বাংলাদেশি জাহাজের নিরাপদ প্রস্থান নিশ্চিতে মস্কোর আশ্বাস

  • Update Time : ০৬:২৪:৪২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৪ মার্চ ২০২২
  • / 137

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ

ইউক্রেনে সশস্ত্র সংঘাতে বাংলাদেশি জাহাজের একজন নাবিকের মৃত্যুতে রাশিয়া বৃহস্পতিবার দু:খ প্রকাশ করে জাহাজটির নিরাপদ প্রস্থান নিশ্চিত করতে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালানোর বিষয়ে বাংলাদেশকে আশ্বস্থ করেছে।

ঢাকায় রাশিয়ার দূতাবাসের এক বিবৃতিতে বাংলাদেশি একজন নাবিকের মৃত্যুতে তার প্রিয়জনদের কাছে গভীর দু:খ প্রকাশ করা হয়।

বিবৃতিতে এ ঘটনার বিস্তারিত বর্ণনা না দিয়ে বলা হয়েছে, ইউক্রেনের ওলভিয়া বন্দরে নোঙ্গর করা বাংলাদেশি জাহাজ এমভি বাংলার সমৃদ্ধির তৃতীয় ইঞ্জিনিয়ার নাবিক হাদিসুর রহমান মারা গেছেন।

বিবৃতিতে দাবি করা হয়, ইউক্রেনের নাগরিকরা এলোপাথারি গুলি বর্ষন করছে এবং মানব ঢাল হিসাবে ব্যবহার করতে অনেককে জিম্মি করছে যা একটি সন্ত্রাসী কৌশল।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ইউক্রেনে বিশেষ সামরিক অভিযানে সৃষ্ট মানবিক সংকট নিরসনে +৭৪৯৫৪৯৮-৩৪-৪৬, +৭৪৯৫৪০৮-৪২-১১,+৭৪৯৫৪৯৮-৪১-০৯ হট লাইন চালু করেছে। বিবৃতিতে gumvs@mil.ru এই ই-মেইল তথ্য পাঠানোর পরামর্শ দেয়া হয়।

চট্টগ্রামে বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশনের (বিএসসি) কর্মকর্তারা বলেছেন, তাদের জাহাজ এমভি বাংলার সমৃদ্ধি ইউক্রেন বন্দরে আটকা পড়েছিল।

বিএসসি’র নির্বাহী পরিচালক পীযূষ দত্ত সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, নাবিকদের উদ্ধারে আমরা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি। তাদের নিরাপদ প্রস্থান সম্পর্কে আলোচনার জন্য আন্তর্জাতিক সমুদ্র আইন বিশ্লেষণ দেখছি।

কর্মকর্তা জানান, হামলার আগে জাহাজটি বন্দর থেকে সরে যাওয়ার কথা ছিল, কিন্তু বন্দর কর্তৃপক্ষের ক্লিয়ারেন্স পেতে দেরি হওয়ায় এবং বন্দর কার্যক্রম স্থগিত হয়ে পড়ায় ছেড়ে যেতে পারেনি।

তিনি বলেন, জাহাজের ক্যাপ্টেন ও ক্রুদের কাজে বিএসসি সন্তুষ্ট। তারা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ক্ষতি কমানোর জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করেছে।

দত্ত বলেন, হাদিসুর রহমান ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় নিহত হয়েছেন। ইউক্রেনের বন্দরে গত রাত ৯টা ২৫ মিনিটে হামলার সঙ্গে সঙ্গে জাহাজে আগুন লেগে যায়। জাহাজের বাকি ২৮ জন ক্রু সদস্য নিরাপদে রয়েছে এবং অবিলম্বে জাহাজটির আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়।

তিনি জানান, বিএসসির আরেকটি কার্গো জাহাজ ইউক্রেনে যাচ্ছিল, কিন্তু সেটিকে গতিপথ পরিবর্তন করার এবং আন্তর্জাতিক জলসীমায় থাকতে নির্দেশ দেয়া হয়।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


বাংলাদেশি জাহাজের নিরাপদ প্রস্থান নিশ্চিতে মস্কোর আশ্বাস

Update Time : ০৬:২৪:৪২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৪ মার্চ ২০২২

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ

ইউক্রেনে সশস্ত্র সংঘাতে বাংলাদেশি জাহাজের একজন নাবিকের মৃত্যুতে রাশিয়া বৃহস্পতিবার দু:খ প্রকাশ করে জাহাজটির নিরাপদ প্রস্থান নিশ্চিত করতে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালানোর বিষয়ে বাংলাদেশকে আশ্বস্থ করেছে।

ঢাকায় রাশিয়ার দূতাবাসের এক বিবৃতিতে বাংলাদেশি একজন নাবিকের মৃত্যুতে তার প্রিয়জনদের কাছে গভীর দু:খ প্রকাশ করা হয়।

বিবৃতিতে এ ঘটনার বিস্তারিত বর্ণনা না দিয়ে বলা হয়েছে, ইউক্রেনের ওলভিয়া বন্দরে নোঙ্গর করা বাংলাদেশি জাহাজ এমভি বাংলার সমৃদ্ধির তৃতীয় ইঞ্জিনিয়ার নাবিক হাদিসুর রহমান মারা গেছেন।

বিবৃতিতে দাবি করা হয়, ইউক্রেনের নাগরিকরা এলোপাথারি গুলি বর্ষন করছে এবং মানব ঢাল হিসাবে ব্যবহার করতে অনেককে জিম্মি করছে যা একটি সন্ত্রাসী কৌশল।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ইউক্রেনে বিশেষ সামরিক অভিযানে সৃষ্ট মানবিক সংকট নিরসনে +৭৪৯৫৪৯৮-৩৪-৪৬, +৭৪৯৫৪০৮-৪২-১১,+৭৪৯৫৪৯৮-৪১-০৯ হট লাইন চালু করেছে। বিবৃতিতে gumvs@mil.ru এই ই-মেইল তথ্য পাঠানোর পরামর্শ দেয়া হয়।

চট্টগ্রামে বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশনের (বিএসসি) কর্মকর্তারা বলেছেন, তাদের জাহাজ এমভি বাংলার সমৃদ্ধি ইউক্রেন বন্দরে আটকা পড়েছিল।

বিএসসি’র নির্বাহী পরিচালক পীযূষ দত্ত সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, নাবিকদের উদ্ধারে আমরা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি। তাদের নিরাপদ প্রস্থান সম্পর্কে আলোচনার জন্য আন্তর্জাতিক সমুদ্র আইন বিশ্লেষণ দেখছি।

কর্মকর্তা জানান, হামলার আগে জাহাজটি বন্দর থেকে সরে যাওয়ার কথা ছিল, কিন্তু বন্দর কর্তৃপক্ষের ক্লিয়ারেন্স পেতে দেরি হওয়ায় এবং বন্দর কার্যক্রম স্থগিত হয়ে পড়ায় ছেড়ে যেতে পারেনি।

তিনি বলেন, জাহাজের ক্যাপ্টেন ও ক্রুদের কাজে বিএসসি সন্তুষ্ট। তারা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ক্ষতি কমানোর জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করেছে।

দত্ত বলেন, হাদিসুর রহমান ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় নিহত হয়েছেন। ইউক্রেনের বন্দরে গত রাত ৯টা ২৫ মিনিটে হামলার সঙ্গে সঙ্গে জাহাজে আগুন লেগে যায়। জাহাজের বাকি ২৮ জন ক্রু সদস্য নিরাপদে রয়েছে এবং অবিলম্বে জাহাজটির আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়।

তিনি জানান, বিএসসির আরেকটি কার্গো জাহাজ ইউক্রেনে যাচ্ছিল, কিন্তু সেটিকে গতিপথ পরিবর্তন করার এবং আন্তর্জাতিক জলসীমায় থাকতে নির্দেশ দেয়া হয়।