ইউক্রেনে ‘সামরিক আগ্রাসন’ চালাতে চায় রাশিয়া: ইইউ

  • Update Time : ০৩:৫৪:১০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২১
  • / 151

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ

রাশিয়া ইউক্রেনে সামরিক আগ্রাসন চালানোর পরিকল্পনা করছে বলে অভিযোগ করেছেন ইউরোপীয় ইউনিয়ন বা ইইউ’র শীর্ষ নেতারা। তারা হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, রাশিয়া যদি সেরকম কিছু করে বসে তাহলে মস্কোর ওপর আরো কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবে ইইউ।

বৃহস্পিতিবার বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসে শীর্ষ বৈঠকের পর এ হুঁশিয়ারি দেন ইউরোপীয় নেতারা। তারা বলেন, রাশিয়া ইউক্রেনে আগ্রাসন চালালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেনও যেন মস্কোর বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে সে ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হবে।

ইইউ’র নেতারা তাদের বক্তব্যের সমর্থনে দাবি করেন, রাশিয়া ইউক্রেন সীমান্তে যেভাবে সামরিক প্রস্তুতি নিয়েছে তার অন্য কোনো উদ্দেশ্য থাকতে পারে না। তবে পশ্চিমা দেশগুলোর এ ধরনের অভিযোগ গত কয়েক সপ্তাহ ধরে রাশিয়া এই বলে প্রত্যাখ্যান করে এসেছে যে, নিজ দেশের যেকোনো স্থানে সেনা ও সামরিক সরঞ্জাম মোতায়েনের অধিকার মস্কোর রয়েছে।

২০১৪ সালে ইউক্রেনের ক্রিমিয়া উপত্যকায় অনুষ্ঠিত এক গণভোটের জের ধরে ওই উপত্যকাকে রুশ ফেডারেশনে অন্তর্ভুক্ত করে নেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। আমেরিকা ও ইউরোপীয় দেশগুলো তখনই রাশিয়ার বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে।

আমেরিকা ও ইইউ’র সমর্থনপুষ্ট ইউক্রেন সরকার ওই গণভোটের ফলাফল মেনে নিতে অস্বীকার করে।তখন থেকে ইউক্রেনের সঙ্গে রাশিয়ার সম্পর্কে টানটান উত্তেজনা চলে এসেছে।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


ইউক্রেনে ‘সামরিক আগ্রাসন’ চালাতে চায় রাশিয়া: ইইউ

Update Time : ০৩:৫৪:১০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২১

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ

রাশিয়া ইউক্রেনে সামরিক আগ্রাসন চালানোর পরিকল্পনা করছে বলে অভিযোগ করেছেন ইউরোপীয় ইউনিয়ন বা ইইউ’র শীর্ষ নেতারা। তারা হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, রাশিয়া যদি সেরকম কিছু করে বসে তাহলে মস্কোর ওপর আরো কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবে ইইউ।

বৃহস্পিতিবার বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসে শীর্ষ বৈঠকের পর এ হুঁশিয়ারি দেন ইউরোপীয় নেতারা। তারা বলেন, রাশিয়া ইউক্রেনে আগ্রাসন চালালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেনও যেন মস্কোর বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে সে ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হবে।

ইইউ’র নেতারা তাদের বক্তব্যের সমর্থনে দাবি করেন, রাশিয়া ইউক্রেন সীমান্তে যেভাবে সামরিক প্রস্তুতি নিয়েছে তার অন্য কোনো উদ্দেশ্য থাকতে পারে না। তবে পশ্চিমা দেশগুলোর এ ধরনের অভিযোগ গত কয়েক সপ্তাহ ধরে রাশিয়া এই বলে প্রত্যাখ্যান করে এসেছে যে, নিজ দেশের যেকোনো স্থানে সেনা ও সামরিক সরঞ্জাম মোতায়েনের অধিকার মস্কোর রয়েছে।

২০১৪ সালে ইউক্রেনের ক্রিমিয়া উপত্যকায় অনুষ্ঠিত এক গণভোটের জের ধরে ওই উপত্যকাকে রুশ ফেডারেশনে অন্তর্ভুক্ত করে নেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। আমেরিকা ও ইউরোপীয় দেশগুলো তখনই রাশিয়ার বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে।

আমেরিকা ও ইইউ’র সমর্থনপুষ্ট ইউক্রেন সরকার ওই গণভোটের ফলাফল মেনে নিতে অস্বীকার করে।তখন থেকে ইউক্রেনের সঙ্গে রাশিয়ার সম্পর্কে টানটান উত্তেজনা চলে এসেছে।