবিপি ওয়ান নামে একটি মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন চালু করে। অ্যাপটির মাধ্যমে অভিবাসনপ্রত্যাশীরা নিজেদের বৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের আবেদন করতে পারবেন। তবে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, অ্যাপটি চালুর পর দুই শহরে সহিংসতার মাত্রা আরও বেড়েছে। তবে বাইডেন প্রশাসন বলছে অ্যাপটিতে রেজিস্ট্রেশন করার ফলে চোরাকারবারিদের অর্থ দেওয়ার হাত থেকে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের রক্ষা করবে।