সাগরে কাঁচা মাছ খেয়ে দুই মাস বেঁচে ছিলেন নাবিক ও তার কুকুর

  • Update Time : ১১:১০:১৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৭ জুলাই ২০২৩
  • / 120

অনলাইন ডেস্ক

প্রশান্ত মহাসাগরে কাঁচা মাছ খেয়ে এবং বৃষ্টির পানি পান করে দুই মাস বেঁচে ছিলেন এক নাবিক ও তার কুকুর। তার অবস্থা ‘স্থিতিশীল এবং খুব ভাল’ বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।

সোমবার বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, সিডনির বাসিন্দা টিম শ্যাডক এবং তার কুকুর বেলা এপ্রিলে মেক্সিকো ছেড়ে ফ্রেঞ্চ পলিনেশিয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হন। কিন্তু কয়েক সপ্তাহ পরে একটি ঝড়ের কারণে তাদের নৌকাটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

এই সপ্তাহে একটি হেলিকপ্টার তাদের দেখতে পাওয়ার পর একটি ট্রলারে করে তাদেরকে উদ্ধার করা হয়।

টুনা মাছ ধরার ট্রলার থেকে এক চিকিৎসক অস্ট্রেলিয়ার নাইন নিউজকে বলেছেন, লোকটির শারীরিক লক্ষণসমূহ ‘স্বাভাবিক’।

৫১ বছর বয়সী শ্যাডক মেক্সিকোর লা পাজ শহর থেকে তার ছয় হাজার কিলোমিটারের যাত্রা শুরু করেন। তবে খারাপ আবহাওয়ার কারণে জাহাজের ইলেকট্রনিক্স বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ার পর তিনি সাগরে আটকা পড়েন।

এই নাবিক ও তার কুকুর টানা দুই মাস বিশাল এবং প্রতিকূল উত্তর প্রশান্ত মহাসাগরে ভেসে বেড়ান।

অবশেষে দুই মাস পরে যখন তাদের মেক্সিকো উপকূলে পাওয়া গেল, তখন তিনি অনেকটাই দুর্বল হয়ে পড়েছেন এবং তার চেহারা দাড়িগোঁফে ঢেকে গেছে।

এক ভিডিওতে শ্যাডক বলেন, ‘আমি সমুদ্রে খুব কঠিন অগ্নিপরীক্ষার মধ্য দিয়ে গেছি। আমার শুধু বিশ্রাম এবং ভালো খাবার দরকার কারণ আমি দীর্ঘদিন ধরে সমুদ্রে একা ছিলাম। অন্যথায় আমি খুব ভালো আছি’।

মাছ ধরার সরঞ্জাম তাকে বেঁচে থাকতে সাহায্য করে বলে জানান তিনি। তিনি তার নৌকার ছাউনির নীচে আশ্রয় দিয়ে রোদে পুড়ে যাওয়া এড়াতে সক্ষম হন।

উদ্ধারের পরপরই তাকে হাসতে দেখা যায় এবং তার বাহুতে রক্তচাপের মনিটর পরা দেখা যায়। অল্পস্বল্প খাবারও খেতে পারছেন তিনি।

টুনা ট্রলারটি এখন মেক্সিকোতে ফিরে যাচ্ছে, যেখানে শ্যাডকের মেডিক্যাল পরীক্ষা করা হবে এবং প্রয়োজনে আরও চিকিত্সা দেয়া হবে।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


সাগরে কাঁচা মাছ খেয়ে দুই মাস বেঁচে ছিলেন নাবিক ও তার কুকুর

Update Time : ১১:১০:১৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৭ জুলাই ২০২৩

অনলাইন ডেস্ক

প্রশান্ত মহাসাগরে কাঁচা মাছ খেয়ে এবং বৃষ্টির পানি পান করে দুই মাস বেঁচে ছিলেন এক নাবিক ও তার কুকুর। তার অবস্থা ‘স্থিতিশীল এবং খুব ভাল’ বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।

সোমবার বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, সিডনির বাসিন্দা টিম শ্যাডক এবং তার কুকুর বেলা এপ্রিলে মেক্সিকো ছেড়ে ফ্রেঞ্চ পলিনেশিয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হন। কিন্তু কয়েক সপ্তাহ পরে একটি ঝড়ের কারণে তাদের নৌকাটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

এই সপ্তাহে একটি হেলিকপ্টার তাদের দেখতে পাওয়ার পর একটি ট্রলারে করে তাদেরকে উদ্ধার করা হয়।

টুনা মাছ ধরার ট্রলার থেকে এক চিকিৎসক অস্ট্রেলিয়ার নাইন নিউজকে বলেছেন, লোকটির শারীরিক লক্ষণসমূহ ‘স্বাভাবিক’।

৫১ বছর বয়সী শ্যাডক মেক্সিকোর লা পাজ শহর থেকে তার ছয় হাজার কিলোমিটারের যাত্রা শুরু করেন। তবে খারাপ আবহাওয়ার কারণে জাহাজের ইলেকট্রনিক্স বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ার পর তিনি সাগরে আটকা পড়েন।

এই নাবিক ও তার কুকুর টানা দুই মাস বিশাল এবং প্রতিকূল উত্তর প্রশান্ত মহাসাগরে ভেসে বেড়ান।

অবশেষে দুই মাস পরে যখন তাদের মেক্সিকো উপকূলে পাওয়া গেল, তখন তিনি অনেকটাই দুর্বল হয়ে পড়েছেন এবং তার চেহারা দাড়িগোঁফে ঢেকে গেছে।

এক ভিডিওতে শ্যাডক বলেন, ‘আমি সমুদ্রে খুব কঠিন অগ্নিপরীক্ষার মধ্য দিয়ে গেছি। আমার শুধু বিশ্রাম এবং ভালো খাবার দরকার কারণ আমি দীর্ঘদিন ধরে সমুদ্রে একা ছিলাম। অন্যথায় আমি খুব ভালো আছি’।

মাছ ধরার সরঞ্জাম তাকে বেঁচে থাকতে সাহায্য করে বলে জানান তিনি। তিনি তার নৌকার ছাউনির নীচে আশ্রয় দিয়ে রোদে পুড়ে যাওয়া এড়াতে সক্ষম হন।

উদ্ধারের পরপরই তাকে হাসতে দেখা যায় এবং তার বাহুতে রক্তচাপের মনিটর পরা দেখা যায়। অল্পস্বল্প খাবারও খেতে পারছেন তিনি।

টুনা ট্রলারটি এখন মেক্সিকোতে ফিরে যাচ্ছে, যেখানে শ্যাডকের মেডিক্যাল পরীক্ষা করা হবে এবং প্রয়োজনে আরও চিকিত্সা দেয়া হবে।