এক সপ্তাহের মধ্যেই বিশ্বের জনসংখ্যা ৮০০ কোটি হবে

  • Update Time : ১০:৩১:০০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ নভেম্বর ২০২২
  • / 180

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

আগামী ১৫ নভেম্বরের মধ্যে ৮০০ কোটি জনসংখ্যার মাইলফলক স্পর্শ করতে যাচ্ছে বিশ্ব।

জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিলের প্রধান নাটালিয়া কানেম বলেন, ৮০০ কোটি মানুষ মানবসভ্যতার জন্য গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। এ জন্য প্রত্যাশিত গড় আয়ু বৃদ্ধি এবং মা ও শিশুমৃত্যু কমে আসার প্রশংসা করেছেন তিনি।

কানেম বলেন, ‘যদিও আমি বুঝতে পারছি, মুহূর্তটি সবাই উদ্‌যাপন নাও করতে পারে। আমাদের বিশ্বে অতিরিক্ত জনসংখ্যা বলে কেউ কেউ উদ্বিগ্ন। আমি এখানে বলতে চাই, মানবজীবনের নিছক এই সংখ্যা কোনো ভয়ের কারণ নয়।’

রকফেলার ইউনিভার্সিটির ল্যাবরেটরি অব পপুলেশনসের জোয়েল কোহেন এএফপিকে বলেন, ‘পৃথিবী কত মানুষের ভার নিতে পারে, এমন প্রশ্নের দুটি দিক থাকে-প্রাকৃতিক সীমাবদ্ধতা ও আমাদের পছন্দসমূহ।’

আমাদের সমস্যা হলো- পৃথিবী প্রতিবছর যে পরিমাণ পুনরুৎপাদন করতে পারে, তার চেয়ে মানবজাতির জৈবিক সম্পদ যেমন বন, ভূমি ইত্যাদি ভোগের মাত্রা বেশি। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, জীবাশ্ম জ্বালানির অত্যধিক ব্যবহার আরও বেশি কার্বন ডাই–অক্সাইড নির্গমনের দিকে ঠেলে দিচ্ছে, যা বৈশ্বিক উষ্ণায়নের জন্য দায়ী।

অধিকাংশ বিশেষজ্ঞ বলছেন, ধনী বাসিন্দাদের অতিমাত্রায় সম্পদ ভোগই হচ্ছে তুলনামূলক বড় সমস্যা।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


এক সপ্তাহের মধ্যেই বিশ্বের জনসংখ্যা ৮০০ কোটি হবে

Update Time : ১০:৩১:০০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ নভেম্বর ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

আগামী ১৫ নভেম্বরের মধ্যে ৮০০ কোটি জনসংখ্যার মাইলফলক স্পর্শ করতে যাচ্ছে বিশ্ব।

জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিলের প্রধান নাটালিয়া কানেম বলেন, ৮০০ কোটি মানুষ মানবসভ্যতার জন্য গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। এ জন্য প্রত্যাশিত গড় আয়ু বৃদ্ধি এবং মা ও শিশুমৃত্যু কমে আসার প্রশংসা করেছেন তিনি।

কানেম বলেন, ‘যদিও আমি বুঝতে পারছি, মুহূর্তটি সবাই উদ্‌যাপন নাও করতে পারে। আমাদের বিশ্বে অতিরিক্ত জনসংখ্যা বলে কেউ কেউ উদ্বিগ্ন। আমি এখানে বলতে চাই, মানবজীবনের নিছক এই সংখ্যা কোনো ভয়ের কারণ নয়।’

রকফেলার ইউনিভার্সিটির ল্যাবরেটরি অব পপুলেশনসের জোয়েল কোহেন এএফপিকে বলেন, ‘পৃথিবী কত মানুষের ভার নিতে পারে, এমন প্রশ্নের দুটি দিক থাকে-প্রাকৃতিক সীমাবদ্ধতা ও আমাদের পছন্দসমূহ।’

আমাদের সমস্যা হলো- পৃথিবী প্রতিবছর যে পরিমাণ পুনরুৎপাদন করতে পারে, তার চেয়ে মানবজাতির জৈবিক সম্পদ যেমন বন, ভূমি ইত্যাদি ভোগের মাত্রা বেশি। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, জীবাশ্ম জ্বালানির অত্যধিক ব্যবহার আরও বেশি কার্বন ডাই–অক্সাইড নির্গমনের দিকে ঠেলে দিচ্ছে, যা বৈশ্বিক উষ্ণায়নের জন্য দায়ী।

অধিকাংশ বিশেষজ্ঞ বলছেন, ধনী বাসিন্দাদের অতিমাত্রায় সম্পদ ভোগই হচ্ছে তুলনামূলক বড় সমস্যা।