চীনে আইফোন ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা

  • Update Time : ০১:০৫:৫৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • / 107

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

চীনা সরকারি কর্মীদের আইফোন ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে এমন খবরের পর টানা দ্বিতীয় দিনের মতো অ্যাপলের শেয়ারের দাম কমেছে। খবর বিবিসির।

শেয়ারবাজারে অ্যাপলের মূল্যায়ন গত দুদিনে ৬ শতাংশ বা প্রায় ২০০ বিলিয়ন ডলার কমেছে।

এই প্রযুক্তি জায়ান্টের তৃতীয় বৃহত্তম বাজার চীন। গত বছর মোট মুনাফার ১৮ শতাংশ দেশটি থেকে এসেছে। অ্যাপলের বৃহত্তম সরবরাহকারী ফক্সকন চীনেই তাদের বেশিরভাগ পণ্য উৎপাদন করে।

বুধবার ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের প্রতিবেদনে বলা হয়, বেইজিং কেন্দ্রীয় সরকারি সংস্থার কর্মকর্তাদের অফিসে আইফোন আনার ক্ষেত্রে বা কাজে ব্যবহার না করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

পরের দিন, ব্লুমবার্গ নিউজ জানায় যে, রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন কোম্পানি এবং সরকার-সমর্থিত সংস্থার কর্মীদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হতে পারে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একটি সূত্র ওয়াল স্ট্রিট জার্নালকে জানান, সাম্প্রতিক সময়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা আইফোন ব্যবহার না করার নির্দেশনা দিয়েছেন। অন্যান্য বিদেশি-ব্র্যান্ডের ডিভাইসগুলোতেও বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে।

সংবাদমাধ্যমটি জানায়, ইতোমধ্যে কিছু সংস্থায় আইফোন নিষিদ্ধ ছিল। তবে সূত্রমতে, নিষেধাজ্ঞার ব্যাপ্তি বাড়ানো হচ্ছে।

সেই নির্দেশগুলো কতটা ব্যাপকভাবে প্রচার করা হয়েছে এখনো স্পষ্ট হয়নি। তবে আইফোন ১৫ বাজারে আসার আগে এমন খবরে অ্যাপলের শেয়ারের দরপতন হচ্ছে। ১২ তারিখ আইফোনের সর্বশেষ সংস্করণ বাজারে আসবে বলে আশা করা যাচ্ছে।

রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন কোম্পানির জন্য কাজ করা কয়েকজন সামাজিক মাধ্যমে জানিয়েছেন, তাদের সেপ্টেম্বরের মধ্যে অ্যাপল ডিভাইস বন্ধ করতে বলা হয়েছে।

চীন হল অ্যাপলের অন্যতম বড় বাজার এবং দেশটিতেই আইফোন তৈরি করা হয়, যদিও সম্প্রতি অ্যাপল ভারতে উৎপাদন বাড়িয়েছে।

প্রতিবেদনের প্রতিক্রিয়ায় চীন সরকারের পক্ষ থেকে কোনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেওয়া হয়নি। অ্যাপল তাৎক্ষণিকভাবে মন্তব্যের জন্য বিবিসির অনুরোধের জবাব দেয়নি।

সম্প্রতি প্রযুক্তি খাতে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের উত্তেজনা বেশ বেড়েছে। একপক্ষ অন্যপক্ষকে লক্ষ্য করে একের পর এক পাল্টাপাল্টি ব্যবস্থা নিয়ে চলেছে।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


চীনে আইফোন ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা

Update Time : ০১:০৫:৫৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

চীনা সরকারি কর্মীদের আইফোন ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে এমন খবরের পর টানা দ্বিতীয় দিনের মতো অ্যাপলের শেয়ারের দাম কমেছে। খবর বিবিসির।

শেয়ারবাজারে অ্যাপলের মূল্যায়ন গত দুদিনে ৬ শতাংশ বা প্রায় ২০০ বিলিয়ন ডলার কমেছে।

এই প্রযুক্তি জায়ান্টের তৃতীয় বৃহত্তম বাজার চীন। গত বছর মোট মুনাফার ১৮ শতাংশ দেশটি থেকে এসেছে। অ্যাপলের বৃহত্তম সরবরাহকারী ফক্সকন চীনেই তাদের বেশিরভাগ পণ্য উৎপাদন করে।

বুধবার ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের প্রতিবেদনে বলা হয়, বেইজিং কেন্দ্রীয় সরকারি সংস্থার কর্মকর্তাদের অফিসে আইফোন আনার ক্ষেত্রে বা কাজে ব্যবহার না করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

পরের দিন, ব্লুমবার্গ নিউজ জানায় যে, রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন কোম্পানি এবং সরকার-সমর্থিত সংস্থার কর্মীদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হতে পারে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একটি সূত্র ওয়াল স্ট্রিট জার্নালকে জানান, সাম্প্রতিক সময়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা আইফোন ব্যবহার না করার নির্দেশনা দিয়েছেন। অন্যান্য বিদেশি-ব্র্যান্ডের ডিভাইসগুলোতেও বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে।

সংবাদমাধ্যমটি জানায়, ইতোমধ্যে কিছু সংস্থায় আইফোন নিষিদ্ধ ছিল। তবে সূত্রমতে, নিষেধাজ্ঞার ব্যাপ্তি বাড়ানো হচ্ছে।

সেই নির্দেশগুলো কতটা ব্যাপকভাবে প্রচার করা হয়েছে এখনো স্পষ্ট হয়নি। তবে আইফোন ১৫ বাজারে আসার আগে এমন খবরে অ্যাপলের শেয়ারের দরপতন হচ্ছে। ১২ তারিখ আইফোনের সর্বশেষ সংস্করণ বাজারে আসবে বলে আশা করা যাচ্ছে।

রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন কোম্পানির জন্য কাজ করা কয়েকজন সামাজিক মাধ্যমে জানিয়েছেন, তাদের সেপ্টেম্বরের মধ্যে অ্যাপল ডিভাইস বন্ধ করতে বলা হয়েছে।

চীন হল অ্যাপলের অন্যতম বড় বাজার এবং দেশটিতেই আইফোন তৈরি করা হয়, যদিও সম্প্রতি অ্যাপল ভারতে উৎপাদন বাড়িয়েছে।

প্রতিবেদনের প্রতিক্রিয়ায় চীন সরকারের পক্ষ থেকে কোনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেওয়া হয়নি। অ্যাপল তাৎক্ষণিকভাবে মন্তব্যের জন্য বিবিসির অনুরোধের জবাব দেয়নি।

সম্প্রতি প্রযুক্তি খাতে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের উত্তেজনা বেশ বেড়েছে। একপক্ষ অন্যপক্ষকে লক্ষ্য করে একের পর এক পাল্টাপাল্টি ব্যবস্থা নিয়ে চলেছে।