বৈঠকে কিম-পুতিন, আলোচনায় অস্ত্র সহায়তা

  • Update Time : ০৩:৪১:৪৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • / 113

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

মার্কিন সতর্কবার্তা উপেক্ষা করে রাশিয়া সফরে গেছেন উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিম জং উন। দেশটির ভ্লাদিভস্তক শহরের কসমোড্রোম স্পেস সেন্টারে তার সাথে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন আলোচনায় বসেছেন।

বিশ্লেষকরা বলছেন, রাশিয়ায় কিমের এ সফরের অন্যতম উদ্দেশ্য হলো অস্ত্র বিক্রি করা। কেননা পশ্চিমাদের সহায়তারয় গত একমাস ধরে ইউক্রেন পাল্টা হামলা চালাতে শুরু করেছে। ফলে পরিস্থিতি মোকাবিলায় রাশিয়া আরও কঠিন প্রস্তুতি নিচ্ছে। এজন্য আলোচনায় অস্ত্র সহায়তা প্রাধান্য পেতে পারে।

সংবাদমাধ্যম বলছে, উত্তর কোরিয়ার রাশিয়াকে অস্ত্র সহায়তার বিপরীতে খাদ্য জ্বালানি ও আধুনিক সামরিক প্রযুক্তির সহায়তা চাইতে পারে। দেশটি করোনার সময় থেকে নিজেদের সীমান্ত বন্ধ রাখায় কোনো ধরনের খাদ্য আমদানি করেনি। ফলে ক্রমেই দেশটির মজুদ ফুরিয়ে আসছে।
কিমের এই সফর নিয়ে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছেন, এটি একটি পূর্ণাঙ্গ সফর হবে। দুই দেশের প্রতিনিধিদলের মধ্যে আলোচনা হবে। এরপর প্রয়োজন হলে দুই দেশের নেতা একান্ত বৈঠক করবেন।
রুশ কর্মকর্তারা বলছেন, কিমের এবারের সফরে উত্তর কোরিয়ায় মানবিক সহায়তা এবং পিয়ংইয়ংয়ের বিরুদ্ধে আরোপিত জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের রেজুলেশন নিয়ে আলোচনা হবে।

তবে মার্কিন কর্মকর্তারা বলছেন, উত্তর কোরিয়া ও রাশিয়ার মধ্যে অস্ত্র সমঝোতা ‘সক্রিয়ভাবে অগ্রসর’ হওয়ার বিষয়ে নতুন তথ্য রয়েছে। এ সফরে পুতিনের সঙ্গে বৈঠকে রাশিয়ায় অস্ত্র সরবরাহের বিষয়ে আলোচনা করতে পারেন কিম।

মূলত রাশিয়া ও উত্তর কোরিয়ার মধ্যে সম্ভাব্য অস্ত্র চুক্তি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র উদ্বিগ্ন বলে হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা মুখপাত্র জন কিরবি গত সপ্তাহে জানিয়েছিলেন। এমনকি গতকাল সোমবারও রাশিয়াকে অস্ত্র সরবরাহ নিয়ে উত্তর কোরিয়াকে সতর্ক করেছে যুক্তরাষ্ট্র। পিয়ংইয়ং ইতোপূর্বে রাশিয়ার কাছে অস্ত্র সরবরাহ বা বিক্রি না করার জন্য যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, তা মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছে ওয়াশিংটন।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


বৈঠকে কিম-পুতিন, আলোচনায় অস্ত্র সহায়তা

Update Time : ০৩:৪১:৪৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

মার্কিন সতর্কবার্তা উপেক্ষা করে রাশিয়া সফরে গেছেন উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিম জং উন। দেশটির ভ্লাদিভস্তক শহরের কসমোড্রোম স্পেস সেন্টারে তার সাথে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন আলোচনায় বসেছেন।

বিশ্লেষকরা বলছেন, রাশিয়ায় কিমের এ সফরের অন্যতম উদ্দেশ্য হলো অস্ত্র বিক্রি করা। কেননা পশ্চিমাদের সহায়তারয় গত একমাস ধরে ইউক্রেন পাল্টা হামলা চালাতে শুরু করেছে। ফলে পরিস্থিতি মোকাবিলায় রাশিয়া আরও কঠিন প্রস্তুতি নিচ্ছে। এজন্য আলোচনায় অস্ত্র সহায়তা প্রাধান্য পেতে পারে।

সংবাদমাধ্যম বলছে, উত্তর কোরিয়ার রাশিয়াকে অস্ত্র সহায়তার বিপরীতে খাদ্য জ্বালানি ও আধুনিক সামরিক প্রযুক্তির সহায়তা চাইতে পারে। দেশটি করোনার সময় থেকে নিজেদের সীমান্ত বন্ধ রাখায় কোনো ধরনের খাদ্য আমদানি করেনি। ফলে ক্রমেই দেশটির মজুদ ফুরিয়ে আসছে।
কিমের এই সফর নিয়ে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছেন, এটি একটি পূর্ণাঙ্গ সফর হবে। দুই দেশের প্রতিনিধিদলের মধ্যে আলোচনা হবে। এরপর প্রয়োজন হলে দুই দেশের নেতা একান্ত বৈঠক করবেন।
রুশ কর্মকর্তারা বলছেন, কিমের এবারের সফরে উত্তর কোরিয়ায় মানবিক সহায়তা এবং পিয়ংইয়ংয়ের বিরুদ্ধে আরোপিত জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের রেজুলেশন নিয়ে আলোচনা হবে।

তবে মার্কিন কর্মকর্তারা বলছেন, উত্তর কোরিয়া ও রাশিয়ার মধ্যে অস্ত্র সমঝোতা ‘সক্রিয়ভাবে অগ্রসর’ হওয়ার বিষয়ে নতুন তথ্য রয়েছে। এ সফরে পুতিনের সঙ্গে বৈঠকে রাশিয়ায় অস্ত্র সরবরাহের বিষয়ে আলোচনা করতে পারেন কিম।

মূলত রাশিয়া ও উত্তর কোরিয়ার মধ্যে সম্ভাব্য অস্ত্র চুক্তি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র উদ্বিগ্ন বলে হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা মুখপাত্র জন কিরবি গত সপ্তাহে জানিয়েছিলেন। এমনকি গতকাল সোমবারও রাশিয়াকে অস্ত্র সরবরাহ নিয়ে উত্তর কোরিয়াকে সতর্ক করেছে যুক্তরাষ্ট্র। পিয়ংইয়ং ইতোপূর্বে রাশিয়ার কাছে অস্ত্র সরবরাহ বা বিক্রি না করার জন্য যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, তা মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছে ওয়াশিংটন।