আমেরিকা-ইসরাইলকে জবাবদিহিতার আওতায় আনার দাবি

  • Update Time : ০৯:৫৯:৩৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ জানুয়ারী ২০২২
  • / 156

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ

ইরানের কুদস ফোর্সের সাবেক কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল কাসেম সোলাইমানির স্মরণে সারা ইরানে নানা ধরনের শোকর‍্যালি ও সভা-সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

এসব সমাবেশ এবং স্মরণসভায় জেনারেল কাসেম সোলাইমানি এবং তার সঙ্গীদের প্রতি আন্তরিক শ্রদ্ধা জানানো হয়। পাশাপাশি সভা-সমাবেশে অংশ নয়া লোকজন আমেরিকা ও তার মিত্রদের প্রতি এই বর্বর হত্যাকাণ্ডের জন্য ধিক্কার ও নিন্দা জানিয়েছেন।

২০২০ সালের ৩ জানুয়ারি ইরাকের রাজধানী বাগদাদের আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের কাছে মার্কিন সন্ত্রাসী বাহিনী ড্রোন থেকে ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়ে জেনারেল কাসেম সোলাইমানি, ইরাকের পপুলার মোবিলাইজেশন ইউনিটের সেকেন্ড ইন কমান্ড আবু মাহদি আল-মুহান্দিসসহ তাদের ছয় সঙ্গী শহীদ হন। হত্যাকাণ্ডের দ্বিতীয় বার্ষিকী পালিত হচ্ছে আজ। এ উপলক্ষে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন দেশে ইরানি দূতাবাস ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের উদ্যোগে ওয়েবিনার এবং আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

এদিকে, জাতিসংঘে নিযুক্ত ইরানের রাষ্ট্রদূত মাজিদ তাখতে রাভাঞ্চি ইরানের এই বিশিষ্ট জেনারেলকে হত্যার জন্য আমেরিকা ও ইহুদিবাদী ইসরাইলকে জবাবদিহিতার আওতায় আনতে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

নিরাপত্তা পরিষদের বর্তমান সভাপতি মনা জুলকে লেখা এক চিঠিতে তাখতে রাভাঞ্চি বলেন, আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য আমেরিকার এ সন্ত্রাসবাদি হামলা ছিল একটি বড় ঘটনা এবং এজন্য জাতিসংঘ সনদের আওতায় নিরাপত্তা পরিষদকে দায়িত্ব পালন করতে হবে। সেই দায়িত্বের অংশ হিসেবে সন্ত্রাসী হামলা বাস্তবায়নের পরিকল্পনা ও সমর্থনের জন্য ইসরাইল এবং আমেরিকাকে জবাবদিহিতার আওতায় আনতে হবে।

চিঠিতে ইরানের রাষ্ট্রদূত ইসরাইলের সাবেক গোয়েন্দা প্রধান মেজর জেনারেল তামির হেইম্যানের স্বীকারোক্তির কথা তুলে ধরেছেন। গত ডিসেম্বরে জেনারেল তামির স্বীকার করেছিলেন যে, ইহুদিবাদী ইসরাইল সরকার ২০২০ সালের এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত ছিল এবং তার সময় দুইজন উল্লেখযোগ্য গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিকে হত্যা করা হয়েছে।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


আমেরিকা-ইসরাইলকে জবাবদিহিতার আওতায় আনার দাবি

Update Time : ০৯:৫৯:৩৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ জানুয়ারী ২০২২

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ

ইরানের কুদস ফোর্সের সাবেক কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল কাসেম সোলাইমানির স্মরণে সারা ইরানে নানা ধরনের শোকর‍্যালি ও সভা-সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

এসব সমাবেশ এবং স্মরণসভায় জেনারেল কাসেম সোলাইমানি এবং তার সঙ্গীদের প্রতি আন্তরিক শ্রদ্ধা জানানো হয়। পাশাপাশি সভা-সমাবেশে অংশ নয়া লোকজন আমেরিকা ও তার মিত্রদের প্রতি এই বর্বর হত্যাকাণ্ডের জন্য ধিক্কার ও নিন্দা জানিয়েছেন।

২০২০ সালের ৩ জানুয়ারি ইরাকের রাজধানী বাগদাদের আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের কাছে মার্কিন সন্ত্রাসী বাহিনী ড্রোন থেকে ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়ে জেনারেল কাসেম সোলাইমানি, ইরাকের পপুলার মোবিলাইজেশন ইউনিটের সেকেন্ড ইন কমান্ড আবু মাহদি আল-মুহান্দিসসহ তাদের ছয় সঙ্গী শহীদ হন। হত্যাকাণ্ডের দ্বিতীয় বার্ষিকী পালিত হচ্ছে আজ। এ উপলক্ষে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন দেশে ইরানি দূতাবাস ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের উদ্যোগে ওয়েবিনার এবং আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

এদিকে, জাতিসংঘে নিযুক্ত ইরানের রাষ্ট্রদূত মাজিদ তাখতে রাভাঞ্চি ইরানের এই বিশিষ্ট জেনারেলকে হত্যার জন্য আমেরিকা ও ইহুদিবাদী ইসরাইলকে জবাবদিহিতার আওতায় আনতে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

নিরাপত্তা পরিষদের বর্তমান সভাপতি মনা জুলকে লেখা এক চিঠিতে তাখতে রাভাঞ্চি বলেন, আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য আমেরিকার এ সন্ত্রাসবাদি হামলা ছিল একটি বড় ঘটনা এবং এজন্য জাতিসংঘ সনদের আওতায় নিরাপত্তা পরিষদকে দায়িত্ব পালন করতে হবে। সেই দায়িত্বের অংশ হিসেবে সন্ত্রাসী হামলা বাস্তবায়নের পরিকল্পনা ও সমর্থনের জন্য ইসরাইল এবং আমেরিকাকে জবাবদিহিতার আওতায় আনতে হবে।

চিঠিতে ইরানের রাষ্ট্রদূত ইসরাইলের সাবেক গোয়েন্দা প্রধান মেজর জেনারেল তামির হেইম্যানের স্বীকারোক্তির কথা তুলে ধরেছেন। গত ডিসেম্বরে জেনারেল তামির স্বীকার করেছিলেন যে, ইহুদিবাদী ইসরাইল সরকার ২০২০ সালের এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত ছিল এবং তার সময় দুইজন উল্লেখযোগ্য গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিকে হত্যা করা হয়েছে।