হামলা চালালে কঠোর পরিণতি: পুতিনকে ফোন করে বললেন বাইডেন

  • Update Time : ১০:৪৯:১১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২২
  • / 142

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ 

রাশিয়া ‘যেকোনো মুহূর্তে’ ইউক্রেনে হামলা চালাতে পারে বলে পশ্চিমা শক্তিগুলো যখন দাবি করছে তখন অন্তত এক ডজন দেশ তাদের নাগরিকদের ইউক্রেন ত্যাগ করার আহ্বান জানিয়েছে। যেসব দেশ তাদের নাগরিকদের অবিলম্বে ইউক্রেন ত্যাগ করার আহ্বান জানিয়েছে সেগুলোর মধ্যে আমেরিকা, ব্রিটেন ও জার্মানি অন্যতম।

কিয়েভের ইরান দূতাবাস ‘সম্ভাব্য জরুরি পরিস্থিতির’ জন্য ইরানি নাগরিকদের প্রস্তুত থাকতে বললেও এখনও দেশটি ত্যাগ করার আহ্বান জানায়নি।

ইউক্রেন সীমান্তে প্রায় এক লাখ সেনা মোতায়েন করা সত্ত্বেও রাশিয়া বলেছে, ইউক্রেন দখল করা বা দেশটিতে হামলা চালানোর কোনো ইচ্ছে তার নেই।

এদিকে গতকাল (শনিবার) সন্ধ্যায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আবারও টেলিফোন করে ‘ইউক্রেনে হামলার কঠোর পরিণতি’ সম্পর্কে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে সতর্ক করে দিয়েছেন। হোয়াইট হাউজ ওই টেলিফোনালাপের খবর দিয়েছে। ওই আলাপে বাইডেন পুতিনকে বলেছেন, “মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কূটনৈতিক প্রচেষ্টায় অংশগ্রহণ করতে চাইলেও অন্য যেকোনো পরিস্থিতির জন্যও আমরা প্রস্তুত আছি।”

ওই টেলিফোনালাপের ব্যাপারে ক্রেমলিন বলেছে, প্রেসিডেন্ট পুতিন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেনকে বলেছেন, পশ্চিমা দেশগুলো নিরাপত্তা ইস্যুতে রাশিয়ার উদ্বেগের জবাব দেয়নি। দুই দেশের শীর্ষ নেতারা তাদের টেলিফোনালাপ চালিয়ে যাবেন বলেও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

এছাড়া, শনিবার ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাকরনও টেলিফোন করে রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে কথা বলেছেন। ওই টেলিফোনালাপে ম্যাকরন বলেন, “একটি আন্তরিক সংলাপ চলার একই সময়ে উত্তেজনা সৃষ্টিকারী পদক্ষেপ আশাব্যাঞ্জক নয়।”

কিন্তু ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জিলেনস্কি পাশ্চাত্যের সমালোচনা করে বলেছেন, রাশিয়া হামলা চালাতে পারে বলে পশ্চিমা দেশগুলো যে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করছে তাতে ইউক্রেনের নাগরিকরা আতঙ্কিত হয়ে পড়ছেন। তিনি এই আতঙ্ককে ‘শত্রুর [রাশিয়ার] জন্য শ্রেষ্ঠ উপহার’ বলে মন্তব্য করেছেন।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


হামলা চালালে কঠোর পরিণতি: পুতিনকে ফোন করে বললেন বাইডেন

Update Time : ১০:৪৯:১১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২২

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ 

রাশিয়া ‘যেকোনো মুহূর্তে’ ইউক্রেনে হামলা চালাতে পারে বলে পশ্চিমা শক্তিগুলো যখন দাবি করছে তখন অন্তত এক ডজন দেশ তাদের নাগরিকদের ইউক্রেন ত্যাগ করার আহ্বান জানিয়েছে। যেসব দেশ তাদের নাগরিকদের অবিলম্বে ইউক্রেন ত্যাগ করার আহ্বান জানিয়েছে সেগুলোর মধ্যে আমেরিকা, ব্রিটেন ও জার্মানি অন্যতম।

কিয়েভের ইরান দূতাবাস ‘সম্ভাব্য জরুরি পরিস্থিতির’ জন্য ইরানি নাগরিকদের প্রস্তুত থাকতে বললেও এখনও দেশটি ত্যাগ করার আহ্বান জানায়নি।

ইউক্রেন সীমান্তে প্রায় এক লাখ সেনা মোতায়েন করা সত্ত্বেও রাশিয়া বলেছে, ইউক্রেন দখল করা বা দেশটিতে হামলা চালানোর কোনো ইচ্ছে তার নেই।

এদিকে গতকাল (শনিবার) সন্ধ্যায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আবারও টেলিফোন করে ‘ইউক্রেনে হামলার কঠোর পরিণতি’ সম্পর্কে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে সতর্ক করে দিয়েছেন। হোয়াইট হাউজ ওই টেলিফোনালাপের খবর দিয়েছে। ওই আলাপে বাইডেন পুতিনকে বলেছেন, “মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কূটনৈতিক প্রচেষ্টায় অংশগ্রহণ করতে চাইলেও অন্য যেকোনো পরিস্থিতির জন্যও আমরা প্রস্তুত আছি।”

ওই টেলিফোনালাপের ব্যাপারে ক্রেমলিন বলেছে, প্রেসিডেন্ট পুতিন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেনকে বলেছেন, পশ্চিমা দেশগুলো নিরাপত্তা ইস্যুতে রাশিয়ার উদ্বেগের জবাব দেয়নি। দুই দেশের শীর্ষ নেতারা তাদের টেলিফোনালাপ চালিয়ে যাবেন বলেও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

এছাড়া, শনিবার ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাকরনও টেলিফোন করে রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে কথা বলেছেন। ওই টেলিফোনালাপে ম্যাকরন বলেন, “একটি আন্তরিক সংলাপ চলার একই সময়ে উত্তেজনা সৃষ্টিকারী পদক্ষেপ আশাব্যাঞ্জক নয়।”

কিন্তু ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জিলেনস্কি পাশ্চাত্যের সমালোচনা করে বলেছেন, রাশিয়া হামলা চালাতে পারে বলে পশ্চিমা দেশগুলো যে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করছে তাতে ইউক্রেনের নাগরিকরা আতঙ্কিত হয়ে পড়ছেন। তিনি এই আতঙ্ককে ‘শত্রুর [রাশিয়ার] জন্য শ্রেষ্ঠ উপহার’ বলে মন্তব্য করেছেন।