ভারতের সঙ্গে দ্বন্দ্বে একা হয়ে গেছেন ট্রুডো

  • Update Time : ০৯:৪৫:০৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • / 140

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

গত তিন বছরের মধ্যে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর প্রতি জনসমর্থন সর্বনিম্ন অবস্থায় নেমেছে। এই পরিস্থিতির মধ্যেই কানাডার মাটিতে দেশটির একজন নাগরিকের বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডে ভারত সরকারের জড়িত থাকার বিষয়টি সামনে এনে প্রধান মিত্রদের কাউকেই যেন সাথে পাচ্ছেন না ট্রুডো।

কানাডার সাথে নিয়মিত গোয়েন্দা তথ্য আদান-প্রদান করে এমন দেশগুলোও অনেকটা দায়সারা গোছের আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দিয়েছে। সবচেয়ে নীরব প্রতিক্রিয়া এসেছে কানাডার প্রতিবেশী দেশ যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে। এই দুটি দেশ ঘনিষ্ঠ মিত্র হলেও যুক্তরাষ্ট্র কানাডার পক্ষে ক্ষোভ দেখিয়ে কথা বলেনি।

তাছাড়া যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ড ট্রুডোর পাশে শক্ত অবস্থান নিয়ে দাঁড়ায়নি। খবর বিবিসির।

কানাডা ইন্সটিটিউটের পরিচালক ক্রিস্টোফার স্যান্ড মনে করেন, এখানে একটি একটি শক্তির খেলা হচ্ছে।

তিনি বলেন, এখানে সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষেত্রে কাজ করছে শক্তি, ক্ষমতা এবং আর্থিক বিষয়, যার ঠিক কোনোটাই কানাডার নেই। ভারতের বাইরে খুব কম লোকই জনসমক্ষে অভিযোগ প্রকাশ করার ট্রুডোর সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছেন। এই অভিযোগ সত্য হলে এটি হবে কানাডার মাটিতে একটি রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড যা ঘটিয়েছে আরেকটি গণতান্ত্রিক দেশ। তবে এসব নৈতিক বিষয় বৈশ্বিক মনোযোগ ঘোরাতে পারবে বলে মনে হচ্ছে না।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


ভারতের সঙ্গে দ্বন্দ্বে একা হয়ে গেছেন ট্রুডো

Update Time : ০৯:৪৫:০৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

গত তিন বছরের মধ্যে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর প্রতি জনসমর্থন সর্বনিম্ন অবস্থায় নেমেছে। এই পরিস্থিতির মধ্যেই কানাডার মাটিতে দেশটির একজন নাগরিকের বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডে ভারত সরকারের জড়িত থাকার বিষয়টি সামনে এনে প্রধান মিত্রদের কাউকেই যেন সাথে পাচ্ছেন না ট্রুডো।

কানাডার সাথে নিয়মিত গোয়েন্দা তথ্য আদান-প্রদান করে এমন দেশগুলোও অনেকটা দায়সারা গোছের আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দিয়েছে। সবচেয়ে নীরব প্রতিক্রিয়া এসেছে কানাডার প্রতিবেশী দেশ যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে। এই দুটি দেশ ঘনিষ্ঠ মিত্র হলেও যুক্তরাষ্ট্র কানাডার পক্ষে ক্ষোভ দেখিয়ে কথা বলেনি।

তাছাড়া যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ড ট্রুডোর পাশে শক্ত অবস্থান নিয়ে দাঁড়ায়নি। খবর বিবিসির।

কানাডা ইন্সটিটিউটের পরিচালক ক্রিস্টোফার স্যান্ড মনে করেন, এখানে একটি একটি শক্তির খেলা হচ্ছে।

তিনি বলেন, এখানে সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষেত্রে কাজ করছে শক্তি, ক্ষমতা এবং আর্থিক বিষয়, যার ঠিক কোনোটাই কানাডার নেই। ভারতের বাইরে খুব কম লোকই জনসমক্ষে অভিযোগ প্রকাশ করার ট্রুডোর সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছেন। এই অভিযোগ সত্য হলে এটি হবে কানাডার মাটিতে একটি রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড যা ঘটিয়েছে আরেকটি গণতান্ত্রিক দেশ। তবে এসব নৈতিক বিষয় বৈশ্বিক মনোযোগ ঘোরাতে পারবে বলে মনে হচ্ছে না।