এবার চাঁদে মাহাকাশযান পাঠাল জাপান

  • Update Time : ১১:২৭:৫৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • / 130

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

এবার চাঁদের উদ্দেশে মহাকাশযান পাঠিয়েছে জাপান। বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেস্বর) নিজেদের তৈরি এইচ-আইআইএ রকেটে করে চাঁদের উদ্দেশে যাত্রা করে মহাকাশযানটি। এর ফলে দেশটির জন্য চাঁদের বুকে অবতরণ করা পঞ্চম দেশ হিসেবে জাপানের ইতিহাস গড়ার সুযোগ হাতছানি দিচ্ছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

জাপানের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (জাক্সা) জানিয়েছে, পরিকল্পনা অনুসারে তানেগাসিমা স্পেস সেন্টার থেকে রকেটটি যাত্রা করেছে। স্পেস সেন্টার স্মার্ট ল্যান্ডার ফর ইনভেস্টিগেটিং মুন (স্লিম) নামের এ চন্দ্রযানকে সফলভাবে উন্মুক্ত করতে পেরেছে। প্রতিষ্ঠানটির এ মহাকাশ যানকে উড্ডয়নে গত মাসে তিনবার চেষ্টা করেছিল। তবে বিরূপ আবহাওয়ার কারণে তা স্থগিত করা হয়েছিল।

সংস্থাটি চাঁদে লক্ষ্যস্থলের ১০০ মিটারের মধ্যে এটিকে অবতরণের লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে। এটি আগামী বছরের ফ্রেুয়ারিতে অবতরণ করতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ মহাকাশযান উড্ডয়নে জাপানের প্রায় এক হাজার ৯৯ কোটি টাকা খরচ হয়েছে।

জাক্সা প্রেসিডেন্ট হিরোশি ইমাকাওয়া এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, আমরা আমদের লক্ষ্যস্থলে এটিকে অবতরণের সর্বোচ্চ চেষ্টা করব। তবে কোনোাভাবে এটি ব্যর্থ হলে আমরা চাঁদের বুকে যেকোনো জায়গা এটিকে অবতরণ করাব।

সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, এইচ-আইআইএ সিরিজের এ রকেটটি তৈরি করেছে মিতসুবিশি হেভি ইন্ডাস্ট্রিজ। এ রকেটের উড্ডয়ন পরিচালনাও করছে প্রতিষ্ঠানটি। এ রকেটটিসহ মিতসুবিশি ২০০১ সালের পর থেকে এ রকেটটিসহ মিতসুবিশি ৪৭টি এইচ-আইআইএ রকেট উৎক্ষেপণ করেছে। সংশ্লিষ্টদের ধারণা, চাঁদে জাপানের এ অভিযান সফলের সম্ভাবনা ৯৮ শতাংশের কাছাকাছি।

এর আগে গত ২৫ আগস্ট জাপানের অ্যারোস্পেস এক্সপ্লোরেশন এজেন্সি (জেএএক্সএ) জানায়, বিরূপ আবহাওয়ার কারণে এটিকে একদিন পিছিয়ে আগামী ২৮ আগস্ট উৎক্ষেপণ করা হবে। তবে বিরূপ আবহাওয়ার কারণে ওই তারিখেও সেটি ব্যর্থ হয়। এ মহাকাশযানটি একটি উন্নত ইমেজিং স্যাটেলাইট ও একটি লাইটওয়েট ল্যান্ডার বহন করছে।

এর আগে গত ২৩ আগস্ট চাঁদে সফলভাবে অবতরণ করে ভারতের চন্দ্রযান-৩। এর মাধ্যমে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণকারী প্রথম দেশ হিসেবে ইতিহাস গড়েছে তারা। চাঁদে এর আগের সব মিশনে চন্দ্রযানগুলো নিরক্ষরেখার কাছাকাছি নেমেছিল। তবে অনাবিষ্কৃতই ছিল পৃথিবীর একমাত্র উপগ্রহের দক্ষিণ মেরু।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


এবার চাঁদে মাহাকাশযান পাঠাল জাপান

Update Time : ১১:২৭:৫৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

এবার চাঁদের উদ্দেশে মহাকাশযান পাঠিয়েছে জাপান। বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেস্বর) নিজেদের তৈরি এইচ-আইআইএ রকেটে করে চাঁদের উদ্দেশে যাত্রা করে মহাকাশযানটি। এর ফলে দেশটির জন্য চাঁদের বুকে অবতরণ করা পঞ্চম দেশ হিসেবে জাপানের ইতিহাস গড়ার সুযোগ হাতছানি দিচ্ছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

জাপানের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (জাক্সা) জানিয়েছে, পরিকল্পনা অনুসারে তানেগাসিমা স্পেস সেন্টার থেকে রকেটটি যাত্রা করেছে। স্পেস সেন্টার স্মার্ট ল্যান্ডার ফর ইনভেস্টিগেটিং মুন (স্লিম) নামের এ চন্দ্রযানকে সফলভাবে উন্মুক্ত করতে পেরেছে। প্রতিষ্ঠানটির এ মহাকাশ যানকে উড্ডয়নে গত মাসে তিনবার চেষ্টা করেছিল। তবে বিরূপ আবহাওয়ার কারণে তা স্থগিত করা হয়েছিল।

সংস্থাটি চাঁদে লক্ষ্যস্থলের ১০০ মিটারের মধ্যে এটিকে অবতরণের লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে। এটি আগামী বছরের ফ্রেুয়ারিতে অবতরণ করতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ মহাকাশযান উড্ডয়নে জাপানের প্রায় এক হাজার ৯৯ কোটি টাকা খরচ হয়েছে।

জাক্সা প্রেসিডেন্ট হিরোশি ইমাকাওয়া এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, আমরা আমদের লক্ষ্যস্থলে এটিকে অবতরণের সর্বোচ্চ চেষ্টা করব। তবে কোনোাভাবে এটি ব্যর্থ হলে আমরা চাঁদের বুকে যেকোনো জায়গা এটিকে অবতরণ করাব।

সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, এইচ-আইআইএ সিরিজের এ রকেটটি তৈরি করেছে মিতসুবিশি হেভি ইন্ডাস্ট্রিজ। এ রকেটের উড্ডয়ন পরিচালনাও করছে প্রতিষ্ঠানটি। এ রকেটটিসহ মিতসুবিশি ২০০১ সালের পর থেকে এ রকেটটিসহ মিতসুবিশি ৪৭টি এইচ-আইআইএ রকেট উৎক্ষেপণ করেছে। সংশ্লিষ্টদের ধারণা, চাঁদে জাপানের এ অভিযান সফলের সম্ভাবনা ৯৮ শতাংশের কাছাকাছি।

এর আগে গত ২৫ আগস্ট জাপানের অ্যারোস্পেস এক্সপ্লোরেশন এজেন্সি (জেএএক্সএ) জানায়, বিরূপ আবহাওয়ার কারণে এটিকে একদিন পিছিয়ে আগামী ২৮ আগস্ট উৎক্ষেপণ করা হবে। তবে বিরূপ আবহাওয়ার কারণে ওই তারিখেও সেটি ব্যর্থ হয়। এ মহাকাশযানটি একটি উন্নত ইমেজিং স্যাটেলাইট ও একটি লাইটওয়েট ল্যান্ডার বহন করছে।

এর আগে গত ২৩ আগস্ট চাঁদে সফলভাবে অবতরণ করে ভারতের চন্দ্রযান-৩। এর মাধ্যমে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণকারী প্রথম দেশ হিসেবে ইতিহাস গড়েছে তারা। চাঁদে এর আগের সব মিশনে চন্দ্রযানগুলো নিরক্ষরেখার কাছাকাছি নেমেছিল। তবে অনাবিষ্কৃতই ছিল পৃথিবীর একমাত্র উপগ্রহের দক্ষিণ মেরু।