অবসর-কল্যাণ ট্রাস্টের টাকায় হজে যাচ্ছেন ৯২২ শিক্ষক

  • Update Time : ০৮:৩৯:৩৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৩
  • / 151

বিডি সমাচার ডেস্ক:

বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের চাকরি শেষ করে অবসর ও কল্যাণ ট্রাস্টের টাকা পেতে দীর্ঘদিন অপেক্ষা করতে হয় শিক্ষকদের। জীবনের শেষ সময় নিজের জমানো টাকায় হজ করতে চান অনেকেই। কিন্তু জীবন সায়াহ্নে এসে অবসর ও কল্যাণ ট্রাস্টের টাকা না পাওয়ায় শেষ ইচ্ছেটাও পূরণ করতে পারেন না। তাদের কথা চিন্তা করে হজের গমনেচ্ছুদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থায় টাকা দেওয়ার ব্যবস্থা করে অবসর ও কল্যাণ ট্রাস্ট।

এরই মধ্যে ৯২২ জন শিক্ষকের জন্য ৭১ কোটি টাকা ছাড় করা হয়েছে। এরমধ্যে ৪৬৭ জন অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক-কর্মচারীর অবসর সুবিধার ৩২ কোট ৩৬ লাখ ৫৩ হাজার টাকা ছাড় করেছে অবসর বোর্ড। এছাড়াও ৪৫৫ জন শিক্ষককে ৩৯ কোটি ৩৭ লাখ ৩৬ হাজার ৯০১ টাকা প্রদান করেছে কল্যাণ ট্রাস্ট।

হজে গমনেচ্ছু ৪৬৭ জন অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক-কর্মচারীর অবসর সুবিধার ৩২ কোট ৩৬ লাখ ৫৩ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার ওই শিক্ষক-কর্মচারীদের টাকা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারী অবসরসুবিধা বোর্ড। অবসর সুবিধা বোর্ডের ব্যাপক অর্থিক সংকট থাকা সত্ত্বেও প্রতি বছরের মতো এ বছরে এমপিওভুক্ত অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের হজের আবেদন গ্রহণ করা হয়। আবেদন যাচাই-বাছাই ও নিরীক্ষা করে ৪৬৭ জন শিক্ষক-কর্মচারীর মধ্যে ইএফটি পদ্ধতিতে ৩২ কোটি ৩৬ লাখ ৫৩ হাজার টাকা দেওয়া হয়।

কল্যাণ ট্রাস্টের টাকায় হজ করার সুযোগ পাচ্ছেন ৪৫৫ জন শিক্ষক। বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারী কল্যাণ ট্রাস্টের কল্যাণ সুবিধার ৩৯ কোটি ৩৭ লাখ ৩৬ হাজার ৯০১ টাকা প্রদান করা হয়েছে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক-কর্মচারী কল্যাণ ট্রাস্ট এসব তথ্য জানিয়েছে। কল্যাণ ট্রাস্টে আবেদনকারী শিক্ষকদের অনলাইন ব্যবস্থায় আরটিজিএসের মাধ্যমে যার যার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠানো হয়েছে।

এ বিষয়ে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক-কর্মচারী কল্যাণ ট্রাস্টের সচিব ও স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদের (স্বাশিপ) সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ মো. শাহজাহান আলম সাজু বলেন, হজ একটি ধর্মীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। মানুষ শেষ জীবনে হজে যাওয়ার জন্য ব্যাকুল হয়ে ওঠে। বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীরা তাদের সারা জীবনের সঞ্চিত কল্যাণ ও অবসর বোর্ডের টাকা দিয়ে শেষ জীবনে হজ করতে উদগ্রীব থাকেন। দেরি হলে অনেকেই হজে যাওয়ার শারীরিক সক্ষমতাও হারিয়ে ফেলেন। এসব দিক বিবেচনা করে কল্যাণ ট্রাস্ট কর্তৃপক্ষ এসব শিক্ষকের জন্য বিশেষ ব্যবস্থায় কল্যাণ ট্রাস্টের টাকা প্রদান করে থাকে।

Please Share This Post in Your Social Media


অবসর-কল্যাণ ট্রাস্টের টাকায় হজে যাচ্ছেন ৯২২ শিক্ষক

Update Time : ০৮:৩৯:৩৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৩

বিডি সমাচার ডেস্ক:

বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের চাকরি শেষ করে অবসর ও কল্যাণ ট্রাস্টের টাকা পেতে দীর্ঘদিন অপেক্ষা করতে হয় শিক্ষকদের। জীবনের শেষ সময় নিজের জমানো টাকায় হজ করতে চান অনেকেই। কিন্তু জীবন সায়াহ্নে এসে অবসর ও কল্যাণ ট্রাস্টের টাকা না পাওয়ায় শেষ ইচ্ছেটাও পূরণ করতে পারেন না। তাদের কথা চিন্তা করে হজের গমনেচ্ছুদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থায় টাকা দেওয়ার ব্যবস্থা করে অবসর ও কল্যাণ ট্রাস্ট।

এরই মধ্যে ৯২২ জন শিক্ষকের জন্য ৭১ কোটি টাকা ছাড় করা হয়েছে। এরমধ্যে ৪৬৭ জন অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক-কর্মচারীর অবসর সুবিধার ৩২ কোট ৩৬ লাখ ৫৩ হাজার টাকা ছাড় করেছে অবসর বোর্ড। এছাড়াও ৪৫৫ জন শিক্ষককে ৩৯ কোটি ৩৭ লাখ ৩৬ হাজার ৯০১ টাকা প্রদান করেছে কল্যাণ ট্রাস্ট।

হজে গমনেচ্ছু ৪৬৭ জন অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক-কর্মচারীর অবসর সুবিধার ৩২ কোট ৩৬ লাখ ৫৩ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার ওই শিক্ষক-কর্মচারীদের টাকা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারী অবসরসুবিধা বোর্ড। অবসর সুবিধা বোর্ডের ব্যাপক অর্থিক সংকট থাকা সত্ত্বেও প্রতি বছরের মতো এ বছরে এমপিওভুক্ত অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের হজের আবেদন গ্রহণ করা হয়। আবেদন যাচাই-বাছাই ও নিরীক্ষা করে ৪৬৭ জন শিক্ষক-কর্মচারীর মধ্যে ইএফটি পদ্ধতিতে ৩২ কোটি ৩৬ লাখ ৫৩ হাজার টাকা দেওয়া হয়।

কল্যাণ ট্রাস্টের টাকায় হজ করার সুযোগ পাচ্ছেন ৪৫৫ জন শিক্ষক। বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারী কল্যাণ ট্রাস্টের কল্যাণ সুবিধার ৩৯ কোটি ৩৭ লাখ ৩৬ হাজার ৯০১ টাকা প্রদান করা হয়েছে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক-কর্মচারী কল্যাণ ট্রাস্ট এসব তথ্য জানিয়েছে। কল্যাণ ট্রাস্টে আবেদনকারী শিক্ষকদের অনলাইন ব্যবস্থায় আরটিজিএসের মাধ্যমে যার যার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠানো হয়েছে।

এ বিষয়ে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক-কর্মচারী কল্যাণ ট্রাস্টের সচিব ও স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদের (স্বাশিপ) সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ মো. শাহজাহান আলম সাজু বলেন, হজ একটি ধর্মীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। মানুষ শেষ জীবনে হজে যাওয়ার জন্য ব্যাকুল হয়ে ওঠে। বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীরা তাদের সারা জীবনের সঞ্চিত কল্যাণ ও অবসর বোর্ডের টাকা দিয়ে শেষ জীবনে হজ করতে উদগ্রীব থাকেন। দেরি হলে অনেকেই হজে যাওয়ার শারীরিক সক্ষমতাও হারিয়ে ফেলেন। এসব দিক বিবেচনা করে কল্যাণ ট্রাস্ট কর্তৃপক্ষ এসব শিক্ষকের জন্য বিশেষ ব্যবস্থায় কল্যাণ ট্রাস্টের টাকা প্রদান করে থাকে।