ইউক্রেনকে আর অস্ত্র দেবে না পোল্যান্ড

  • Update Time : ০১:২৮:১৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • / 106

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

শস্য নিয়ে কূটনৈতিক বিরোধের কারণে ইউক্রেনে আর অস্ত্র সরবরাহ করবে না ঘোষণা দিয়েছে দেশটির অন্যতম মিত্র পোল্যান্ড। ডয়চে ভেলের খবর।

জাতিসংঘে ভলোদিমির জেলেনস্কির করা মন্তব্যের জন্য মঙ্গলবার ইউক্রেনের রাষ্ট্রদূতকে তলব করেছে পোল্যান্ড।

জেলেনস্কি বলেছেন, কিছু দেশ ইউক্রেনের সঙ্গে একাত্মতার ভান করেছে।

যেটিকে ‘পোল্যান্ডের ব্যাপারে অযৌক্তিক বলে নিন্দা’ করেছে যুদ্ধের প্রথম দিন থেকেই ইউক্রেনকে সমর্থন করে আসা ওয়ারশ।

পোল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী মাতেউস মোরাউইকি শস্য আমদানি নিয়ে দুই দেশের মধ্যে দ্রুত উত্তেজনা বৃদ্ধির একদিন পর বুধবার এক টেলিভিশন ভাষণে ইউক্রেনকে আর অস্ত্র সরবরাহ না করার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন। বলেন, আমরা আর ইউক্রেনে অস্ত্র হস্তান্তর করছি না, কারণ আমরা এখন পোল্যান্ডকে আরও আধুনিক অস্ত্র দিয়ে সশস্ত্র করছি।

শস্য বিরোধ শুরু হয় ইউক্রেনে রাশিয়ার পূর্ণ মাত্রায় আগ্রাসনের পরে। যুদ্ধে মূল কৃষ্ণ সাগর রুট বন্ধ হয়ে যায় এবং ইউক্রেনকে বিকল্প স্থলরুট খুঁজতে বাধ্য করে।

এর ফলে মধ্য ইউরোপে প্রচুর পরিমাণে শস্য জমা হতে থাকে।

ইউক্রেনীয় শস্য স্থানীয়ভাবে দাম কমিয়ে দিচ্ছে- এমন আশঙ্কায় স্থানীয় কৃষকদের রক্ষায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন সাময়িকভাবে বুলগেরিয়া, হাঙ্গেরি, পোল্যান্ড, রোমানিয়া- এই পাঁচটি দেশে শস্য আমদানি নিষিদ্ধ করে। ওই নিষেধাজ্ঞা ১৫ সেপ্টেম্বর শেষ হয় এবং ইইউ এটি পুনর্নবীকরণ না করার সিদ্ধান্ত নেয়। তবে হাঙ্গেরি, স্লোভাকিয়া এবং পোল্যান্ড নিষেধাজ্ঞা চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

ইউরোপীয় কমিশন বারবার বলেছে যে নিষেধাজ্ঞার জন্য বাণিজ্য নীতি তৈরি করা পৃথক ইইউ সদস্যদের উপর নির্ভর করে না। এই সপ্তাহের শুরুর দিকে, ইউক্রেন বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) কাছে এই নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে। বলেছে যে এটি আন্তর্জাতিক বাধ্যবাধকতার লঙ্ঘন।

ইউক্রেনের অর্থনীতি মন্ত্রী বলেছেন, আমাদের পক্ষে এটি প্রমাণ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ যে পৃথক সদস্য রাষ্ট্রগুলো ইউক্রেনের পণ্য আমদানি নিষিদ্ধ করতে পারে না।

কিন্তু পোল্যান্ড বলেছে যে তারা নিষেধাজ্ঞা জারি রাখবে।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


ইউক্রেনকে আর অস্ত্র দেবে না পোল্যান্ড

Update Time : ০১:২৮:১৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

শস্য নিয়ে কূটনৈতিক বিরোধের কারণে ইউক্রেনে আর অস্ত্র সরবরাহ করবে না ঘোষণা দিয়েছে দেশটির অন্যতম মিত্র পোল্যান্ড। ডয়চে ভেলের খবর।

জাতিসংঘে ভলোদিমির জেলেনস্কির করা মন্তব্যের জন্য মঙ্গলবার ইউক্রেনের রাষ্ট্রদূতকে তলব করেছে পোল্যান্ড।

জেলেনস্কি বলেছেন, কিছু দেশ ইউক্রেনের সঙ্গে একাত্মতার ভান করেছে।

যেটিকে ‘পোল্যান্ডের ব্যাপারে অযৌক্তিক বলে নিন্দা’ করেছে যুদ্ধের প্রথম দিন থেকেই ইউক্রেনকে সমর্থন করে আসা ওয়ারশ।

পোল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী মাতেউস মোরাউইকি শস্য আমদানি নিয়ে দুই দেশের মধ্যে দ্রুত উত্তেজনা বৃদ্ধির একদিন পর বুধবার এক টেলিভিশন ভাষণে ইউক্রেনকে আর অস্ত্র সরবরাহ না করার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন। বলেন, আমরা আর ইউক্রেনে অস্ত্র হস্তান্তর করছি না, কারণ আমরা এখন পোল্যান্ডকে আরও আধুনিক অস্ত্র দিয়ে সশস্ত্র করছি।

শস্য বিরোধ শুরু হয় ইউক্রেনে রাশিয়ার পূর্ণ মাত্রায় আগ্রাসনের পরে। যুদ্ধে মূল কৃষ্ণ সাগর রুট বন্ধ হয়ে যায় এবং ইউক্রেনকে বিকল্প স্থলরুট খুঁজতে বাধ্য করে।

এর ফলে মধ্য ইউরোপে প্রচুর পরিমাণে শস্য জমা হতে থাকে।

ইউক্রেনীয় শস্য স্থানীয়ভাবে দাম কমিয়ে দিচ্ছে- এমন আশঙ্কায় স্থানীয় কৃষকদের রক্ষায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন সাময়িকভাবে বুলগেরিয়া, হাঙ্গেরি, পোল্যান্ড, রোমানিয়া- এই পাঁচটি দেশে শস্য আমদানি নিষিদ্ধ করে। ওই নিষেধাজ্ঞা ১৫ সেপ্টেম্বর শেষ হয় এবং ইইউ এটি পুনর্নবীকরণ না করার সিদ্ধান্ত নেয়। তবে হাঙ্গেরি, স্লোভাকিয়া এবং পোল্যান্ড নিষেধাজ্ঞা চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

ইউরোপীয় কমিশন বারবার বলেছে যে নিষেধাজ্ঞার জন্য বাণিজ্য নীতি তৈরি করা পৃথক ইইউ সদস্যদের উপর নির্ভর করে না। এই সপ্তাহের শুরুর দিকে, ইউক্রেন বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) কাছে এই নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে। বলেছে যে এটি আন্তর্জাতিক বাধ্যবাধকতার লঙ্ঘন।

ইউক্রেনের অর্থনীতি মন্ত্রী বলেছেন, আমাদের পক্ষে এটি প্রমাণ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ যে পৃথক সদস্য রাষ্ট্রগুলো ইউক্রেনের পণ্য আমদানি নিষিদ্ধ করতে পারে না।

কিন্তু পোল্যান্ড বলেছে যে তারা নিষেধাজ্ঞা জারি রাখবে।