যুক্তরাষ্ট্রে মেটা ও স্ন্যাপচ্যাটের বিরুদ্ধে মামলা

  • Update Time : ০১:১৩:৪৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২২
  • / 130

যুক্তরাষ্ট্রের কানেকটিকাটে ১১ বছর বয়সী এক শিশুর আত্মহত্যার জন্য মেটা ও স্ন্যাপচ্যাটের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন তার মা। ওই নারীর দাবি, গত জুলাইয়ে আত্মহত্যার আগে এসব প্লাটফর্ম তার কন্যার মাঝে মারাত্মক আসক্তির সৃষ্টি করেছিল। খবর এনগ্যাজেট।

সাম্প্রতিক বছরগুলোয় শিশুদের জন্য ক্ষতিকর হয়ে ওঠায় প্রচুর পরিমাণে মামলার শিকার হচ্ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো। এগুলোর ক্ষতিকর প্রভাব মোকাবেলায় ব্যর্থ হওয়ায় মামলা করা হচ্ছে।

মেটা ও স্ন্যাপচ্যাটের বিরুদ্ধে করা মামলায় উল্লেখ করা হয়, সেলেনা (আত্মহত্যাকারী শিশু) দুই বছরের বেশি সময় ধরে ইন্সটাগ্রাম ও স্ট্যাপচ্যাটে মারাত্মক আসক্ত হয়ে পড়েছিল। যদিও প্রযুক্তিগতভাবে খুব কম বয়সী কেউ উভয় প্লাটফর্মে থাকতে পারে। সেলেনার মা অভিযোগ করেছেন, এসব প্লাটফর্মে পেরেন্টাল কন্ট্রোল ব্যবস্থা অনুপস্থিত। একই সঙ্গে এগুলোয় বয়স নিশ্চিত করার জন্য যথেষ্ট শক্তিশালী কোনো পদ্ধতি নেই। ফলে সেলেনার দ্বারা এসব পরিষেবা গ্রহণের ক্ষেত্রে তার মায়ের নজরদারি অনেকটা অসম্ভব করে তুলেছে। মামলায় আরো উল্লেখ করা হয়, এ ধরনের পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের একটাই উপায় ছিল, সেটি হলো সেলেনার ইন্টারনেট ব্যবহারে সক্ষম ডিভাইসগুলো বাজেয়াপ্ত করা।

ট্যামি রদ্রিগেজ জানান, এসব পরিষেবা ব্যবহারের ফলে তার মেয়ে হতাশা, নিদ্রাহীনতা, স্কুলে অনুপস্থিতি, অনিয়মিত খাদ্যগ্রহণ ও হীনম্মন্যতায় ভুগতে শুরু করে, যা তাকে আত্মহত্যার মতো পরিস্থিতিতে ফেলে দেয়।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


যুক্তরাষ্ট্রে মেটা ও স্ন্যাপচ্যাটের বিরুদ্ধে মামলা

Update Time : ০১:১৩:৪৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২২

যুক্তরাষ্ট্রের কানেকটিকাটে ১১ বছর বয়সী এক শিশুর আত্মহত্যার জন্য মেটা ও স্ন্যাপচ্যাটের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন তার মা। ওই নারীর দাবি, গত জুলাইয়ে আত্মহত্যার আগে এসব প্লাটফর্ম তার কন্যার মাঝে মারাত্মক আসক্তির সৃষ্টি করেছিল। খবর এনগ্যাজেট।

সাম্প্রতিক বছরগুলোয় শিশুদের জন্য ক্ষতিকর হয়ে ওঠায় প্রচুর পরিমাণে মামলার শিকার হচ্ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো। এগুলোর ক্ষতিকর প্রভাব মোকাবেলায় ব্যর্থ হওয়ায় মামলা করা হচ্ছে।

মেটা ও স্ন্যাপচ্যাটের বিরুদ্ধে করা মামলায় উল্লেখ করা হয়, সেলেনা (আত্মহত্যাকারী শিশু) দুই বছরের বেশি সময় ধরে ইন্সটাগ্রাম ও স্ট্যাপচ্যাটে মারাত্মক আসক্ত হয়ে পড়েছিল। যদিও প্রযুক্তিগতভাবে খুব কম বয়সী কেউ উভয় প্লাটফর্মে থাকতে পারে। সেলেনার মা অভিযোগ করেছেন, এসব প্লাটফর্মে পেরেন্টাল কন্ট্রোল ব্যবস্থা অনুপস্থিত। একই সঙ্গে এগুলোয় বয়স নিশ্চিত করার জন্য যথেষ্ট শক্তিশালী কোনো পদ্ধতি নেই। ফলে সেলেনার দ্বারা এসব পরিষেবা গ্রহণের ক্ষেত্রে তার মায়ের নজরদারি অনেকটা অসম্ভব করে তুলেছে। মামলায় আরো উল্লেখ করা হয়, এ ধরনের পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের একটাই উপায় ছিল, সেটি হলো সেলেনার ইন্টারনেট ব্যবহারে সক্ষম ডিভাইসগুলো বাজেয়াপ্ত করা।

ট্যামি রদ্রিগেজ জানান, এসব পরিষেবা ব্যবহারের ফলে তার মেয়ে হতাশা, নিদ্রাহীনতা, স্কুলে অনুপস্থিতি, অনিয়মিত খাদ্যগ্রহণ ও হীনম্মন্যতায় ভুগতে শুরু করে, যা তাকে আত্মহত্যার মতো পরিস্থিতিতে ফেলে দেয়।