ফ্রান্সের পর নাইজার থেকে পিঠটান দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

  • Update Time : ১০:৪৫:৪৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • / 128

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

পশ্চিম আফ্রিকার দেশ নাইজার থেকে ফরাসি সেনাদের সরিয়ে নিতে দেশটির জান্তা সরকারের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছে ফ্রান্স, এমন খবর আগেই দিয়েছিল ফরাসি গণমাধ্যম। এবার জানা গেল যুক্তরাষ্ট্রও ফ্রান্সের দেখানো পথেই হাঁটছে। তবে তারা ফরাসিদের মতো দেশটি থেকে সব সেনা সরিয়ে নেবে না।

গতকাল শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগের দুই কর্মকর্তার বরাত দিয়ে পলিটিকো জানিয়েছে, নাইজারে অবস্থান করা মার্কিন সেনাদের পুনরায় মোতায়েন করা শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র। আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে তাদের সেনা সংখ্যা প্রায় অর্ধেক কমানোর পরিকল্পনা করেছে।

মার্কিন সেনা সদর দপ্তর পেন্টাগনের মুখপাত্র সাবরিনা সিং গত বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের বলেন, নাইজারের রাজধানী নিয়ামি বিমানবন্দরে অবস্থানরত কিছু সেনাকে এরই মধ্যে প্রায় ৫০০ মাইল দূরের আগাদেজের ছোট ঘাঁটিতে পুনরায় মোতায়েন করা হয়েছে।

পলিটিকো বলছে, নাইজারে যুক্তরাষ্ট্রের এক হাজার ২০০ সেনা রয়েছে। এই সংখ্যা কমিয়ে ৫০০ থেকে এক হাজরের মধ্য নিয়ে আসা হবে। তবে চূড়ান্ত সংখ্যা নির্ভর করবে ওই অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের সন্ত্রাস দমন অভিযান অব্যাহত রাখতে এবং আগাদেজের সেনা ধারণক্ষমতার ওপর।

পেন্টাগনের মুখপাত্র নাইজারের পরিস্থিতি ‘তুলনামূলক স্থিতিশীল’ অভিহিত করে সেখানে মার্কিন সেনাদের বিরুদ্ধে কোনো ‘নির্দিষ্ট হুমকি’ নেই দাবি করলেও একটি সূত্রের বরাতে পলিটিকো জানিয়েছে, সম্প্রতি ফরাসি সামরিক ঘাঁটির বাইরে বিক্ষোভের কারণে অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

গত ২৬ জুলাই নাইজারের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ বাজুমকে তার বাসভবনে অবরোধ করে সামরিক অভ্যুত্থানের ঘোষণা দেন প্রেসিডেন্সিয়াল গার্ডের বিদ্রোহী সদস্যরা। এরপর থেকে ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ বাজুম ও তার পরিবারের সদস্যদের বন্দি করে রেখেছে সামরিক সরকার।

সেনা অভ্যুত্থানে পশ্চিমাপন্থি বাজুম ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকেই নাইজারের জান্তা সরকারের সঙ্গে বাগ্‌বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েছে ফ্রান্স। এমনকি সেনা অভ্যুত্থানের পর নাইজারে ফ্রান্সবিরোধী মনোভাব বেড়েই চলেছে। নাইজার থেকে ফরাসি সেনা প্রত্যাহারে জনগণ বিক্ষোভও করেছেন। এমন পরিস্থিতিতে ফরাসি সেনাদের নাইজার থেকে সরিয়ে নিতে দেশটির জান্তা সরকারের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছে ফ্রান্স সরকার।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


ফ্রান্সের পর নাইজার থেকে পিঠটান দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

Update Time : ১০:৪৫:৪৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

পশ্চিম আফ্রিকার দেশ নাইজার থেকে ফরাসি সেনাদের সরিয়ে নিতে দেশটির জান্তা সরকারের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছে ফ্রান্স, এমন খবর আগেই দিয়েছিল ফরাসি গণমাধ্যম। এবার জানা গেল যুক্তরাষ্ট্রও ফ্রান্সের দেখানো পথেই হাঁটছে। তবে তারা ফরাসিদের মতো দেশটি থেকে সব সেনা সরিয়ে নেবে না।

গতকাল শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগের দুই কর্মকর্তার বরাত দিয়ে পলিটিকো জানিয়েছে, নাইজারে অবস্থান করা মার্কিন সেনাদের পুনরায় মোতায়েন করা শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র। আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে তাদের সেনা সংখ্যা প্রায় অর্ধেক কমানোর পরিকল্পনা করেছে।

মার্কিন সেনা সদর দপ্তর পেন্টাগনের মুখপাত্র সাবরিনা সিং গত বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের বলেন, নাইজারের রাজধানী নিয়ামি বিমানবন্দরে অবস্থানরত কিছু সেনাকে এরই মধ্যে প্রায় ৫০০ মাইল দূরের আগাদেজের ছোট ঘাঁটিতে পুনরায় মোতায়েন করা হয়েছে।

পলিটিকো বলছে, নাইজারে যুক্তরাষ্ট্রের এক হাজার ২০০ সেনা রয়েছে। এই সংখ্যা কমিয়ে ৫০০ থেকে এক হাজরের মধ্য নিয়ে আসা হবে। তবে চূড়ান্ত সংখ্যা নির্ভর করবে ওই অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের সন্ত্রাস দমন অভিযান অব্যাহত রাখতে এবং আগাদেজের সেনা ধারণক্ষমতার ওপর।

পেন্টাগনের মুখপাত্র নাইজারের পরিস্থিতি ‘তুলনামূলক স্থিতিশীল’ অভিহিত করে সেখানে মার্কিন সেনাদের বিরুদ্ধে কোনো ‘নির্দিষ্ট হুমকি’ নেই দাবি করলেও একটি সূত্রের বরাতে পলিটিকো জানিয়েছে, সম্প্রতি ফরাসি সামরিক ঘাঁটির বাইরে বিক্ষোভের কারণে অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

গত ২৬ জুলাই নাইজারের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ বাজুমকে তার বাসভবনে অবরোধ করে সামরিক অভ্যুত্থানের ঘোষণা দেন প্রেসিডেন্সিয়াল গার্ডের বিদ্রোহী সদস্যরা। এরপর থেকে ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ বাজুম ও তার পরিবারের সদস্যদের বন্দি করে রেখেছে সামরিক সরকার।

সেনা অভ্যুত্থানে পশ্চিমাপন্থি বাজুম ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকেই নাইজারের জান্তা সরকারের সঙ্গে বাগ্‌বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েছে ফ্রান্স। এমনকি সেনা অভ্যুত্থানের পর নাইজারে ফ্রান্সবিরোধী মনোভাব বেড়েই চলেছে। নাইজার থেকে ফরাসি সেনা প্রত্যাহারে জনগণ বিক্ষোভও করেছেন। এমন পরিস্থিতিতে ফরাসি সেনাদের নাইজার থেকে সরিয়ে নিতে দেশটির জান্তা সরকারের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছে ফ্রান্স সরকার।