ইউক্রেনে বিদেশি হস্তক্ষেপ: পুতিনের কঠোর হুঁশিয়ারি

  • Update Time : ১১:১৮:৫১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২২
  • / 176

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, কোনো দেশ ইউক্রেন যুদ্ধে হস্তক্ষেপ করলে তাকে কঠোর পরিণতি বরণ করতে হবে।

তিনি বলেছেন, “আমাদের সব ধরনের উপকরণ আছে। দরকার হলে আমরা তা ব্যবহার করবো।”

বুধবার (২৭ এপ্রিল) সেন্ট পিটার্সবার্গে রাশিয়ান আইন প্রণেতাদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন। খবর বিবিসির।

পুতিন আরও বলেন, “কেউ যদি বাইরে থেকে ইউক্রেনে হস্তক্ষেপের চেষ্টা করে ও রাশিয়ার জন্য কৌশলগত হুমকি সৃষ্টি করে, তাহলে আমরা বিদ্যুৎ গতিতে জবাব দেবো।”

ধারণা করা হচ্ছে, এ বক্তব্যের মাধ্যমে তিনি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ও পারমাণবিক অস্ত্রের কথাই বলেছেন। তবে যুদ্ধে যেন রাশিয়াকে ইউক্রেন হারাতে পারে, সেজন্য ইউক্রেনের সহযোগী দেশগুলো অস্ত্র সরবরাহ বাড়িয়েছে।

পশ্চিমারা বলেন, “ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে রাশিয়া ব্যাপক প্রতিরোধের মুখে পড়েছে।”

গত সপ্তাহে কিয়েভের আশপাশের এলাকা থেকে সেনা প্রত্যাহারের পর রাশিয়া ডনবাস উপত্যকায় ব্যাপক হামলা চালিয়েছে। যদিও পশ্চিমারা বলছেন ইউক্রেনীয়দের প্রতিরোধের কারণে রাশিয়ান বাহিনী কঠিন পরিস্থিতিতে পড়েছে।

এদিকে রাশিয়া পোল্যান্ড ও বুলগেরিয়ায় গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দেয়ার পর রাশিয়ার বিরুদ্ধে ব্ল্যাকমেইলের অভিযোগ তুলেছে ইউরোপীয় কমিশন। কমিশনের প্রেসিডেন্ট বলেছেন, ‘রাশিয়া প্রমাণ করেছে যে সরবরাহকারী দেশ হিসেবে তারা নির্ভরযোগ্য নয়।’

ক্রেমলিন বলছে, পশ্চিমা দেশগুলোর অবন্ধুসুলভ আচরণের কারণেই এটি করতে বাধ্য হয়েছে রাশিয়া। অন্যদিকে রুবলে অর্থ পরিশোধ না করায় রাশিয়ার সরকারি কোম্পানি গ্যাজপ্রম পোল্যান্ড ও বুলগেরিয়ায় গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে।

গত ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে ইউক্রেনে হামলা শুরু করে রাশিয়া। এরপর থেকে পারমাণবিক অস্ত্রকে সতর্ক অবস্থায় রাখার নির্দেশ দিয়ে রেখেছেন তিনি।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


ইউক্রেনে বিদেশি হস্তক্ষেপ: পুতিনের কঠোর হুঁশিয়ারি

Update Time : ১১:১৮:৫১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২২

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, কোনো দেশ ইউক্রেন যুদ্ধে হস্তক্ষেপ করলে তাকে কঠোর পরিণতি বরণ করতে হবে।

তিনি বলেছেন, “আমাদের সব ধরনের উপকরণ আছে। দরকার হলে আমরা তা ব্যবহার করবো।”

বুধবার (২৭ এপ্রিল) সেন্ট পিটার্সবার্গে রাশিয়ান আইন প্রণেতাদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন। খবর বিবিসির।

পুতিন আরও বলেন, “কেউ যদি বাইরে থেকে ইউক্রেনে হস্তক্ষেপের চেষ্টা করে ও রাশিয়ার জন্য কৌশলগত হুমকি সৃষ্টি করে, তাহলে আমরা বিদ্যুৎ গতিতে জবাব দেবো।”

ধারণা করা হচ্ছে, এ বক্তব্যের মাধ্যমে তিনি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ও পারমাণবিক অস্ত্রের কথাই বলেছেন। তবে যুদ্ধে যেন রাশিয়াকে ইউক্রেন হারাতে পারে, সেজন্য ইউক্রেনের সহযোগী দেশগুলো অস্ত্র সরবরাহ বাড়িয়েছে।

পশ্চিমারা বলেন, “ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে রাশিয়া ব্যাপক প্রতিরোধের মুখে পড়েছে।”

গত সপ্তাহে কিয়েভের আশপাশের এলাকা থেকে সেনা প্রত্যাহারের পর রাশিয়া ডনবাস উপত্যকায় ব্যাপক হামলা চালিয়েছে। যদিও পশ্চিমারা বলছেন ইউক্রেনীয়দের প্রতিরোধের কারণে রাশিয়ান বাহিনী কঠিন পরিস্থিতিতে পড়েছে।

এদিকে রাশিয়া পোল্যান্ড ও বুলগেরিয়ায় গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দেয়ার পর রাশিয়ার বিরুদ্ধে ব্ল্যাকমেইলের অভিযোগ তুলেছে ইউরোপীয় কমিশন। কমিশনের প্রেসিডেন্ট বলেছেন, ‘রাশিয়া প্রমাণ করেছে যে সরবরাহকারী দেশ হিসেবে তারা নির্ভরযোগ্য নয়।’

ক্রেমলিন বলছে, পশ্চিমা দেশগুলোর অবন্ধুসুলভ আচরণের কারণেই এটি করতে বাধ্য হয়েছে রাশিয়া। অন্যদিকে রুবলে অর্থ পরিশোধ না করায় রাশিয়ার সরকারি কোম্পানি গ্যাজপ্রম পোল্যান্ড ও বুলগেরিয়ায় গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে।

গত ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে ইউক্রেনে হামলা শুরু করে রাশিয়া। এরপর থেকে পারমাণবিক অস্ত্রকে সতর্ক অবস্থায় রাখার নির্দেশ দিয়ে রেখেছেন তিনি।