নজিরবিহীন খরায় বিপর্যস্ত ইউরোপ

  • Update Time : ১১:০১:৪৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ অগাস্ট ২০২২
  • / 168

নিউজ ডেস্কঃ 

বিগত ৫০০ বছরের মধ্যে এমন ভয়ংকর খরার মুখে আর পড়েনি ইউরোপ। নজিরবিহীন খরায় বিপর্যস্ত শীতপ্রধান মহাদেশটির মানুষ। এ অঞ্চলের দুই-তৃতীয়াংশ এলাকা এখন কোনো না কোনো ধরনের সতর্কতার আওতায় রয়েছে।

খরার কারণে ইউরোপের ৪৭ শতাংশ এলাকা সতর্কতামূলক পরিস্থিতিতে রয়েছে, যেখানে মাটির আর্দ্রতা স্পষ্টত কমে গেছে। আরো ১৭ শতাংশ এলাকা সতর্ক অবস্থায় রয়েছে, যেখানে গাছপালা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

ইউরোপীয় কমিশনের ইউরোপিয়ান ড্রট অবজারভেটরি (ইডিও) জানিয়েছে যে, ভয়ংকর খরার কারণে কমে গেছে অভ্যন্তরীণ নৌযান চলাচল, বিদ্যুৎ ও ফসল উৎপাদন।

রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।

ইডিওর আগস্ট মাসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বছরের শুরু থেকে ইউরোপের বহু অঞ্চলকে ক্ষতিগ্রস্ত করা মারাত্মক খরা আগস্টের শুরুর দিকে আরো প্রসারিত ও খারাপ হয়েছে। পশ্চিম ইউরোপ-ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলগুলোতে অন্তত আগামী নভেম্বর মাস পর্যন্ত স্বাভাবিকের তুলনায় উষ্ণ ও শুষ্ক আবহাওয়া থাকার আশঙ্কা রয়েছে।

 

এদিকে ইউরোপীয় কমিশন এক বিবৃতিতে বলেছে, খরায় গ্রীষ্মকালীন ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ২০২২ সালে ভুট্টার ফলন আগের পাঁচ বছরের গড় থেকে ১৬ শতাংশ কম এবং সয়াবিন ও সূর্যমুখীর ফলন যথাক্রমে ১৫ শতাংশ ও ১২ শতাংশ কম হবে। উষ্ণ আবহাওয়ায় ইউরোপের জলবিদ্যুৎ উৎপাদন যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তেমনি শীতলীকরণ ব্যবস্থায় পানির ঘাটতির কারণে অন্যান্য বিদ্যুৎ উৎপাদনকারীদের ওপরও প্রভাব পড়ছে। পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় অভ্যন্তরীণ জাহাজ চলাচল বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। যেমন রাইন নদীতে চলাচলকারী জাহাজগুলোর লোড কমাতে হওয়ায় তেল ও কয়লা পরিবহনে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


নজিরবিহীন খরায় বিপর্যস্ত ইউরোপ

Update Time : ১১:০১:৪৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ অগাস্ট ২০২২

নিউজ ডেস্কঃ 

বিগত ৫০০ বছরের মধ্যে এমন ভয়ংকর খরার মুখে আর পড়েনি ইউরোপ। নজিরবিহীন খরায় বিপর্যস্ত শীতপ্রধান মহাদেশটির মানুষ। এ অঞ্চলের দুই-তৃতীয়াংশ এলাকা এখন কোনো না কোনো ধরনের সতর্কতার আওতায় রয়েছে।

খরার কারণে ইউরোপের ৪৭ শতাংশ এলাকা সতর্কতামূলক পরিস্থিতিতে রয়েছে, যেখানে মাটির আর্দ্রতা স্পষ্টত কমে গেছে। আরো ১৭ শতাংশ এলাকা সতর্ক অবস্থায় রয়েছে, যেখানে গাছপালা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

ইউরোপীয় কমিশনের ইউরোপিয়ান ড্রট অবজারভেটরি (ইডিও) জানিয়েছে যে, ভয়ংকর খরার কারণে কমে গেছে অভ্যন্তরীণ নৌযান চলাচল, বিদ্যুৎ ও ফসল উৎপাদন।

রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।

ইডিওর আগস্ট মাসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বছরের শুরু থেকে ইউরোপের বহু অঞ্চলকে ক্ষতিগ্রস্ত করা মারাত্মক খরা আগস্টের শুরুর দিকে আরো প্রসারিত ও খারাপ হয়েছে। পশ্চিম ইউরোপ-ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলগুলোতে অন্তত আগামী নভেম্বর মাস পর্যন্ত স্বাভাবিকের তুলনায় উষ্ণ ও শুষ্ক আবহাওয়া থাকার আশঙ্কা রয়েছে।

 

এদিকে ইউরোপীয় কমিশন এক বিবৃতিতে বলেছে, খরায় গ্রীষ্মকালীন ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ২০২২ সালে ভুট্টার ফলন আগের পাঁচ বছরের গড় থেকে ১৬ শতাংশ কম এবং সয়াবিন ও সূর্যমুখীর ফলন যথাক্রমে ১৫ শতাংশ ও ১২ শতাংশ কম হবে। উষ্ণ আবহাওয়ায় ইউরোপের জলবিদ্যুৎ উৎপাদন যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তেমনি শীতলীকরণ ব্যবস্থায় পানির ঘাটতির কারণে অন্যান্য বিদ্যুৎ উৎপাদনকারীদের ওপরও প্রভাব পড়ছে। পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় অভ্যন্তরীণ জাহাজ চলাচল বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। যেমন রাইন নদীতে চলাচলকারী জাহাজগুলোর লোড কমাতে হওয়ায় তেল ও কয়লা পরিবহনে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে।