এরদোগানের সাথে ফোনালাপে দাবিদাওয়া তুলে ধরলেন পুতিন
- Update Time : ১১:৩২:৫৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ মার্চ ২০২২
- / 200
আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোগানের সাথে এক ফোনালাপে ইউক্রেন ইস্যুতে নিজের সকল দাবিদাওয়া তুলে ধরেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
বৃহস্পতিবার (১৭ মার্চ) অনুষ্ঠিত এ ফোনালাপে যুক্ত ছিলেন এরদোগানের অন্যতম উপদেষ্টা ও মুখপাত্র ইব্রাহিম কেলিন। বিবিসির সাথে এক সাক্ষাৎকারে তিনি পুতিনের দাবিগুলো সম্পর্কে জানিয়েছেন।
কেলিন বলেন, ইউক্রেনের কাছে রাশিয়ার দাবিগুলো মূলত দুই শ্রেণির। এর মধ্যে প্রথম চারটি দাবি পারতপক্ষে খুব একটা কঠিন কিছু নয়।
প্রথমত, ইউক্রেনকে নিরপেক্ষ রাষ্ট্র হিসেবে থেকে ন্যাটোতে যোগ দেয়ার দাবি প্রত্যাহার করতে হবে, যা করতে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ইতোমধ্যে সম্মত হয়েছেন।
দ্বিতীয়ত, ইউক্রেনকে নিরস্ত্রীকরণ প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে গিয়ে প্রমাণ করতে হবে যে এটি রাশিয়ার জন্য হুমকি নয়।
তৃতীয়ত, ইউক্রেনে রাশিয়ান ভাষার জন্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
এরপর আসে অ-নাৎসিকরণের প্রশ্ন। এটি জেলেনস্কির জন্য অপমানজনক হতে পারে, কেননা তার পরিবারের বেশ কয়েকজন সদস্য হলোকস্টের সময় মারা যান।
তবে এই শর্ত মেনে নেয়া জেলেনস্কির জন্য খুব একটা কঠিন হবে না বলেমনে করে তুরস্ক। এর মাধ্যমে ইউক্রেন সব ধরনের নব্য-নাৎসিদের নিয়ন্ত্রণ করবে বলে আশাবাদ তাদের।
এ তো গেলো পুতিনের দাবির প্রথম অংশ। তবে দ্বিতীয় অংশের সব পয়েন্টে ঐক্যমত্যে পৌঁছাতে হলে পুতিন ও জেলেনস্কির মধ্যে সরাসরি আলাপ-আলোচনার দরকার হবে মনে করেন বলে ফোনালাপে জানান পুতিন।
দ্বিতীয় অংশের দাবিগুলো সম্পর্কে নির্দিষ্ট করে কিছু বলেননি কেলিন। তবে এর সাথে পূর্ব ইউক্রেনের ডনবাস ও ক্রিমিয়া অঞ্চলের প্রশ্ন জড়িত বলে জানান তিনি।
ধারণা করা হচ্ছে, ইউক্রেনের কাছে পূর্বাঞ্চলের বিচ্ছিন্নতাবাদী অঞ্চলগুলোর দখল দাবি করতে পারে রাশিয়া। তেমনটা হলে তা বিতর্কের জন্ম দেবে তাতে কোনো সন্দেহ নেই।
সেইসাথে ক্রিমিয়া যে এখন রাশিয়ার অংশ, তা স্বীকার করে নিতে ইউক্রেনের কাছে দাবি জানাতে পারে রাশিয়া।
আপাতদৃষ্টিতে এসব দাবিকে খুব একটা জটিল কিছু মনে না হলেও, এগুলো যে ইউক্রেনের জন্য অত্যন্ত উদ্বেগজনক ইস্যু তা নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই।
কেননা চুক্তির প্রত্যেকটি অংশ পুঙ্খানুপুঙ্খুভাবে ঠিক করা না হলে, ভবিষ্যতে রাশিয়া যেকোনো সময় চুক্তি ভঙ্গের অভিযোগে ইউক্রেনে হামলা করে বসতে পারে।
সামনের দিনগুলোতে যুদ্ধবিরতির মাধ্যমে রক্তপাত বন্ধ হলেও, শান্তিচুক্তি নিয়ে আলোচনা শেষ হতে যে বেশ খানিকটা সময় লাগবে তাতে আপাতত কোনো সন্দেহ নেই।