ক্রিমিয়া সেতুতে ‘হামলায়’ দম্পতি নিহত

  • Update Time : ০১:৪৫:২৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ জুলাই ২০২৩
  • / 126

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

ক্রিমিয়া উপদ্বীপের সাথে রাশিয়াকে সংযুক্ত করা ক্রিমিয়া সেতুতে ‘হামলায়’ এক দম্পতি নিহত এবং তাদের মেয়ে আহত হয়েছে। এর ফলে ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার রসদ সরবরাহ লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

সোমবার ভোরের দিকে সেতুটিতে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে ইউক্রেনীয় গণমাধ্যম।

বিভিন্ন মাধ্যমে প্রকাশিত স্থিরছবিতে সেতুটির ওপর ধ্বংসাবশেষ এবং একটি ক্ষতিগ্রস্ত গাড়ি দেখা গেছে। তবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনও স্পষ্ট নয়।

রুশ কর্মকর্তারা একে ‘জরুরি’ পরিস্থিতি বলে অভিহিত করেছেন। রাশিয়ার ওয়াগনার ভাড়াটে গোষ্ঠীর সাথে সম্পৃক্ত টেলিগ্রাম চ্যানেল গ্রে জোন জানায়, ভোর তিনটা চার ও তিনটা ২০ মিনিটে সেতুটিতে দুটি হামলা হয়।

বেলগোরোদ অঞ্চলের গভর্নর ভিয়াচেস্লাভ গ্ল্যাদকভ টেলিগ্রাম মেসেজিং অ্যাপে এক বার্তায় বলেছেন, একটি মেয়ে আহত এবং তার বাবা-মায়ের মৃত্যু হয়েছে।

মেয়েটিকে নিবিড় পরিচর্যায় চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, কোনও ভাষাই এখানে হারানোর বেদনাকে শান্ত করতে পারে না।

রাশিয়ার নিযুক্ত গভর্নর সের্গেই আকসিওনভ বলেছেন, সেতুর ১৪৫তম পিলারে জরুরি অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। তবে তিনি আর কোনও বিস্তারিত জানাননি।

ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলীয় সামরিক কমান্ডের মুখপাত্র নাতালিয়া হুমেনিউক বলেছেন, ক্রিমিয়া সেতুর ঘটনা মস্কোর পক্ষ থেকে উসকানিমূলক কাজ হতে পারে।

তিনি জাতীয় সম্প্রচারকারী রাডাকে বলেন, ‘ক্রিমিয়া দখলকারীদের কর্তৃক এই ধরনের উসকানি সৃষ্টি করা, ক্রিমিয়া এবং আগ্রাসী দেশের কর্তৃপক্ষের সমস্যা সমাধানের একটি সাধারণ উপায়’।

গত অক্টোবরে সেতুটিতে হামলার জন্য ইউক্রেনকে দায়ী করে রাশিয়া। কয়েক মাস পর ইউক্রেন পরোক্ষভাবে হামলার কথা স্বীকার করে।

ইউক্রেনের ওডেসা সামরিক প্রশাসনের মুখপাত্র সেরহি ব্রাচুক তার টেলিগ্রাম অ্যাকাউন্টে একটি ছবি পোস্ট করেছেন, যা দেখে মনে হচ্ছে সেতুটির কিছু অংশ ভেঙে গেছে। এটি কোনও হামলার সঙ্গে জড়িত কিনা তা তাৎক্ষণিকভাবে পরিষ্কার হয়নি।

অক্টোবরের হামলার পর, পুতিন সেতুটি মেরামত করার নির্দেশ দেন এবং এমনকি একটি মার্সিডিজ গাড়িতে করে সেতুটি অতিক্রম করে।

রাশিয়ার পরিবহন মন্ত্রণালয় বলেছে, ক্রিমিয়ান উপদ্বীপের কাছাকাছি সেতুতে রাস্তার ক্ষতি হয়েছে, তবে পিলারগুলোর কোনও ক্ষতি হয়নি। তবে কী কারণে এ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা বলা হয়নি।

বিবিসি রাশিয়ান জানিয়েছে, সেতুর সমান্তরালে চলাচলকারী ফেরি ক্রসিংটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

অন্যদিকে রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তাসংস্থা তাস স্থানীয় রেল অপারেটরকে উদ্ধৃত করে বলেছে, এর ফলে ট্রেন চলাচল বিঘ্নিত হতে পারে।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


ক্রিমিয়া সেতুতে ‘হামলায়’ দম্পতি নিহত

Update Time : ০১:৪৫:২৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ জুলাই ২০২৩

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

ক্রিমিয়া উপদ্বীপের সাথে রাশিয়াকে সংযুক্ত করা ক্রিমিয়া সেতুতে ‘হামলায়’ এক দম্পতি নিহত এবং তাদের মেয়ে আহত হয়েছে। এর ফলে ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার রসদ সরবরাহ লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

সোমবার ভোরের দিকে সেতুটিতে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে ইউক্রেনীয় গণমাধ্যম।

বিভিন্ন মাধ্যমে প্রকাশিত স্থিরছবিতে সেতুটির ওপর ধ্বংসাবশেষ এবং একটি ক্ষতিগ্রস্ত গাড়ি দেখা গেছে। তবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনও স্পষ্ট নয়।

রুশ কর্মকর্তারা একে ‘জরুরি’ পরিস্থিতি বলে অভিহিত করেছেন। রাশিয়ার ওয়াগনার ভাড়াটে গোষ্ঠীর সাথে সম্পৃক্ত টেলিগ্রাম চ্যানেল গ্রে জোন জানায়, ভোর তিনটা চার ও তিনটা ২০ মিনিটে সেতুটিতে দুটি হামলা হয়।

বেলগোরোদ অঞ্চলের গভর্নর ভিয়াচেস্লাভ গ্ল্যাদকভ টেলিগ্রাম মেসেজিং অ্যাপে এক বার্তায় বলেছেন, একটি মেয়ে আহত এবং তার বাবা-মায়ের মৃত্যু হয়েছে।

মেয়েটিকে নিবিড় পরিচর্যায় চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, কোনও ভাষাই এখানে হারানোর বেদনাকে শান্ত করতে পারে না।

রাশিয়ার নিযুক্ত গভর্নর সের্গেই আকসিওনভ বলেছেন, সেতুর ১৪৫তম পিলারে জরুরি অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। তবে তিনি আর কোনও বিস্তারিত জানাননি।

ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলীয় সামরিক কমান্ডের মুখপাত্র নাতালিয়া হুমেনিউক বলেছেন, ক্রিমিয়া সেতুর ঘটনা মস্কোর পক্ষ থেকে উসকানিমূলক কাজ হতে পারে।

তিনি জাতীয় সম্প্রচারকারী রাডাকে বলেন, ‘ক্রিমিয়া দখলকারীদের কর্তৃক এই ধরনের উসকানি সৃষ্টি করা, ক্রিমিয়া এবং আগ্রাসী দেশের কর্তৃপক্ষের সমস্যা সমাধানের একটি সাধারণ উপায়’।

গত অক্টোবরে সেতুটিতে হামলার জন্য ইউক্রেনকে দায়ী করে রাশিয়া। কয়েক মাস পর ইউক্রেন পরোক্ষভাবে হামলার কথা স্বীকার করে।

ইউক্রেনের ওডেসা সামরিক প্রশাসনের মুখপাত্র সেরহি ব্রাচুক তার টেলিগ্রাম অ্যাকাউন্টে একটি ছবি পোস্ট করেছেন, যা দেখে মনে হচ্ছে সেতুটির কিছু অংশ ভেঙে গেছে। এটি কোনও হামলার সঙ্গে জড়িত কিনা তা তাৎক্ষণিকভাবে পরিষ্কার হয়নি।

অক্টোবরের হামলার পর, পুতিন সেতুটি মেরামত করার নির্দেশ দেন এবং এমনকি একটি মার্সিডিজ গাড়িতে করে সেতুটি অতিক্রম করে।

রাশিয়ার পরিবহন মন্ত্রণালয় বলেছে, ক্রিমিয়ান উপদ্বীপের কাছাকাছি সেতুতে রাস্তার ক্ষতি হয়েছে, তবে পিলারগুলোর কোনও ক্ষতি হয়নি। তবে কী কারণে এ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা বলা হয়নি।

বিবিসি রাশিয়ান জানিয়েছে, সেতুর সমান্তরালে চলাচলকারী ফেরি ক্রসিংটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

অন্যদিকে রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তাসংস্থা তাস স্থানীয় রেল অপারেটরকে উদ্ধৃত করে বলেছে, এর ফলে ট্রেন চলাচল বিঘ্নিত হতে পারে।