গাজায় ইসরায়েলি অভিযান : নিহতের সংখ্যা ছাড়াল ৪৩ হাজার ৫০৮

  • Update Time : ১০:১১:১৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৯ নভেম্বর ২০২৪
  • / 28

{"remix_data":[],"remix_entry_point":"challenges","source_tags":[],"origin":"unknown","total_draw_time":0,"total_draw_actions":0,"layers_used":0,"brushes_used":0,"photos_added":0,"total_editor_actions":{},"tools_used":{"border":1,"square_fit":1},"is_sticker":false,"edited_since_last_sticker_save":true,"containsFTESticker":false}

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর নির্বিচার হামলায় নিহতের সংখ্যা ৪৩ হাজার ৫০৮ জনে পৌঁছেছে। আহতের সংখ্যা অন্তত ১ লাখ ২ হাজার ৬৮৪ জন। জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক দপ্তর বলছে, ইসরায়েলি হামলায় নিহতদের প্রায় ৭০ শতাংশই নারী এবং শিশু।

শুক্রবার এ বিষয়ে একটি ৩২ পৃষ্ঠার একটি পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে বিশ্ব মানবাধিকার সংস্থাটি। যুদ্ধে নারী ও শিশু হত্যা আন্তর্জাতিক মানবাধিকার মৌলিক নীতির পরিপন্থি বলে অভিহিত করা হয়েছে। খবর আল-জাজিরার

মানবাধিকার দপ্তরের এক বিবৃতিতে বলা হয়, গাজায় যে পরিমাণ নারী এবং শিশু হত্যা করা হয়েছে তাতে স্পষ্টতই আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের মৌলিক নীতিমালা লঙ্ঘিত হয়েছে।

নিহতদের মধ্যে সদ্য ভূমিষ্ঠ নবজাতকও রয়েছে। ১৮ বছরের নিচে যেসব শিশু নিহত হয়েছে তাদের মধ্যে ৫ থেকে ৯ বছর বয়সী শিশুর সংখ্যা ৪৪ শতাংশ।

হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধের ইতোমধ্যেই ১৩ মাস সময় পার হয়েছে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে যুদ্ধে মোট নিহতের সংখ্যা সাড়ে ৪৩ হাজার। তবে ৮ হাজার ১১৯ জনের তথ্য যাচাই করতে পেরেছে জাতিসংঘ। এখনও গণনা অব্যাহত রেখেছে মানবাধিকার দপ্তর। যুদ্ধে নিহত মানুষের সংখ্যা তিনটি সূত্রের মাধ্যমে তৈরি করেছে সংস্থাটি।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, নিহত এবং আহতের প্রকৃত সংখ্যা আরও অনেক বেশি। কারণ অনেকেই ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়েছেন। যুদ্ধ পরিস্থিতি এবং লোকবল-সরঞ্জামের অভাবে তাদের উদ্ধার করা সম্ভব হচ্ছে না।

এদিকে সর্বশেষ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত হয়েছেন ৩৯ জন এবং আহত হয়েছেন ১২৩ জন।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাস ইসরায়েলে অতর্কিত হামলা চালিয়ে ১ হাজার ২০০ জনকে হত্যা এবং ২৪২ জনকে জিম্মি হিসেবে ধরে নিয়ে যায়। হামাসের হামলার জবাব দিতে এবং জিম্মিদের উদ্ধারে ওই দিন থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী।

আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এবং জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ থেকে বার বার যুদ্ধবিরতির আহ্বান জনানো হলেও তা উপেক্ষা করে এখনও গাজায় অভিযান জারি রেখেছে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী।

যুদ্ধের জেরে গাজায় খাদ্য, সুপেয় পানি এবং ওষুধের ভয়াবহ সংকট চলছে। এছাড়া গাজায় বসবাসকারী প্রায় ২০ লাখ ফিলিস্তিনির প্রায় সবাই বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


গাজায় ইসরায়েলি অভিযান : নিহতের সংখ্যা ছাড়াল ৪৩ হাজার ৫০৮

Update Time : ১০:১১:১৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৯ নভেম্বর ২০২৪

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর নির্বিচার হামলায় নিহতের সংখ্যা ৪৩ হাজার ৫০৮ জনে পৌঁছেছে। আহতের সংখ্যা অন্তত ১ লাখ ২ হাজার ৬৮৪ জন। জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক দপ্তর বলছে, ইসরায়েলি হামলায় নিহতদের প্রায় ৭০ শতাংশই নারী এবং শিশু।

শুক্রবার এ বিষয়ে একটি ৩২ পৃষ্ঠার একটি পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে বিশ্ব মানবাধিকার সংস্থাটি। যুদ্ধে নারী ও শিশু হত্যা আন্তর্জাতিক মানবাধিকার মৌলিক নীতির পরিপন্থি বলে অভিহিত করা হয়েছে। খবর আল-জাজিরার

মানবাধিকার দপ্তরের এক বিবৃতিতে বলা হয়, গাজায় যে পরিমাণ নারী এবং শিশু হত্যা করা হয়েছে তাতে স্পষ্টতই আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের মৌলিক নীতিমালা লঙ্ঘিত হয়েছে।

নিহতদের মধ্যে সদ্য ভূমিষ্ঠ নবজাতকও রয়েছে। ১৮ বছরের নিচে যেসব শিশু নিহত হয়েছে তাদের মধ্যে ৫ থেকে ৯ বছর বয়সী শিশুর সংখ্যা ৪৪ শতাংশ।

হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধের ইতোমধ্যেই ১৩ মাস সময় পার হয়েছে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে যুদ্ধে মোট নিহতের সংখ্যা সাড়ে ৪৩ হাজার। তবে ৮ হাজার ১১৯ জনের তথ্য যাচাই করতে পেরেছে জাতিসংঘ। এখনও গণনা অব্যাহত রেখেছে মানবাধিকার দপ্তর। যুদ্ধে নিহত মানুষের সংখ্যা তিনটি সূত্রের মাধ্যমে তৈরি করেছে সংস্থাটি।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, নিহত এবং আহতের প্রকৃত সংখ্যা আরও অনেক বেশি। কারণ অনেকেই ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়েছেন। যুদ্ধ পরিস্থিতি এবং লোকবল-সরঞ্জামের অভাবে তাদের উদ্ধার করা সম্ভব হচ্ছে না।

এদিকে সর্বশেষ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত হয়েছেন ৩৯ জন এবং আহত হয়েছেন ১২৩ জন।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাস ইসরায়েলে অতর্কিত হামলা চালিয়ে ১ হাজার ২০০ জনকে হত্যা এবং ২৪২ জনকে জিম্মি হিসেবে ধরে নিয়ে যায়। হামাসের হামলার জবাব দিতে এবং জিম্মিদের উদ্ধারে ওই দিন থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী।

আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এবং জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ থেকে বার বার যুদ্ধবিরতির আহ্বান জনানো হলেও তা উপেক্ষা করে এখনও গাজায় অভিযান জারি রেখেছে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী।

যুদ্ধের জেরে গাজায় খাদ্য, সুপেয় পানি এবং ওষুধের ভয়াবহ সংকট চলছে। এছাড়া গাজায় বসবাসকারী প্রায় ২০ লাখ ফিলিস্তিনির প্রায় সবাই বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।