এভারকেয়ার হসপিটাল ঢাকা’র আয়োজনে ব্রেস্ট ক্যান্সার অ্যাওয়্যারনেস পেশেন্ট ফোরাম

  • Update Time : ০৮:৩১:০২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৪
  • / 16

দেশের প্রথম জেসিআই স্বীকৃত হাসপাতাল এভারকেয়ার হসপিটাল ঢাকা ব্রেস্ট ক্যান্সার সচেতনতা নিয়ে একটি পেশেন্ট ফোরাম আয়োজন করেছে। পেশেন্ট ফোরামে এভারকেয়ার হসপিটাল ঢাকা-র অনকোলজিস্ট, সার্জন ও বিভিন্ন বিভাগের বিশেষজ্ঞরা একত্রিত হন। ফোরামে প্রাথমিক রোগ সনাক্তকরণ ও সময়মত চিকিত্সার জীবন রক্ষাকারী প্রভাব নিয়ে আলোচনা করা হয়। বাংলাদেশের মোট ক্যান্সার আক্রান্ত নারীদের মধ্যে ১৯ শতাংশ ব্রেস্ট ক্যান্সারে আক্রান্ত। বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রাথমিক রোগ নির্ণয় সুস্থতার হার ৯০ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি করতে পারে।

পেশেন্ট ফোরামে উপস্থিত ছিলেন এভারকেয়ার হসপিটালস বাংলাদেশ-এর সিইও ও এমডি ডা. রত্নাদ্বীপ চাস্কার এবং গ্রুপ মেডিকেল ডিরেক্টর ডা. আরিফ মাহমুদ। প্রাথমিক রোগ নির্ণয় হলে রোগীর জীবন বাঁচানো সম্ভব এবং এভারকেয়ার হসপিটাল ঢাকা দেশের ব্রেস্ট ক্যান্সার রোগীদের বিশ্বমানের সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে সবচেয়ে এগিয়ে রয়েছে বলে তারা জানান।

ফোরামে আরও অংশগ্রহণ করেন এভারকেয়ার হসপিটাল ঢাকা’র মেডিকেল অনকোলজি বিভাগের সিনিয়র কনসালটেন্ট ও কো-অর্ডিনেটর ডা. ফেরদৌস শাহরিয়ার সাঈদ; ক্লিনিক্যাল অনকোলজি বিভাগের সিনিয়র কনসালটেন্ট ও রেডিয়েশন অনকোলজি বিভাগের কো-অর্ডিনেটর ডা. বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য; মেডিকেল অনকোলজি বিভাগের সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. রাজু টাইটাস চ্যাকো; এবং রেডিয়েশন অনকোলজি বিভাগের সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. আরমান রেজা চৌধুরী। সেসময় তারা সমন্বিত চিকিত্সা পদ্ধতির গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা করেন।

পেশেন্ট ফোরামে বয়স, জেনেটিক্স ও লাইফস্টাইল চয়েজ নিয়ে আলোচনা করা হয়। বিশেষজ্ঞরা ব্রেস্ট সেলফ এক্সামিনেশন এর ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন, পাশাপাশি আলট্রাসনোগ্রাম/ম্যামোগ্রামের মাধ্যমে নিয়মিত স্ক্রীনিংয়ের সুবিধা ও অন্যান্য সচেতনতামূলক বিষয়ে আলোকপাত করা হয়। বিশেষজ্ঞরা প্রাথমিক লক্ষণ সনাক্ত করা এবং সময়মতো চিকিৎসা পরামর্শ নেওয়ার ক্ষেত্রে সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। সচেতনতা বৃদ্ধির অংশ হিসেবে এভারকেয়ার হসপিটাল ঢাকা পেসেন্ট ফোরাম করে, যেখানে স্ক্রিনিং পরিষেবা বিষয়ক আলোচনা ও বিশেষজ্ঞের পরামর্শ প্রদান করা হয়। আধুনিক ডায়াগনস্টিক টুল, যেমন; আলট্রাসনোগ্রাম, ম্যামোগ্রাম, এমআরআই এবং পেট-সিটি স্ক্যানের পাশাপাশি সার্জারি, কেমোথেরাপি, ইমিউনোথেরাপি, হরমোনথেরাপি এবং রেডিয়েশন থেরাপি নিয়েও ফোরামে আলোচনা করা হয়। ফোরামে কীভাবে পার্সোনালাইজড ট্রিটমেন্ট প্ল্যান ও মাল্টি-ডিসিপ্লিনারি কেয়ারের মাধ্যমে রোগীরা চিকিত্সাকালীন সহায়তা পান, অংশগ্রহণকারীরা সে সম্পর্কে ধারণা পেয়েছেন।

এভারকেয়ার হসপিটাল ঢাকা-র অনকোলজি, সার্জারি, রেডিওলজি এবং হিষ্টোপ্যাথোলজি বিশেষজ্ঞরা ব্রেস্ট ক্যান্সার চিকিত্সার সাম্প্রতিক অগ্রগতি শেয়ার করেন, যার মধ্যে – মিনিমালি ইনভেসিভ সার্জিক্যাল টেকনিকস ও বিভিন্ন ইনোভেটিভ থেরাপি উল্লেখযোগ্য। ফোরামে উপস্থিত অতিথিবৃন্দ ও ক্যান্সার আক্রান্ত রোগীর সাথে ব্রেস্ট ক্যান্সার সারভাইভাররা তাদের লড়াইয়ের গল্পগুলো শেয়ার করেন।

Please Share This Post in Your Social Media


এভারকেয়ার হসপিটাল ঢাকা’র আয়োজনে ব্রেস্ট ক্যান্সার অ্যাওয়্যারনেস পেশেন্ট ফোরাম

Update Time : ০৮:৩১:০২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৪

দেশের প্রথম জেসিআই স্বীকৃত হাসপাতাল এভারকেয়ার হসপিটাল ঢাকা ব্রেস্ট ক্যান্সার সচেতনতা নিয়ে একটি পেশেন্ট ফোরাম আয়োজন করেছে। পেশেন্ট ফোরামে এভারকেয়ার হসপিটাল ঢাকা-র অনকোলজিস্ট, সার্জন ও বিভিন্ন বিভাগের বিশেষজ্ঞরা একত্রিত হন। ফোরামে প্রাথমিক রোগ সনাক্তকরণ ও সময়মত চিকিত্সার জীবন রক্ষাকারী প্রভাব নিয়ে আলোচনা করা হয়। বাংলাদেশের মোট ক্যান্সার আক্রান্ত নারীদের মধ্যে ১৯ শতাংশ ব্রেস্ট ক্যান্সারে আক্রান্ত। বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রাথমিক রোগ নির্ণয় সুস্থতার হার ৯০ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি করতে পারে।

পেশেন্ট ফোরামে উপস্থিত ছিলেন এভারকেয়ার হসপিটালস বাংলাদেশ-এর সিইও ও এমডি ডা. রত্নাদ্বীপ চাস্কার এবং গ্রুপ মেডিকেল ডিরেক্টর ডা. আরিফ মাহমুদ। প্রাথমিক রোগ নির্ণয় হলে রোগীর জীবন বাঁচানো সম্ভব এবং এভারকেয়ার হসপিটাল ঢাকা দেশের ব্রেস্ট ক্যান্সার রোগীদের বিশ্বমানের সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে সবচেয়ে এগিয়ে রয়েছে বলে তারা জানান।

ফোরামে আরও অংশগ্রহণ করেন এভারকেয়ার হসপিটাল ঢাকা’র মেডিকেল অনকোলজি বিভাগের সিনিয়র কনসালটেন্ট ও কো-অর্ডিনেটর ডা. ফেরদৌস শাহরিয়ার সাঈদ; ক্লিনিক্যাল অনকোলজি বিভাগের সিনিয়র কনসালটেন্ট ও রেডিয়েশন অনকোলজি বিভাগের কো-অর্ডিনেটর ডা. বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য; মেডিকেল অনকোলজি বিভাগের সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. রাজু টাইটাস চ্যাকো; এবং রেডিয়েশন অনকোলজি বিভাগের সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. আরমান রেজা চৌধুরী। সেসময় তারা সমন্বিত চিকিত্সা পদ্ধতির গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা করেন।

পেশেন্ট ফোরামে বয়স, জেনেটিক্স ও লাইফস্টাইল চয়েজ নিয়ে আলোচনা করা হয়। বিশেষজ্ঞরা ব্রেস্ট সেলফ এক্সামিনেশন এর ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন, পাশাপাশি আলট্রাসনোগ্রাম/ম্যামোগ্রামের মাধ্যমে নিয়মিত স্ক্রীনিংয়ের সুবিধা ও অন্যান্য সচেতনতামূলক বিষয়ে আলোকপাত করা হয়। বিশেষজ্ঞরা প্রাথমিক লক্ষণ সনাক্ত করা এবং সময়মতো চিকিৎসা পরামর্শ নেওয়ার ক্ষেত্রে সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। সচেতনতা বৃদ্ধির অংশ হিসেবে এভারকেয়ার হসপিটাল ঢাকা পেসেন্ট ফোরাম করে, যেখানে স্ক্রিনিং পরিষেবা বিষয়ক আলোচনা ও বিশেষজ্ঞের পরামর্শ প্রদান করা হয়। আধুনিক ডায়াগনস্টিক টুল, যেমন; আলট্রাসনোগ্রাম, ম্যামোগ্রাম, এমআরআই এবং পেট-সিটি স্ক্যানের পাশাপাশি সার্জারি, কেমোথেরাপি, ইমিউনোথেরাপি, হরমোনথেরাপি এবং রেডিয়েশন থেরাপি নিয়েও ফোরামে আলোচনা করা হয়। ফোরামে কীভাবে পার্সোনালাইজড ট্রিটমেন্ট প্ল্যান ও মাল্টি-ডিসিপ্লিনারি কেয়ারের মাধ্যমে রোগীরা চিকিত্সাকালীন সহায়তা পান, অংশগ্রহণকারীরা সে সম্পর্কে ধারণা পেয়েছেন।

এভারকেয়ার হসপিটাল ঢাকা-র অনকোলজি, সার্জারি, রেডিওলজি এবং হিষ্টোপ্যাথোলজি বিশেষজ্ঞরা ব্রেস্ট ক্যান্সার চিকিত্সার সাম্প্রতিক অগ্রগতি শেয়ার করেন, যার মধ্যে – মিনিমালি ইনভেসিভ সার্জিক্যাল টেকনিকস ও বিভিন্ন ইনোভেটিভ থেরাপি উল্লেখযোগ্য। ফোরামে উপস্থিত অতিথিবৃন্দ ও ক্যান্সার আক্রান্ত রোগীর সাথে ব্রেস্ট ক্যান্সার সারভাইভাররা তাদের লড়াইয়ের গল্পগুলো শেয়ার করেন।