শিল্প এলাকায় চলছে তীব্র গ্যাস সংকট

  • Update Time : ১২:১২:০০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ জানুয়ারী ২০২২
  • / 115

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

সাভার, গাজীপুর, মুন্সিগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জসহ কয়েকটি শিল্প এলাকায় চলছে তীব্র গ্যাস সংকট। ব্যাহত হচ্ছে উৎপাদন কর্মকাণ্ড। রপ্তানি বাধাগ্রস্ত হওয়ার শঙ্কা উদ্যোক্তাদের। তাই সংকটের দ্রুত সমাধান চান তারা।

দেশের তৈরি পোশাক শিল্পের কাঁচামালের সবচেয়ে বড় যোগানদাতা টেক্সটাইল ও স্পিনিং মিল। যেখান থেকে সরবরাহ হয় সূতা ও কাপড়। কিন্তু গেলো তিন মাস ধরে তীব্র গ্যাস সংকটে ভুগছে পোশাক খাতের পশ্চাৎপদ এই শিল্প।

গ্যাসের পর্যাপ্ত চাপ না থাকায় ঢাকা মহানগর, সাভার, গাজীপুর, সফিপুর, কোনাবাড়ী, আশুলিয়া, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জসহ বিভিন্ন এলাকার বেশিরভাগ শিল্পকারখানা দিনের অধিকাংশ সময় বন্ধ থাকছে।

উদ্যোক্তারা বলছেন, পাইপলাইনে গ্যাসের চাপ ১৫ পিএসআই থাকার কথা। কিন্তু পাওয়া যাচ্ছে আড়াই থেকে ৩ পিএসআই। ফলে উৎপাদন সক্ষমতা কাজে লাগানো যাচ্ছে না। পড়তে হচ্ছে আর্থিক লোকসানের মুখে।

বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস এসোসিয়েশনের সভাপতি মোহাম্মদ আলী খোকন বলেন, ‘বয়লার ছাড়া তো কোন প্রোসিসিং হয় না, সেখানে ডাইংয়ের কেমিক্যাল হয়। আমি কেমিক্যাল মিক্স করে বয়লার স্ট্রাট দিলাম, মেশিন চলছে কিন্তু হঠাৎ বয়লার থেকে স্ট্রিম বন্ধ হয়ে গেল গ্যাস না থাকার কারণে। ডাইংয়ের এই পুরো প্রসেসটা ফেলে দিতে হবে।’

শিল্প মালিকরা বলছেন, গ্যাস সংকটের দ্রুত সমাধান না হলে বাধাগ্রস্ত হবে রপ্তানি-বাণিজ্য। উদ্যোক্তাদের পাশাপাশি ক্ষতির মুখে পড়বে সার্বিক অর্থনীতিও।

এলএনজি টার্মিনালের একটি ইউনিটে ত্রুটি দেখা দেয়ায় গ্যাস সরবরাহে বিঘ্ন ঘটছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে আরও কয়েক সপ্তাহ লাগতে পারে বলে ধারণা সংশ্লিষ্টদের।

তবে, এ বিষয়ে ক্যামেরার সামনে কথা বলতে রাজি হননি পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান নাজমুল আহসান।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


শিল্প এলাকায় চলছে তীব্র গ্যাস সংকট

Update Time : ১২:১২:০০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ জানুয়ারী ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

সাভার, গাজীপুর, মুন্সিগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জসহ কয়েকটি শিল্প এলাকায় চলছে তীব্র গ্যাস সংকট। ব্যাহত হচ্ছে উৎপাদন কর্মকাণ্ড। রপ্তানি বাধাগ্রস্ত হওয়ার শঙ্কা উদ্যোক্তাদের। তাই সংকটের দ্রুত সমাধান চান তারা।

দেশের তৈরি পোশাক শিল্পের কাঁচামালের সবচেয়ে বড় যোগানদাতা টেক্সটাইল ও স্পিনিং মিল। যেখান থেকে সরবরাহ হয় সূতা ও কাপড়। কিন্তু গেলো তিন মাস ধরে তীব্র গ্যাস সংকটে ভুগছে পোশাক খাতের পশ্চাৎপদ এই শিল্প।

গ্যাসের পর্যাপ্ত চাপ না থাকায় ঢাকা মহানগর, সাভার, গাজীপুর, সফিপুর, কোনাবাড়ী, আশুলিয়া, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জসহ বিভিন্ন এলাকার বেশিরভাগ শিল্পকারখানা দিনের অধিকাংশ সময় বন্ধ থাকছে।

উদ্যোক্তারা বলছেন, পাইপলাইনে গ্যাসের চাপ ১৫ পিএসআই থাকার কথা। কিন্তু পাওয়া যাচ্ছে আড়াই থেকে ৩ পিএসআই। ফলে উৎপাদন সক্ষমতা কাজে লাগানো যাচ্ছে না। পড়তে হচ্ছে আর্থিক লোকসানের মুখে।

বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস এসোসিয়েশনের সভাপতি মোহাম্মদ আলী খোকন বলেন, ‘বয়লার ছাড়া তো কোন প্রোসিসিং হয় না, সেখানে ডাইংয়ের কেমিক্যাল হয়। আমি কেমিক্যাল মিক্স করে বয়লার স্ট্রাট দিলাম, মেশিন চলছে কিন্তু হঠাৎ বয়লার থেকে স্ট্রিম বন্ধ হয়ে গেল গ্যাস না থাকার কারণে। ডাইংয়ের এই পুরো প্রসেসটা ফেলে দিতে হবে।’

শিল্প মালিকরা বলছেন, গ্যাস সংকটের দ্রুত সমাধান না হলে বাধাগ্রস্ত হবে রপ্তানি-বাণিজ্য। উদ্যোক্তাদের পাশাপাশি ক্ষতির মুখে পড়বে সার্বিক অর্থনীতিও।

এলএনজি টার্মিনালের একটি ইউনিটে ত্রুটি দেখা দেয়ায় গ্যাস সরবরাহে বিঘ্ন ঘটছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে আরও কয়েক সপ্তাহ লাগতে পারে বলে ধারণা সংশ্লিষ্টদের।

তবে, এ বিষয়ে ক্যামেরার সামনে কথা বলতে রাজি হননি পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান নাজমুল আহসান।