ইউক্রেনে বাংলাদেশি জাহাজে রকেট হামলা, নিহত ১

  • Update Time : ০৯:২৬:০৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ মার্চ ২০২২
  • / 143

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ

রাশিয়ার আগ্রাসনের মাঝেই ইউক্রেনে আটকে পড়া বাংলাদেশি জাহাজ ‘এমভি বাংলার সমৃদ্ধিতে’ গোলার আঘাতে মারা গেছেন একজন প্রকৌশলী।

বাংলাদেশ সময় বুধবার (২ মার্চ) দিনগত রাতে এ ঘটনা ঘটেছে বলে জাহাজে থাকা কয়েকজন নাবিক নিশ্চিত করেছেন।

নিহত প্রকৌশলী হাদিসুর রহমান বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের (বিএসসি) ওই জাহাজের থার্ড ইঞ্জিনিয়ার। জাহাজের বাকি ২৮ জন অক্ষত আছেন বলে জানা গেছে।

বিএসসি সূত্রে জানা গেছে, যুদ্ধ শুরুর আগে ২২ ফেব্রুয়ারি এম ভি বাংলার সমৃদ্ধি জাহাজটি ইউক্রেনের অলভিয়া বন্দরে পৌঁছে। ওই বন্দর থেকে পণ্য আনার কথা থাকলেও যুদ্ধের কারণে সেটি আটকে যায়।

ইউক্রেনের সমুদ্র বন্দর কর্তৃপক্ষের বরাতে এক ফেইসবুক পোস্টে বলা হয়েছে, একটি রকেট আঘাত হানার পর ৩৬৩ নম্বর অ্যাঙ্করেজে থাকা বাংলার সমৃদ্ধিতে আগুন ধরে যায়। পরে বন্দর থেকে দুটি টাগবোট পাঠানো হয় সেখানে।

এর আগে বুধবার দুপুরে জাহাজটির বিষয়ে খবর নেওয়া হলে শিপিং করপোরেশনের (বিএসসি) মহাব্যবস্থাপক বলেছিলেন, এখনো কোনো দুর্ঘটনা হয়নি। ওই বন্দরে শুধু আমাদের এটি না, আরও বেশ কয়েকটি জাহাজ আটকা আছে। আমাদের জাহাজে থাকা নাবিকদের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ করা হচ্ছে। তাদের পর্যাপ্ত খাবার মজুত আছে।

চীনে তৈরি ‘এম ভি বাংলার সমৃদ্ধি’ জাহাজ ২০১৮ সালের ১০ অক্টোবর বিএসসির বহরে যুক্ত হয়।

গত ২৬ জানুয়ারি ভারতের মুম্বাই বন্দর থেকে যাত্রা শুরু করেছিল বাংলার সমৃদ্ধি। তুরস্কের একটি বন্দরে পণ্য খালাস করে এটি যায় ইউক্রেনে।

২২ ফেব্রুয়ারি ওলভিয়া বন্দরে পৌঁছায় জাহাজটি। কয়েকদিন পরেই ‘সিমেন্ট ক্লে’ নিয়ে এটির ইতালির রোভেনা বন্দরের উদ্দেশে যাত্রার কথা ছিল। তবে যুদ্ধের কারণে পরিস্থিতি বদলে যায়।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


ইউক্রেনে বাংলাদেশি জাহাজে রকেট হামলা, নিহত ১

Update Time : ০৯:২৬:০৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ মার্চ ২০২২

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ

রাশিয়ার আগ্রাসনের মাঝেই ইউক্রেনে আটকে পড়া বাংলাদেশি জাহাজ ‘এমভি বাংলার সমৃদ্ধিতে’ গোলার আঘাতে মারা গেছেন একজন প্রকৌশলী।

বাংলাদেশ সময় বুধবার (২ মার্চ) দিনগত রাতে এ ঘটনা ঘটেছে বলে জাহাজে থাকা কয়েকজন নাবিক নিশ্চিত করেছেন।

নিহত প্রকৌশলী হাদিসুর রহমান বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের (বিএসসি) ওই জাহাজের থার্ড ইঞ্জিনিয়ার। জাহাজের বাকি ২৮ জন অক্ষত আছেন বলে জানা গেছে।

বিএসসি সূত্রে জানা গেছে, যুদ্ধ শুরুর আগে ২২ ফেব্রুয়ারি এম ভি বাংলার সমৃদ্ধি জাহাজটি ইউক্রেনের অলভিয়া বন্দরে পৌঁছে। ওই বন্দর থেকে পণ্য আনার কথা থাকলেও যুদ্ধের কারণে সেটি আটকে যায়।

ইউক্রেনের সমুদ্র বন্দর কর্তৃপক্ষের বরাতে এক ফেইসবুক পোস্টে বলা হয়েছে, একটি রকেট আঘাত হানার পর ৩৬৩ নম্বর অ্যাঙ্করেজে থাকা বাংলার সমৃদ্ধিতে আগুন ধরে যায়। পরে বন্দর থেকে দুটি টাগবোট পাঠানো হয় সেখানে।

এর আগে বুধবার দুপুরে জাহাজটির বিষয়ে খবর নেওয়া হলে শিপিং করপোরেশনের (বিএসসি) মহাব্যবস্থাপক বলেছিলেন, এখনো কোনো দুর্ঘটনা হয়নি। ওই বন্দরে শুধু আমাদের এটি না, আরও বেশ কয়েকটি জাহাজ আটকা আছে। আমাদের জাহাজে থাকা নাবিকদের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ করা হচ্ছে। তাদের পর্যাপ্ত খাবার মজুত আছে।

চীনে তৈরি ‘এম ভি বাংলার সমৃদ্ধি’ জাহাজ ২০১৮ সালের ১০ অক্টোবর বিএসসির বহরে যুক্ত হয়।

গত ২৬ জানুয়ারি ভারতের মুম্বাই বন্দর থেকে যাত্রা শুরু করেছিল বাংলার সমৃদ্ধি। তুরস্কের একটি বন্দরে পণ্য খালাস করে এটি যায় ইউক্রেনে।

২২ ফেব্রুয়ারি ওলভিয়া বন্দরে পৌঁছায় জাহাজটি। কয়েকদিন পরেই ‘সিমেন্ট ক্লে’ নিয়ে এটির ইতালির রোভেনা বন্দরের উদ্দেশে যাত্রার কথা ছিল। তবে যুদ্ধের কারণে পরিস্থিতি বদলে যায়।