জার্মানি-ফ্রান্স-অস্ট্রিয়ার নাগরিকদের ইউক্রেন থেকে সরে যাওয়ার নির্দেশ

  • Update Time : ১১:৩৬:৩৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২২
  • / 128

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ

রাশিয়া ইউক্রেনে হামলা চালাবে না বলে ঘোষণা দিলেও এ ধরনের হামলাকে অবশ্যম্ভাবী করে তুলছে আমেরিকাসহ তার পশ্চিমা মিত্ররা। ইউক্রেনে ‘সম্ভাব্য রুশ হামলার আশঙ্কায়’ সর্বশেষ জার্মানি, ফ্রান্স ও অস্ট্রিয়া তাদের নাগরিকদের ইউক্রেন ত্যাগ করার নির্দেশ দিয়েছে।

জার্মান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় শনিবার এক বিবৃতি প্রকাশ করে যথাশীঘ্র সম্ভব ইউক্রেনের মাটি ত্যাগ করার জন্য জার্মান নাগরিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। শনিবার একই ধরনের বিবৃতি প্রকাশ করেছে ফ্রান্স এবং অস্ট্রিয়া। এর আগে আমেরিকার দেখাদেখি আরো কিছু ইউরোপীয় দেশ তাদের নাগরিকদেরকে ইউক্রেন ত্যাগ করার আহ্বান জানিয়েছে।

এদিকে মার্কিন নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ন্যাটো নিরাপত্তার অজুহাত তুলে শনিবার রাতে কিয়েভে তাদের দপ্তর বন্ধ করার কথা ঘোষণা করেছে। ন্যাটো বলেছে, তাদের কিয়েভ দপ্তরের কর্মীদেরকে ইউক্রেনেরই লুভির শহর ও বেলজিয়ামের ব্রাসেলসে সরিয়ে নেয়া হবে।

একই সময়ে শিল্পোন্নত সাত জাতিগোষ্ঠী বা জিসেভেন ইউক্রেন সীমান্তে রুশ সেনা সমাবেশের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।

মার্কিন নেতৃত্বাধীন ন্যাটো জোট এমন সময় ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলাকে অবশ্যম্ভাবী করে তুলেছে যখন মস্কো বারবার বলে আসছে, এ ধরনের হামলা চালানোর কোনো ইচ্ছে তার নেই। রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ গত বৃহস্পতিবার হামলার সম্ভাবনা নাকচ করে দিয়ে বলেন, ইউক্রেনকে ঘিরে উত্তেজনা বাড়ানোর চেষ্টা করছে পাশ্চাত্য। রাশিয়ার উপ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই রিয়াবকভও ইউক্রেনে হামলা চালানোর সম্ভাবনা নাকচ করে বলেছেন, পশ্চিমা দেশগুলো যেন রাশিয়ার ব্যাপারে তাদের উন্মাদনা বন্ধ করে।

পূর্বদিকে মার্কিন নেতৃত্বাধীন ন্যাটো জোটের বিস্তারের বিরোধিতা করছে রাশিয়া। বিশেষ করে ইউক্রেনসহ রাশিয়ার সীমান্তবর্তী দেশগুলোর ন্যাটোভুক্ত হওয়ার বিষয়টি মস্কো মেনে নিতে পারছে না। কিন্তু এ বিরোধিতা উপেক্ষা করে সম্প্রতি রাশিয়ার পাশ্চাত্যপন্থি প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমিরি জেলেনস্কি বলেছেন, ন্যাটোতে যোগ দেয়া ছাড়া তার দেশের সামনে আর কোনো বিকল্প নেই।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


জার্মানি-ফ্রান্স-অস্ট্রিয়ার নাগরিকদের ইউক্রেন থেকে সরে যাওয়ার নির্দেশ

Update Time : ১১:৩৬:৩৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২২

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ

রাশিয়া ইউক্রেনে হামলা চালাবে না বলে ঘোষণা দিলেও এ ধরনের হামলাকে অবশ্যম্ভাবী করে তুলছে আমেরিকাসহ তার পশ্চিমা মিত্ররা। ইউক্রেনে ‘সম্ভাব্য রুশ হামলার আশঙ্কায়’ সর্বশেষ জার্মানি, ফ্রান্স ও অস্ট্রিয়া তাদের নাগরিকদের ইউক্রেন ত্যাগ করার নির্দেশ দিয়েছে।

জার্মান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় শনিবার এক বিবৃতি প্রকাশ করে যথাশীঘ্র সম্ভব ইউক্রেনের মাটি ত্যাগ করার জন্য জার্মান নাগরিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। শনিবার একই ধরনের বিবৃতি প্রকাশ করেছে ফ্রান্স এবং অস্ট্রিয়া। এর আগে আমেরিকার দেখাদেখি আরো কিছু ইউরোপীয় দেশ তাদের নাগরিকদেরকে ইউক্রেন ত্যাগ করার আহ্বান জানিয়েছে।

এদিকে মার্কিন নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ন্যাটো নিরাপত্তার অজুহাত তুলে শনিবার রাতে কিয়েভে তাদের দপ্তর বন্ধ করার কথা ঘোষণা করেছে। ন্যাটো বলেছে, তাদের কিয়েভ দপ্তরের কর্মীদেরকে ইউক্রেনেরই লুভির শহর ও বেলজিয়ামের ব্রাসেলসে সরিয়ে নেয়া হবে।

একই সময়ে শিল্পোন্নত সাত জাতিগোষ্ঠী বা জিসেভেন ইউক্রেন সীমান্তে রুশ সেনা সমাবেশের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।

মার্কিন নেতৃত্বাধীন ন্যাটো জোট এমন সময় ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলাকে অবশ্যম্ভাবী করে তুলেছে যখন মস্কো বারবার বলে আসছে, এ ধরনের হামলা চালানোর কোনো ইচ্ছে তার নেই। রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ গত বৃহস্পতিবার হামলার সম্ভাবনা নাকচ করে দিয়ে বলেন, ইউক্রেনকে ঘিরে উত্তেজনা বাড়ানোর চেষ্টা করছে পাশ্চাত্য। রাশিয়ার উপ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই রিয়াবকভও ইউক্রেনে হামলা চালানোর সম্ভাবনা নাকচ করে বলেছেন, পশ্চিমা দেশগুলো যেন রাশিয়ার ব্যাপারে তাদের উন্মাদনা বন্ধ করে।

পূর্বদিকে মার্কিন নেতৃত্বাধীন ন্যাটো জোটের বিস্তারের বিরোধিতা করছে রাশিয়া। বিশেষ করে ইউক্রেনসহ রাশিয়ার সীমান্তবর্তী দেশগুলোর ন্যাটোভুক্ত হওয়ার বিষয়টি মস্কো মেনে নিতে পারছে না। কিন্তু এ বিরোধিতা উপেক্ষা করে সম্প্রতি রাশিয়ার পাশ্চাত্যপন্থি প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমিরি জেলেনস্কি বলেছেন, ন্যাটোতে যোগ দেয়া ছাড়া তার দেশের সামনে আর কোনো বিকল্প নেই।