লিবিয়ায় বন্যায় নিহত বেড়ে ৬ হাজার, নিশ্চিহ্ন এক-চতুর্থাংশ

  • Update Time : ০৪:৫২:৪০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • / 154

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

লিবিয়ার পূর্বাঞ্চলের দেরনা শহরে ভয়াবহ বন্যায় নিহতের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। বুধবার দুপুরে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৬ হাজার ছাড়িয়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। স্থানীয় সূত্রের বরাতে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা এ তথ্য জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেরনায় এখনো উদ্ধার অভিযান চলছে। ফলে নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।

দেশটির পূর্বাঞ্চলের স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, এ ঘটনায় এখনো পর্যন্ত এক হাজার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ৭০০ মরদেহ দাফন করা হয়েছে।

দেরনা শহরের ডেপুটি মেয়র বলেন, শহরের বেশিরভাগ জনবহুল এলাকা পানির নিচে চলে গেছে।

লিবিয়ার পূর্বাঞ্চলের নিয়ন্ত্রক সরকারের বেসামরিক বিমান চলাচলমন্ত্রী হিশেম আবু কিওয়াত রয়টার্সকে টেলিফোনে বলেছেন, সাগর, উপত্যকা, ভবনের নিচে—সব জায়গায় মৃতদেহ পড়ে আছে। বন্যায় শহরের ২৫ ভাগ নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে বললে মোটেও বাড়িয়ে বলা হবে না। শহরের অনেক ভবন ভেঙে পড়েছে।

লিবিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর বেনগাজিসহ অন্য পূর্বাঞ্চলীয় শহরগুলোয়ও ঘূর্ণিঝড় আঘাত হেনেছে। ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব দ্য রেডক্রস ও রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির প্রধান তামের রামাদান বলেছেন, মৃতের সংখ্যা ‘অনেক’ হবে।

এদিকে দেশের বন্যার্ত মানুষের পাশে দাঁড়াতে ভ্রাতৃপ্রতিম-বন্ধু দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে লিবিয়ার প্রেসিডেনশিয়াল কাউন্সিল। তিন সদস্যবিশিষ্ট এই কাউন্সিলই সংঘাতে জর্জরিত দেশটির রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করে থাকে।

গত সপ্তাহে গ্রিসে তাণ্ডব চালিয়ে ঝড় ড্যানিয়েল রোববার ভূমধ্যসাগর অঞ্চলে আঘাত হানে। এ ঝড়ের প্রভাবে দেরনা শহরের রাস্তাঘাট তলিয়ে যায়। এ ছাড়া লিবিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর বেনগাজিসহ উপকূলীয় এলাকায় বাড়িঘর ধসে গেছে।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


লিবিয়ায় বন্যায় নিহত বেড়ে ৬ হাজার, নিশ্চিহ্ন এক-চতুর্থাংশ

Update Time : ০৪:৫২:৪০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

লিবিয়ার পূর্বাঞ্চলের দেরনা শহরে ভয়াবহ বন্যায় নিহতের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। বুধবার দুপুরে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৬ হাজার ছাড়িয়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। স্থানীয় সূত্রের বরাতে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা এ তথ্য জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেরনায় এখনো উদ্ধার অভিযান চলছে। ফলে নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।

দেশটির পূর্বাঞ্চলের স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, এ ঘটনায় এখনো পর্যন্ত এক হাজার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ৭০০ মরদেহ দাফন করা হয়েছে।

দেরনা শহরের ডেপুটি মেয়র বলেন, শহরের বেশিরভাগ জনবহুল এলাকা পানির নিচে চলে গেছে।

লিবিয়ার পূর্বাঞ্চলের নিয়ন্ত্রক সরকারের বেসামরিক বিমান চলাচলমন্ত্রী হিশেম আবু কিওয়াত রয়টার্সকে টেলিফোনে বলেছেন, সাগর, উপত্যকা, ভবনের নিচে—সব জায়গায় মৃতদেহ পড়ে আছে। বন্যায় শহরের ২৫ ভাগ নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে বললে মোটেও বাড়িয়ে বলা হবে না। শহরের অনেক ভবন ভেঙে পড়েছে।

লিবিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর বেনগাজিসহ অন্য পূর্বাঞ্চলীয় শহরগুলোয়ও ঘূর্ণিঝড় আঘাত হেনেছে। ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব দ্য রেডক্রস ও রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির প্রধান তামের রামাদান বলেছেন, মৃতের সংখ্যা ‘অনেক’ হবে।

এদিকে দেশের বন্যার্ত মানুষের পাশে দাঁড়াতে ভ্রাতৃপ্রতিম-বন্ধু দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে লিবিয়ার প্রেসিডেনশিয়াল কাউন্সিল। তিন সদস্যবিশিষ্ট এই কাউন্সিলই সংঘাতে জর্জরিত দেশটির রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করে থাকে।

গত সপ্তাহে গ্রিসে তাণ্ডব চালিয়ে ঝড় ড্যানিয়েল রোববার ভূমধ্যসাগর অঞ্চলে আঘাত হানে। এ ঝড়ের প্রভাবে দেরনা শহরের রাস্তাঘাট তলিয়ে যায়। এ ছাড়া লিবিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর বেনগাজিসহ উপকূলীয় এলাকায় বাড়িঘর ধসে গেছে।