নায়করাজ ছিলেন মাথার ওপরে সুবিশাল এক আকাশ: শাকিব
- Update Time : ০১:০১:৩৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ অগাস্ট ২০২১
- / 190
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
ঢাকাই সিনেমার কিংবদন্তি রাজ্জাক। নায়করাজ উপাধিও তার সেই কৃতিত্ব তুলে ধরে। ২০১৭ সালের আজকের দিনে (২১ আগস্ট) না ফেরার দেশে পাড়ি জমান তিনি।
তার মৃত্যুবার্ষিকীতে তাকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছেন দর্শক থেকে শুরু করে সিনেমা অঙ্গনের মানুষেরা। কিংবদন্তি এই অভিনেতাকে নিয়ে কথা বলেছেন ঢাকাই ছবির শীর্ষ নায়ক শাকিব খান। রাজ্জাকের জীবদ্দশায় তাকে গুরুজন ও অভিভাবক হিসেবে মানতেন তিনি।
এক ফেসবুকবার্তায় এই চিত্রনায়ক লিখেছেন, ‘দেশের চলচ্চিত্র শিল্পের কয়েক প্রজন্মের কাছে তিনি আইকনিক অধ্যায়। একটা সময় আমাদের দেশে ভিনদেশি সিনেমার প্রভাব ছিল। তখন তার আবির্ভাব হয়। তিনি নায়করাজ রাজ্জাক। তিনি তার অভিনয় দিয়ে দর্শকদের বাংলা সিনেমামুখী করেছিলেন। নিজেই তৈরি করেছিলেন এক স্বতন্ত্র অবস্থান।’
অভিনয় দক্ষতা নিয়েও কথা বলেন তিনি। লেখেন, ‘অভিনয় দক্ষতায় সব ধরনের মানুষের কাছে নায়কদের শিরোমণি হয়ে উঠেছিলেন নায়করাজ রাজ্জাক। তাই কোটি বাঙালির হৃদয়ে আজও তিনি বেঁচে আছেন। যতদিন বাংলাদেশ থাকবে, বাংলাদেশের সিনেমা থাকবে- ততদিনই তিনি আমাদের সকলের হৃদয়ে অহংকার হয়ে থাকবেন।’
আর ব্যক্তিগত জায়গা থেকে শাকিব বলেন, ‘নায়করাজ রাজ্জাক ছিলেন আমার মাথার ওপরে সুবিশাল আকাশ। ছায়ায় ও মায়ায় আগলে রেখে ভালোবাসা ও পরামর্শ দিতেন। অনেকদিন দেখা না হলেও কীভাবে যেন বুঝে যেতেন কিসের মধ্যে আছি, এটাই বুঝি আত্মার সম্পর্ক!
আজ ২১ আগস্ট নায়করাজ রাজ্জাকের চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকী। আপনাকে হারানো আমার কাছে নিজের অভিভাবক হারানোর মতো বেদনার। আমার বিশ্বাস, চোখের সামনে না থাকলেও আপনার অদৃশ্য স্নেহ সবসময়ই আমাকে সামনে এগিয়ে যেতে সাহায্য করছে। আপনার আত্মার শান্তি কামনা করি। শান্তিতে থাকুন আমাদের নায়করাজ।’
বাংলা চলচ্চিত্রকে অনন্য এক উচ্চতায় নিয়ে যাওয়া এ মানুষটির জন্ম ১৯৪২ সালের ২৩ জানুয়ারি পশ্চিমবঙ্গে কলকাতার টালিগঞ্জে। নায়করাজ নামে সুপরিচিত হলেও তার আসল নাম আব্দুর রাজ্জাক। এক জীবনে তিনি প্রায় ৩০০টি বাংলা ও উর্দু চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন।পরিচালনা করেছেন প্রায় ১৬টি চলচ্চিত্র। ১৯৯০ সাল পর্যন্ত বেশ দাপটের সঙ্গেই ঢালিউডে সেরা নায়ক হয়ে অভিনয় করেন রাজ্জাক।এর মধ্য দিয়েই তিনি অর্জন করেন নায়করাজ রাজ্জাক খেতাব। অর্জন করেন একাধিক জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সম্মাননা।
এছাড়াও, রাজ্জাক জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিলের শুভেচ্ছা দূত হিসেবে কাজ করছেন।