বেঁধে দেয়া দামে বিক্রি হচ্ছে না ডিম, আলু ও পেঁয়াজ

  • Update Time : ০৯:০৮:৪৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • / 121

নিজস্ব প্রতিবেদক

দাম বেঁধে দেয়ার ছয় দিনেও নিয়ন্ত্রণে আসেনি ডিম, আলু ও পেঁয়াজের দাম। প্রতিদিনই চলছে ভোক্তা অধিকারের অভিযান। কিছু ব্যবসায়ীকে জরিমানা করা হলেও বাজারে প্রভাব পড়ছে না।

খুচরা ও পাইকারি ব্যবসায়ীরা বলছেন, বড় ব্যবসায়ীরা সরকার নির্ধারিত দামে পণ্য না ছাড়লে দাম নিয়ন্ত্রণে আসবে না।

ঢাকার মোহাম্মদ কৃষি মার্কেটের পাইকারি বাজারের ডিম, আলু ও পেঁয়াজের দোকানে অভিযানে নেমেছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। এই বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৬৫ ও আলু ৩৬ টাকা কেজিতে বিক্রি করছে পাইকারা।

কিন্তু সরকারের বেধে দেয়া দাম অনুযায়ী পাইকারি বাজারে আলু বিক্রির কথা ২৭ টাকা ও পেঁয়াজ ৫৫ টাকা। পাইকারদের কেনা বেচার রশিদেও গোঁজামিল। তাই দুই ব্যবসায়ীকে ৫ করে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করে ভোক্তা অধিকারের ভ্রাম্যমাণ আদালত।

ভোক্তা অধিকারের গেলো ছয় দিনের অভিযানেও পাইকারি বাজারে দাম নিয়ন্ত্রণে আসেনি। ফলে খুচরা বাজারে আগের বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে আলু ও পেঁয়াজ।

বাজার নিয়ন্ত্রণে আসা না পর্যন্ত অভিযান চলবে বলে জানালেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো: আব্দুল জব্বার মন্ডল।

আলুর দাম বাড়ানো প্রসঙ্গে এক পাইকারি ব্যবসায়ীর উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, কোল্ড স্টোরেজ থেকে যে দাম বেশি রাখা হচ্ছে, সেই প্রমাণ আমাদের দিচ্ছেন না। তাই আমাদের মনে হয়েছে, পাইকারি ব্যবসায়ী বা আড়তদারদের সঙ্গে কোল্ড স্টোরেজ মালিকদের যোগাযোগ রয়েছে।

‘উনারাও লাভ করছেন, ইনারাও লাভ করছেন। সেকারণেই দাম বেশি হচ্ছে।’
বড় বড় হিমাগারগুলোতে অভিযান চলছে। দাম নিয়ন্ত্রণে আসবে বলে আশা করেন এই কর্মকর্তা।

আব্দুল জব্বার মন্ডল বলেন, উত্তরাঞ্চলে পরিদর্শন চলছে। রুট লেভেলে আমরা গিয়েছি।

এদিকে ডিমের দাম নিয়ন্ত্রণে আমদানির অনুমতি দেয়া হলেও বাজারে এর কোনো প্রভাব পড়েনি। চারটি প্রতিষ্ঠানকে মোট চার কোটি ডিম আমদানির অনুমতি দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।

ভারত থেকে আমদানি করা ডিম দেশে এলে দাম কমবে বলে আশা করা হচ্ছে।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


বেঁধে দেয়া দামে বিক্রি হচ্ছে না ডিম, আলু ও পেঁয়াজ

Update Time : ০৯:০৮:৪৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক

দাম বেঁধে দেয়ার ছয় দিনেও নিয়ন্ত্রণে আসেনি ডিম, আলু ও পেঁয়াজের দাম। প্রতিদিনই চলছে ভোক্তা অধিকারের অভিযান। কিছু ব্যবসায়ীকে জরিমানা করা হলেও বাজারে প্রভাব পড়ছে না।

খুচরা ও পাইকারি ব্যবসায়ীরা বলছেন, বড় ব্যবসায়ীরা সরকার নির্ধারিত দামে পণ্য না ছাড়লে দাম নিয়ন্ত্রণে আসবে না।

ঢাকার মোহাম্মদ কৃষি মার্কেটের পাইকারি বাজারের ডিম, আলু ও পেঁয়াজের দোকানে অভিযানে নেমেছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। এই বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৬৫ ও আলু ৩৬ টাকা কেজিতে বিক্রি করছে পাইকারা।

কিন্তু সরকারের বেধে দেয়া দাম অনুযায়ী পাইকারি বাজারে আলু বিক্রির কথা ২৭ টাকা ও পেঁয়াজ ৫৫ টাকা। পাইকারদের কেনা বেচার রশিদেও গোঁজামিল। তাই দুই ব্যবসায়ীকে ৫ করে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করে ভোক্তা অধিকারের ভ্রাম্যমাণ আদালত।

ভোক্তা অধিকারের গেলো ছয় দিনের অভিযানেও পাইকারি বাজারে দাম নিয়ন্ত্রণে আসেনি। ফলে খুচরা বাজারে আগের বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে আলু ও পেঁয়াজ।

বাজার নিয়ন্ত্রণে আসা না পর্যন্ত অভিযান চলবে বলে জানালেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো: আব্দুল জব্বার মন্ডল।

আলুর দাম বাড়ানো প্রসঙ্গে এক পাইকারি ব্যবসায়ীর উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, কোল্ড স্টোরেজ থেকে যে দাম বেশি রাখা হচ্ছে, সেই প্রমাণ আমাদের দিচ্ছেন না। তাই আমাদের মনে হয়েছে, পাইকারি ব্যবসায়ী বা আড়তদারদের সঙ্গে কোল্ড স্টোরেজ মালিকদের যোগাযোগ রয়েছে।

‘উনারাও লাভ করছেন, ইনারাও লাভ করছেন। সেকারণেই দাম বেশি হচ্ছে।’
বড় বড় হিমাগারগুলোতে অভিযান চলছে। দাম নিয়ন্ত্রণে আসবে বলে আশা করেন এই কর্মকর্তা।

আব্দুল জব্বার মন্ডল বলেন, উত্তরাঞ্চলে পরিদর্শন চলছে। রুট লেভেলে আমরা গিয়েছি।

এদিকে ডিমের দাম নিয়ন্ত্রণে আমদানির অনুমতি দেয়া হলেও বাজারে এর কোনো প্রভাব পড়েনি। চারটি প্রতিষ্ঠানকে মোট চার কোটি ডিম আমদানির অনুমতি দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।

ভারত থেকে আমদানি করা ডিম দেশে এলে দাম কমবে বলে আশা করা হচ্ছে।