ইউরোপে উত্তেজনা সৃষ্টির প্রধান কারণ আমেরিকা: ভ্লাদিমির পুতিন

  • Update Time : ০৯:৫৬:৪৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২১
  • / 170

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ

আমেরিকাকে উস্কানিমূলক পদক্ষেপ নেয়া থেকে বিরত থাকার জন্য ওয়াশিংটনকে হুঁশিয়ার করে দিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।তিনি মঙ্গলবার মস্কোয় রাশিয়ার প্রতিরক্ষ মন্ত্রণালয়ের পদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক বৈঠকে এ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।

পুতিন বলেন, ওয়াশিংটনের উস্কানিমূলক তৎপরতার জবাব মস্কো সামরিক ও প্রযুক্তিগত ব্যবস্থা নেবে। আমেরিকাকে ইউরোপে উত্তেজনা সৃষ্টির প্রধান কারণ হিসেবে চিহ্নিত করে রুশ প্রসিডেন্ট বলেন, রাশিয়ার সীমান্তর্বী এলাকায় আমেরিকার ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা মোতায়েনে মস্কোয় গভীর উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে।

বৈঠকে রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শুইগো বলেন, আমেরিকা ক্রমেই রাশিয়ার সীমান্তর্বতী দেশগুলোতে সেনা মোতায়েন করে যাচ্ছে। তিনি বলেন, শুধুমাত্র পূর্ব ইউরোপের কয়েকটি দেশে আমেরিকার প্রায় আট হাজার সেনা মোতায়েন রয়েছে।

মস্কো পাশ্চাত্যের জন্য হুমকি সৃষ্টি করছে- অজুহাত তুলে আমেরিকা ও ন্যাটো জোট সাম্প্রতিক বছরগুলোতে রাশিয়ার সীমান্তবর্তী দেশগুলোতে ব্যাপকভাবে সেনা ও সমরাস্ত্র মোতায়েন করেছে। পাশাপাশি ইউক্রেন সরকার দেশটির রুশ সীমান্তবর্তী পূর্বাঞ্চলে বিরোধীদের দমনের অজুহাতে রাশিয়ার সীমান্তে বিপুল পরিমাণ সমরাস্ত্র মোতায়েন করেছে।

রাশিয়া বহুবার বলেছে, ইউক্রেন সীমান্তে দেশটির সেনা ও অস্ত্র মোতায়েন একটি স্বাভাবিক ব্যাপার এবং এটি সম্পূর্ণ রাশিয়ার অভ্যন্তরীণ বিষয়। কিন্তু আমেরিকা ও তার মিত্ররা দাবি করছে, রাশিয়া আসলে ইউক্রেনে হামলা করতে চায়। এ কারণে পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়া-ইউক্রেন সীমান্তকে ‘চরম উত্তেজনাপূর্ণ’ হিসেবে তুলে ধরার চেষ্টা করছে।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


ইউরোপে উত্তেজনা সৃষ্টির প্রধান কারণ আমেরিকা: ভ্লাদিমির পুতিন

Update Time : ০৯:৫৬:৪৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২১

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ

আমেরিকাকে উস্কানিমূলক পদক্ষেপ নেয়া থেকে বিরত থাকার জন্য ওয়াশিংটনকে হুঁশিয়ার করে দিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।তিনি মঙ্গলবার মস্কোয় রাশিয়ার প্রতিরক্ষ মন্ত্রণালয়ের পদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক বৈঠকে এ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।

পুতিন বলেন, ওয়াশিংটনের উস্কানিমূলক তৎপরতার জবাব মস্কো সামরিক ও প্রযুক্তিগত ব্যবস্থা নেবে। আমেরিকাকে ইউরোপে উত্তেজনা সৃষ্টির প্রধান কারণ হিসেবে চিহ্নিত করে রুশ প্রসিডেন্ট বলেন, রাশিয়ার সীমান্তর্বী এলাকায় আমেরিকার ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা মোতায়েনে মস্কোয় গভীর উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে।

বৈঠকে রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শুইগো বলেন, আমেরিকা ক্রমেই রাশিয়ার সীমান্তর্বতী দেশগুলোতে সেনা মোতায়েন করে যাচ্ছে। তিনি বলেন, শুধুমাত্র পূর্ব ইউরোপের কয়েকটি দেশে আমেরিকার প্রায় আট হাজার সেনা মোতায়েন রয়েছে।

মস্কো পাশ্চাত্যের জন্য হুমকি সৃষ্টি করছে- অজুহাত তুলে আমেরিকা ও ন্যাটো জোট সাম্প্রতিক বছরগুলোতে রাশিয়ার সীমান্তবর্তী দেশগুলোতে ব্যাপকভাবে সেনা ও সমরাস্ত্র মোতায়েন করেছে। পাশাপাশি ইউক্রেন সরকার দেশটির রুশ সীমান্তবর্তী পূর্বাঞ্চলে বিরোধীদের দমনের অজুহাতে রাশিয়ার সীমান্তে বিপুল পরিমাণ সমরাস্ত্র মোতায়েন করেছে।

রাশিয়া বহুবার বলেছে, ইউক্রেন সীমান্তে দেশটির সেনা ও অস্ত্র মোতায়েন একটি স্বাভাবিক ব্যাপার এবং এটি সম্পূর্ণ রাশিয়ার অভ্যন্তরীণ বিষয়। কিন্তু আমেরিকা ও তার মিত্ররা দাবি করছে, রাশিয়া আসলে ইউক্রেনে হামলা করতে চায়। এ কারণে পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়া-ইউক্রেন সীমান্তকে ‘চরম উত্তেজনাপূর্ণ’ হিসেবে তুলে ধরার চেষ্টা করছে।