দু-এক মাসের মধ্যে পণ্য আমদানি স্বাভাবিক হবে: গভর্নর

  • Update Time : ০৩:৫৮:৩৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৩
  • / 472

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ   

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার বলেছেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে আমদানিতে এলসি মার্জিন ন্যূনতম করাসহ বেশ কিছু নীতিগত পদক্ষেপ নিয়ে কাজ করছে বাংলাদেশ ব্যাংক। আর এলসি খোলা নিয়ে বিরাজমান পরিস্থিতি দু-এক মাসের মধ্যে স্বাভাবিক হয়ে আসবে।

মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারি) বাংলাদেশ ব্যাংক কার্যালয়ে ডিসিসিআইয়ের পরিচালনা পর্ষদের নবনির্বাচিত নেতারা তার সঙ্গে দেখা করতে গেলে গভর্নর তাদের এসব আশ্বাস দেন। তিনি বলেন, এলসি খোলা নিয়ে যে পরিস্থিতি বিরাজ করছে, তা আগামী দু-এক মাসের মধ্যে স্বাভাবিক হয়ে আসবে।

এ সময় রোজার মাসে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানির ঋণপত্র বা এলসি নিষ্পত্তিতে পর্যাপ্ত বৈদেশিক মুদ্রা সরবরাহে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে সহায়তা করার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতি আহ্বান জানান ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) সভাপতি সামীর সাত্তার।

এ সময় সংগঠনটির ঊর্ধ্বতন সহসভাপতি এস এম গোলাম ফারুক আলমগীর, সহ-সভাপতি মো. জুনায়েদ ইবনে আলীসহ বেশ কয়েকজন পর্ষদ সদস্য উপস্থিত ছিলেন।

ডিসিসিআইয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে বৈঠকে সামীর সাত্তার বলেন, রোজায় নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের জোগান নিরবচ্ছিন্ন রাখতে বাংলাদেশ ব্যাংকের সহায়তা প্রয়োজন। পর্যাপ্ত বৈদেশিক মুদ্রা সরবরাহ করে এ সহায়তা করতে পারে বাংলাদেশ ব্যাংক।’জবাবে গভর্নর জানিয়েছেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে আমদানিতে এলসি মার্জিন ন্যূনতম করাসহ বেশ কিছু নীতিগত পদক্ষেপ নিয়ে কাজ করছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

রোজার কথা বিবেচনায় নিয়ে গত বছরের ১১ ডিসেম্বর আটটি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানিতে ঋণপত্র খোলায় নগদ মার্জিনের হার ন্যূনতম পর্যায়ে রাখার নির্দেশ দিয়ে সার্কুলার জারি করে বাংলাদেশ ব্যাংক।

ওই সার্কুলারে বলা হয়, রোজার মাসে ভোজ্যতেল, ছোলা, ডাল, মটর, পেঁয়াজ, মসলা, চিনি ও খেজুরের দাম সহনীয় রাখতে পর্যাপ্ত সরবরাহ নিশ্চিতের লক্ষ্যে এসব পণ্যে নগদ মার্জিনের হার ব্যাংকার-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে ন্যূনতম পর্যায়ে রাখার নির্দেশনা দেওয়া হলো।

কিন্তু ডলার সংকটের কারণে এসব পণ্য আমদানির জন্য এলসি খুলতে গিয়ে ব্যাংক থেকে বার বার ফিরে আসছেন ব্যবসায়ীরা। ফলে এলসি খোলায় যাতে কোনও সমস্যায় পড়তে না হয় এজন্য জরুরি ভিত্তিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ব্যাংকগুলোকে ডলার সহায়তার কথা বলেন তারা।

গভর্নরের বরাতে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অর্থনীতিতে এখন তিনটি প্রধান চ্যালেঞ্জ রয়েছে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভের নীতি সুদহার বৃদ্ধি ও চীনের বর্তমান করোনা পরিস্থিতি। অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশকেও এই তিন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হচ্ছে। তবে এসব চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও দেশের অর্থনীতি বেশ স্থিতিশীল।

রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়াতে বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতিগত অবস্থান তুলে ধরে আবদুর রউফ চৌধুরী বলেন, প্রবাসী আয় পাঠাতে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমাদানের বিধান শিথিল করা হয়েছে। স্থানীয় ব্যাংকের মাধ্যমে মাশুল মওকুফ ও রেমিট্যান্স আহরণে মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসকে (এমএফএস) সম্পৃক্ত করা হচ্ছে। ফলে ভবিষ্যতে প্রবাসী আয়ের প্রবাহ আরও বাড়বে।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


দু-এক মাসের মধ্যে পণ্য আমদানি স্বাভাবিক হবে: গভর্নর

Update Time : ০৩:৫৮:৩৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ   

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার বলেছেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে আমদানিতে এলসি মার্জিন ন্যূনতম করাসহ বেশ কিছু নীতিগত পদক্ষেপ নিয়ে কাজ করছে বাংলাদেশ ব্যাংক। আর এলসি খোলা নিয়ে বিরাজমান পরিস্থিতি দু-এক মাসের মধ্যে স্বাভাবিক হয়ে আসবে।

মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারি) বাংলাদেশ ব্যাংক কার্যালয়ে ডিসিসিআইয়ের পরিচালনা পর্ষদের নবনির্বাচিত নেতারা তার সঙ্গে দেখা করতে গেলে গভর্নর তাদের এসব আশ্বাস দেন। তিনি বলেন, এলসি খোলা নিয়ে যে পরিস্থিতি বিরাজ করছে, তা আগামী দু-এক মাসের মধ্যে স্বাভাবিক হয়ে আসবে।

এ সময় রোজার মাসে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানির ঋণপত্র বা এলসি নিষ্পত্তিতে পর্যাপ্ত বৈদেশিক মুদ্রা সরবরাহে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে সহায়তা করার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতি আহ্বান জানান ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) সভাপতি সামীর সাত্তার।

এ সময় সংগঠনটির ঊর্ধ্বতন সহসভাপতি এস এম গোলাম ফারুক আলমগীর, সহ-সভাপতি মো. জুনায়েদ ইবনে আলীসহ বেশ কয়েকজন পর্ষদ সদস্য উপস্থিত ছিলেন।

ডিসিসিআইয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে বৈঠকে সামীর সাত্তার বলেন, রোজায় নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের জোগান নিরবচ্ছিন্ন রাখতে বাংলাদেশ ব্যাংকের সহায়তা প্রয়োজন। পর্যাপ্ত বৈদেশিক মুদ্রা সরবরাহ করে এ সহায়তা করতে পারে বাংলাদেশ ব্যাংক।’জবাবে গভর্নর জানিয়েছেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে আমদানিতে এলসি মার্জিন ন্যূনতম করাসহ বেশ কিছু নীতিগত পদক্ষেপ নিয়ে কাজ করছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

রোজার কথা বিবেচনায় নিয়ে গত বছরের ১১ ডিসেম্বর আটটি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানিতে ঋণপত্র খোলায় নগদ মার্জিনের হার ন্যূনতম পর্যায়ে রাখার নির্দেশ দিয়ে সার্কুলার জারি করে বাংলাদেশ ব্যাংক।

ওই সার্কুলারে বলা হয়, রোজার মাসে ভোজ্যতেল, ছোলা, ডাল, মটর, পেঁয়াজ, মসলা, চিনি ও খেজুরের দাম সহনীয় রাখতে পর্যাপ্ত সরবরাহ নিশ্চিতের লক্ষ্যে এসব পণ্যে নগদ মার্জিনের হার ব্যাংকার-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে ন্যূনতম পর্যায়ে রাখার নির্দেশনা দেওয়া হলো।

কিন্তু ডলার সংকটের কারণে এসব পণ্য আমদানির জন্য এলসি খুলতে গিয়ে ব্যাংক থেকে বার বার ফিরে আসছেন ব্যবসায়ীরা। ফলে এলসি খোলায় যাতে কোনও সমস্যায় পড়তে না হয় এজন্য জরুরি ভিত্তিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ব্যাংকগুলোকে ডলার সহায়তার কথা বলেন তারা।

গভর্নরের বরাতে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অর্থনীতিতে এখন তিনটি প্রধান চ্যালেঞ্জ রয়েছে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভের নীতি সুদহার বৃদ্ধি ও চীনের বর্তমান করোনা পরিস্থিতি। অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশকেও এই তিন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হচ্ছে। তবে এসব চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও দেশের অর্থনীতি বেশ স্থিতিশীল।

রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়াতে বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতিগত অবস্থান তুলে ধরে আবদুর রউফ চৌধুরী বলেন, প্রবাসী আয় পাঠাতে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমাদানের বিধান শিথিল করা হয়েছে। স্থানীয় ব্যাংকের মাধ্যমে মাশুল মওকুফ ও রেমিট্যান্স আহরণে মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসকে (এমএফএস) সম্পৃক্ত করা হচ্ছে। ফলে ভবিষ্যতে প্রবাসী আয়ের প্রবাহ আরও বাড়বে।