মালিতে বোমা বিস্ফোরণে প্রাণ গেছে জাতিসংঘের ৭ শান্তিরক্ষীর

  • Update Time : ১১:১৪:৩৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ ডিসেম্বর ২০২১
  • / 140

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ 

মালিতে বোমা বিস্ফোরণে প্রাণ গেছে শান্তিরক্ষী বাহিনীর ৭ সদস্যের। গুরুতর আহত হয়েছেন আরও ৩ জন। গতকাল বুধবার (৮ ডিসেম্বর) মালির মধ্যাঞ্চলীয় এলাকায় রাস্তার পাশে পুঁতে রাখা বোমা বিস্ফোরণে হতাহতের এই ঘটনা ঘটে বলে এক প্রতিদেনে জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা।

জাতিসংঘের মুখপাত্র স্টিফেন দুজারিচ নিশ্চিত করেছেন এ তথ্য। নিহতরা সবাই টোগোর নাগরিক। ভারি অস্ত্রসহ একটি সামরিক গাড়িতে করে যাচ্ছিলেন শান্তিরক্ষীরা। সেসময়ই ঘটে হামলার এ ঘটনা। দেশটিতে হামলায় চলতি বছর এই নিয়ে ১৯ শান্তিরক্ষীর মৃত্যু হলো।

জাতিসংঘ বলছে, এ বছর এটাই সবচেয়ে প্রাণঘাতী হামলা। ২০১২ সাল থেকে জঙ্গি নিয়ন্ত্রণে চেষ্টা করে যাচ্ছে মালি। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনীর প্রায় ১৬ হাজার ৬শ’ সদস্য কাজ করছে মালিতে।

জাতিসংঘের মুখপাত্র স্টিফেন দুজারিচ বলেন, এই জঘন্যতম হামলার ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছেন মহাসচিব। মালি কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন, যাতে হামলাকারীরা দ্রুত চিহ্নিত হয়। আর তাদের বিচারের মুখোমুখি করা যায়।

আফ্রিকা মহাদেশের অন্যতম বৃহৎ দেশ মালি খুবই দরিদ্র। ফ্রান্সের নেতৃত্বে একটি আন্তর্জাতিক বাহিনী গত ৯ বছর ধরে দেশটিকে স্থিতিশীল করার চেষ্টা করলেও অভ্যন্তরীণ সহিংসতা মোকাবিলায় মালি এখনও কার্যত সংগ্রাম করে যাচ্ছে।

এই পরিস্থিতিতে মালিতে শান্তি ফেরানোর দায়িত্ব নেয় জাতিসংঘ। আফ্রিকার এই দেশটিতে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনটি ‘মিনুজমা’ নামে পরিচিত। এই মিশনের আওতায় মালিতে বর্তমানে ১৩ হাজারেরও বেশি শান্তিরক্ষী মোতায়েন রয়েছে।

মালির উত্তর ও মধ্যাঞ্চলে সশস্ত্র গোষ্ঠীদের সহিংসতা ও সংঘাত বন্ধের লক্ষ্যেই কাজ করছেন শান্তিরক্ষীরা। জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, দায়িত্বপালন করতে গিয়ে ২০১৩ সাল থেকে দেশটিতে ২৩০ জনের বেশি শান্তিরক্ষী নিহত হয়েছেন।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


মালিতে বোমা বিস্ফোরণে প্রাণ গেছে জাতিসংঘের ৭ শান্তিরক্ষীর

Update Time : ১১:১৪:৩৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ ডিসেম্বর ২০২১

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ 

মালিতে বোমা বিস্ফোরণে প্রাণ গেছে শান্তিরক্ষী বাহিনীর ৭ সদস্যের। গুরুতর আহত হয়েছেন আরও ৩ জন। গতকাল বুধবার (৮ ডিসেম্বর) মালির মধ্যাঞ্চলীয় এলাকায় রাস্তার পাশে পুঁতে রাখা বোমা বিস্ফোরণে হতাহতের এই ঘটনা ঘটে বলে এক প্রতিদেনে জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা।

জাতিসংঘের মুখপাত্র স্টিফেন দুজারিচ নিশ্চিত করেছেন এ তথ্য। নিহতরা সবাই টোগোর নাগরিক। ভারি অস্ত্রসহ একটি সামরিক গাড়িতে করে যাচ্ছিলেন শান্তিরক্ষীরা। সেসময়ই ঘটে হামলার এ ঘটনা। দেশটিতে হামলায় চলতি বছর এই নিয়ে ১৯ শান্তিরক্ষীর মৃত্যু হলো।

জাতিসংঘ বলছে, এ বছর এটাই সবচেয়ে প্রাণঘাতী হামলা। ২০১২ সাল থেকে জঙ্গি নিয়ন্ত্রণে চেষ্টা করে যাচ্ছে মালি। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনীর প্রায় ১৬ হাজার ৬শ’ সদস্য কাজ করছে মালিতে।

জাতিসংঘের মুখপাত্র স্টিফেন দুজারিচ বলেন, এই জঘন্যতম হামলার ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছেন মহাসচিব। মালি কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন, যাতে হামলাকারীরা দ্রুত চিহ্নিত হয়। আর তাদের বিচারের মুখোমুখি করা যায়।

আফ্রিকা মহাদেশের অন্যতম বৃহৎ দেশ মালি খুবই দরিদ্র। ফ্রান্সের নেতৃত্বে একটি আন্তর্জাতিক বাহিনী গত ৯ বছর ধরে দেশটিকে স্থিতিশীল করার চেষ্টা করলেও অভ্যন্তরীণ সহিংসতা মোকাবিলায় মালি এখনও কার্যত সংগ্রাম করে যাচ্ছে।

এই পরিস্থিতিতে মালিতে শান্তি ফেরানোর দায়িত্ব নেয় জাতিসংঘ। আফ্রিকার এই দেশটিতে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনটি ‘মিনুজমা’ নামে পরিচিত। এই মিশনের আওতায় মালিতে বর্তমানে ১৩ হাজারেরও বেশি শান্তিরক্ষী মোতায়েন রয়েছে।

মালির উত্তর ও মধ্যাঞ্চলে সশস্ত্র গোষ্ঠীদের সহিংসতা ও সংঘাত বন্ধের লক্ষ্যেই কাজ করছেন শান্তিরক্ষীরা। জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, দায়িত্বপালন করতে গিয়ে ২০১৩ সাল থেকে দেশটিতে ২৩০ জনের বেশি শান্তিরক্ষী নিহত হয়েছেন।