বরিস জনসনের পতনে উচ্ছ্বসিত রুশরা

  • Update Time : ১০:৫৬:৪৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ জুলাই ২০২২
  • / 185

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের রাজনৈতিক পতনে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করছেন রুশ রাজনীতিকরা। জনসনকে ‘বোকা ভাঁড়’ হিসেবে উল্লেখ করে তিনি ‘রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইউক্রেনকে অস্ত্র দেওয়ার ফল ভোগ করছেন’ বলে মন্তব্য করেন তারা।

রুশ প্রেসিডেন্টের কার্যালয় ক্রেমলিন মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ জনসনের পদত্যাগের ঘোষণার আগে বলেছিলেন, তিনি আমাদের পছন্দ করেন না, আমরাও তাকে পছন্দ করি না। খবর: রয়টার্সের।

রুশ ধনকুবের ওলেগ ডেরিপাসকা টেলিগ্রামে বরিস জনসনের পদত্যাগ প্রসঙ্গে লিখেছেন, ‘একজন বোকা ভাঁড়ের গৌরবহীন সমাপ্তি’।

রুশ পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষের স্পিকার ভিয়াচেস্লাভ বলেছেন, ‘ভাঁড় চলে যাচ্ছে’।

রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা বলেছেন, ‘জনসনের পতন পশ্চিমাদের ক্ষয়িষ্ণুতার লক্ষণ।’

তিনি আরও বলেন, এই গল্পের নৈতিকতা হলো: রাশিয়াকে ধ্বংসের চেষ্টা করবেন না। রাশিয়াকে ধ্বংস করা যাবে না। আপনারা নিজের দাঁত ভেঙে তা গিলতে পারেন।

উল্লেখ্য, পুতিন ইউক্রেনে সামরিক অভিযানের নির্দেশ দেওয়ার আগে থেকেই বারবার তার সমালোচনা করে আসছিলেন জনসন। আক্রমণের পর জনসনের নেতৃত্বে ইউক্রেনের বৃহত্তম পশ্চিমা সমর্থক হয়ে ওঠে ব্রিটেন। ইউক্রেনে পাঠানো হয় অস্ত্র সহায়তা, গুরুতর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয় রাশিয়ার বিরুদ্ধে। যুদ্ধের মধ্যেই ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠক করতে দুইবার কিয়েভ সফরও করেছেন জনসন। এসব কারণেই রাশিয়ায় এই ব্রিটিশ নেতা অজনপ্রিয় হয়ে পড়েছেন বলে বিশ্লেষকদের ধারণা।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


বরিস জনসনের পতনে উচ্ছ্বসিত রুশরা

Update Time : ১০:৫৬:৪৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ জুলাই ২০২২

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের রাজনৈতিক পতনে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করছেন রুশ রাজনীতিকরা। জনসনকে ‘বোকা ভাঁড়’ হিসেবে উল্লেখ করে তিনি ‘রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইউক্রেনকে অস্ত্র দেওয়ার ফল ভোগ করছেন’ বলে মন্তব্য করেন তারা।

রুশ প্রেসিডেন্টের কার্যালয় ক্রেমলিন মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ জনসনের পদত্যাগের ঘোষণার আগে বলেছিলেন, তিনি আমাদের পছন্দ করেন না, আমরাও তাকে পছন্দ করি না। খবর: রয়টার্সের।

রুশ ধনকুবের ওলেগ ডেরিপাসকা টেলিগ্রামে বরিস জনসনের পদত্যাগ প্রসঙ্গে লিখেছেন, ‘একজন বোকা ভাঁড়ের গৌরবহীন সমাপ্তি’।

রুশ পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষের স্পিকার ভিয়াচেস্লাভ বলেছেন, ‘ভাঁড় চলে যাচ্ছে’।

রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা বলেছেন, ‘জনসনের পতন পশ্চিমাদের ক্ষয়িষ্ণুতার লক্ষণ।’

তিনি আরও বলেন, এই গল্পের নৈতিকতা হলো: রাশিয়াকে ধ্বংসের চেষ্টা করবেন না। রাশিয়াকে ধ্বংস করা যাবে না। আপনারা নিজের দাঁত ভেঙে তা গিলতে পারেন।

উল্লেখ্য, পুতিন ইউক্রেনে সামরিক অভিযানের নির্দেশ দেওয়ার আগে থেকেই বারবার তার সমালোচনা করে আসছিলেন জনসন। আক্রমণের পর জনসনের নেতৃত্বে ইউক্রেনের বৃহত্তম পশ্চিমা সমর্থক হয়ে ওঠে ব্রিটেন। ইউক্রেনে পাঠানো হয় অস্ত্র সহায়তা, গুরুতর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয় রাশিয়ার বিরুদ্ধে। যুদ্ধের মধ্যেই ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠক করতে দুইবার কিয়েভ সফরও করেছেন জনসন। এসব কারণেই রাশিয়ায় এই ব্রিটিশ নেতা অজনপ্রিয় হয়ে পড়েছেন বলে বিশ্লেষকদের ধারণা।