আবারো কুয়েতের প্রধানমন্ত্রী শেখ সাবাহ

  • Update Time : ০৮:১০:২৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ নভেম্বর ২০২১
  • / 182

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ

কুয়েতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আবারো নিয়োগ পেলেন শেখ সাবাহ আল খালিদ। মন্ত্রিসভার সব সদস্যসহ পদত্যাগ করার ১৫ দিনের মাথায় তাকে কুয়েতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত বার্তাসংস্থা কুয়েত নিউজ এজেন্সির (কেউএনএ) বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে রয়টার্স।

পার্লামেন্টে বিরোধী এমপিদের সঙ্গে বিরোধের জেরে গত ৮ নভেম্বর মন্ত্রিসভার সব সদস্যসহ পদত্যাগ করেছিলেন কুয়েতের প্রধানমন্ত্রী সাবাহ আল খালিদ। কেউএনএর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশটির ক্রাউন প্রিন্স শেখ মেশাল আল আহমেদ মঙ্গলবার আল খালিদকে পুনরায় প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ দেওয়ার পাশাপাশি অবিলম্বে নতুন মন্ত্রিসভা গঠনের নির্দেশও দিয়েছেন।

গত সপ্তাহে কুয়েতের আমির শেখ নাওয়াফ আল আহমেদ আল সাবাহ নিজের কিছু সাংবিধানিক ক্ষমতা তার স্বীকৃত উত্তরাধিকার ও দেশটির ক্রাউন প্রিন্স শেখ মেশাল আল আহমেদ আল সাবাহকে হস্তান্তর করেছেন। এসব ক্ষমতার মধ্যে প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ ও মন্ত্রিসভার শপথ অনুষ্ঠান পরিচালনার মতো বিষয়ও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

সেই ক্ষমতার জোরেই আল খালিদকে প্রধানমন্ত্রী পদে পুনঃনিয়োগ দেন ক্রাউন প্রিন্স। অবশ্য, তার আগে গত সপ্তাহে আামির শেখ নাওয়াফ বিগত সরকারের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছিলেন। পাশাপাশি, সরকারবিরোধী আইন প্রণেতাদের সাধারণ ক্ষমাও ঘোষণা করেছিলেন তিনি।

২০১৯ সালে প্রথমবারের মতো কুয়েতের প্রধানমন্ত্রী হন শেখ সাবাহ আল খালিদ। সম্প্রতি করোনা মহামারি নিয়ন্ত্রণে অদক্ষতা ও দুর্নীতি রোধে প্রত্যাশিত সাফল্য দেখাতে না পারায় প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রিসভার সদস্যদের ওপর ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছিলেন পার্লামেন্টের সরকারবিরোধী এমপিরা।

চলতি বছর মার্চ থেকে বিভিন্ন ইস্যুতে মতভেদ শুরু হয় সরকার ও বিরোধী এমপিদের। এই মতভেদের ফলে গত কয়েক মাস ধরে স্থবির পর্যায়ে পৌঁছায় দেশটির পার্লামেন্ট কার্যক্রম ও রাজকোষ সংস্কারের মতো পদক্ষেপগুলো।

এই অবস্থা আরও কিছু দিন অব্যাহত থাকলে জ্বালানি তেলের আন্তর্জাতিক বাজারে চরম সমস্যায় পড়তে হতো দেশটিকে।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


আবারো কুয়েতের প্রধানমন্ত্রী শেখ সাবাহ

Update Time : ০৮:১০:২৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ নভেম্বর ২০২১

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ

কুয়েতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আবারো নিয়োগ পেলেন শেখ সাবাহ আল খালিদ। মন্ত্রিসভার সব সদস্যসহ পদত্যাগ করার ১৫ দিনের মাথায় তাকে কুয়েতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত বার্তাসংস্থা কুয়েত নিউজ এজেন্সির (কেউএনএ) বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে রয়টার্স।

পার্লামেন্টে বিরোধী এমপিদের সঙ্গে বিরোধের জেরে গত ৮ নভেম্বর মন্ত্রিসভার সব সদস্যসহ পদত্যাগ করেছিলেন কুয়েতের প্রধানমন্ত্রী সাবাহ আল খালিদ। কেউএনএর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশটির ক্রাউন প্রিন্স শেখ মেশাল আল আহমেদ মঙ্গলবার আল খালিদকে পুনরায় প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ দেওয়ার পাশাপাশি অবিলম্বে নতুন মন্ত্রিসভা গঠনের নির্দেশও দিয়েছেন।

গত সপ্তাহে কুয়েতের আমির শেখ নাওয়াফ আল আহমেদ আল সাবাহ নিজের কিছু সাংবিধানিক ক্ষমতা তার স্বীকৃত উত্তরাধিকার ও দেশটির ক্রাউন প্রিন্স শেখ মেশাল আল আহমেদ আল সাবাহকে হস্তান্তর করেছেন। এসব ক্ষমতার মধ্যে প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ ও মন্ত্রিসভার শপথ অনুষ্ঠান পরিচালনার মতো বিষয়ও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

সেই ক্ষমতার জোরেই আল খালিদকে প্রধানমন্ত্রী পদে পুনঃনিয়োগ দেন ক্রাউন প্রিন্স। অবশ্য, তার আগে গত সপ্তাহে আামির শেখ নাওয়াফ বিগত সরকারের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছিলেন। পাশাপাশি, সরকারবিরোধী আইন প্রণেতাদের সাধারণ ক্ষমাও ঘোষণা করেছিলেন তিনি।

২০১৯ সালে প্রথমবারের মতো কুয়েতের প্রধানমন্ত্রী হন শেখ সাবাহ আল খালিদ। সম্প্রতি করোনা মহামারি নিয়ন্ত্রণে অদক্ষতা ও দুর্নীতি রোধে প্রত্যাশিত সাফল্য দেখাতে না পারায় প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রিসভার সদস্যদের ওপর ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছিলেন পার্লামেন্টের সরকারবিরোধী এমপিরা।

চলতি বছর মার্চ থেকে বিভিন্ন ইস্যুতে মতভেদ শুরু হয় সরকার ও বিরোধী এমপিদের। এই মতভেদের ফলে গত কয়েক মাস ধরে স্থবির পর্যায়ে পৌঁছায় দেশটির পার্লামেন্ট কার্যক্রম ও রাজকোষ সংস্কারের মতো পদক্ষেপগুলো।

এই অবস্থা আরও কিছু দিন অব্যাহত থাকলে জ্বালানি তেলের আন্তর্জাতিক বাজারে চরম সমস্যায় পড়তে হতো দেশটিকে।