ভারতের ভোজ্যতেল আমদানি ব্যয় বেড়েছে ৬৩ শতাংশ

  • Update Time : ১০:০৩:৪১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ নভেম্বর ২০২১
  • / 148

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ 

২০২০-২১ বিপণন মৌসুমে ভারতের ভোজ্যতেল আমদানি ব্যয় আগের বছরের তুলনায় ৬৩ শতাংশ বেড়েছে। ব্যয়ের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৫৭১ কোটি ডলারে। আন্তর্জাতিক বাজারে ভোজ্যতেলের দাম বাড়ায় ব্যয় বেড়েছে বলে জানিয়েছে সলভেন্ট এক্সট্রাক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্ডিয়া (এসইএ)।

দক্ষিণ এশিয়ার দেশটি বিশ্বের শীর্ষ ভোজ্যতেল আমদানিকারক। আন্তর্জাতিক বাজার থেকে দেশটি সবচেয়ে বেশি ক্রয় করে পাম অয়েল। বিশেষ করে পাম অয়েলের মালয়েশিয়ান বাজার আদর্শের দাম রেকর্ড সর্বোচ্চের কাছাকাছি অবস্থান করছে। কিন্তু স্থানীয় চাহিদা বেশি থাকায় বেশি দামেই পণ্যটি কিনতে বাধ্য হচ্ছে ভারত।

এসইএর তথ্যমতে, চলতি বছরের অক্টোবর ভারতে ২০২০-২১ বিপণন মৌসুম শেষ হয়েছে। এ মৌসুমে দেশটি ১ কোটি ৩৫ লাখ ৩০ হাজার টন ভোজ্যতেল আমদানি করে। এটি আগের বছর আমদানি হওয়া ১ কোটি ৩৫ লাখ ২০ হাজার টনের চেয়ে কিছুটা বেশি।

এক বিবৃতিতে সংস্থাটি জানায়, বিদায়ী মৌসুমে ভারতের পাম অয়েল আমদানি ১৫ দশমিক ২ শতাংশ বেড়েছে। আমদানির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৮৩ লাখ ২০ হাজার টনে। ভারত সরকার সম্প্রতি পাম অয়েল আমদানি শুল্ক কমিয়েছে। জানা গেছে, স্থানীয় বাজারে ভোজ্যতেলের দাম নিয়ন্ত্রণে আনতে নয়াদিল্লি গত ছয় মাসে তিনবার আমদানি শুল্ক কমিয়েছে। একই সঙ্গে অনুমতি দেয়া হয়েছে পরিশোধিত পাম অয়েল আমদানির। এসব কারণেই আমদানি বেড়েছে।

তবে পাম অয়েল আমদানি বাড়লেও ১৫ শতাংশ কমেছে সয়াবিন তেল আমদানি। বিদায়ী ২০২০-২১ মৌসুমে দেশটি ২৮ লাখ ৭০ হাজার টন সয়াবিন তেল আমদানি করে। সূর্যমুখী তেল আমদানি এক-চতুর্থাংশ কমে ১৯ লাখ টনে নেমেছে।

শীর্ষ উৎপাদক ইন্দোনেশিয়া ও মালয়েশিয়া থেকে পাম অয়েল ক্রয় করে ভারত। সয়াবিন তেল প্রধানত আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিল থেকে আমদানি করা হয়। এছাড়া দেশটি সূর্যমুখী তেল আমদানি করে রাশিয়া ও ইউক্রেন থেকে।

এসইএর নির্বাহী পরিচালক বি ভি মেহতা বলেন, নভেম্বরে ভারতে নতুন বিপণন মৌসুম শুরু হয়েছে। এ মৌসুমে সয়াবিন, বাদাম ও সরিষাসহ অন্যান্য ভোজ্যতেলের সরবরাহ বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে কিছুটা কমে আসতে পারে ভোজ্যতেল আমদানি।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


ভারতের ভোজ্যতেল আমদানি ব্যয় বেড়েছে ৬৩ শতাংশ

Update Time : ১০:০৩:৪১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ নভেম্বর ২০২১

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ 

২০২০-২১ বিপণন মৌসুমে ভারতের ভোজ্যতেল আমদানি ব্যয় আগের বছরের তুলনায় ৬৩ শতাংশ বেড়েছে। ব্যয়ের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৫৭১ কোটি ডলারে। আন্তর্জাতিক বাজারে ভোজ্যতেলের দাম বাড়ায় ব্যয় বেড়েছে বলে জানিয়েছে সলভেন্ট এক্সট্রাক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্ডিয়া (এসইএ)।

দক্ষিণ এশিয়ার দেশটি বিশ্বের শীর্ষ ভোজ্যতেল আমদানিকারক। আন্তর্জাতিক বাজার থেকে দেশটি সবচেয়ে বেশি ক্রয় করে পাম অয়েল। বিশেষ করে পাম অয়েলের মালয়েশিয়ান বাজার আদর্শের দাম রেকর্ড সর্বোচ্চের কাছাকাছি অবস্থান করছে। কিন্তু স্থানীয় চাহিদা বেশি থাকায় বেশি দামেই পণ্যটি কিনতে বাধ্য হচ্ছে ভারত।

এসইএর তথ্যমতে, চলতি বছরের অক্টোবর ভারতে ২০২০-২১ বিপণন মৌসুম শেষ হয়েছে। এ মৌসুমে দেশটি ১ কোটি ৩৫ লাখ ৩০ হাজার টন ভোজ্যতেল আমদানি করে। এটি আগের বছর আমদানি হওয়া ১ কোটি ৩৫ লাখ ২০ হাজার টনের চেয়ে কিছুটা বেশি।

এক বিবৃতিতে সংস্থাটি জানায়, বিদায়ী মৌসুমে ভারতের পাম অয়েল আমদানি ১৫ দশমিক ২ শতাংশ বেড়েছে। আমদানির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৮৩ লাখ ২০ হাজার টনে। ভারত সরকার সম্প্রতি পাম অয়েল আমদানি শুল্ক কমিয়েছে। জানা গেছে, স্থানীয় বাজারে ভোজ্যতেলের দাম নিয়ন্ত্রণে আনতে নয়াদিল্লি গত ছয় মাসে তিনবার আমদানি শুল্ক কমিয়েছে। একই সঙ্গে অনুমতি দেয়া হয়েছে পরিশোধিত পাম অয়েল আমদানির। এসব কারণেই আমদানি বেড়েছে।

তবে পাম অয়েল আমদানি বাড়লেও ১৫ শতাংশ কমেছে সয়াবিন তেল আমদানি। বিদায়ী ২০২০-২১ মৌসুমে দেশটি ২৮ লাখ ৭০ হাজার টন সয়াবিন তেল আমদানি করে। সূর্যমুখী তেল আমদানি এক-চতুর্থাংশ কমে ১৯ লাখ টনে নেমেছে।

শীর্ষ উৎপাদক ইন্দোনেশিয়া ও মালয়েশিয়া থেকে পাম অয়েল ক্রয় করে ভারত। সয়াবিন তেল প্রধানত আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিল থেকে আমদানি করা হয়। এছাড়া দেশটি সূর্যমুখী তেল আমদানি করে রাশিয়া ও ইউক্রেন থেকে।

এসইএর নির্বাহী পরিচালক বি ভি মেহতা বলেন, নভেম্বরে ভারতে নতুন বিপণন মৌসুম শুরু হয়েছে। এ মৌসুমে সয়াবিন, বাদাম ও সরিষাসহ অন্যান্য ভোজ্যতেলের সরবরাহ বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে কিছুটা কমে আসতে পারে ভোজ্যতেল আমদানি।