নীলফামারীতে ধর্ষণের পর হত্যা: ফাঁসি ১,যাবজ্জীবন ১

  • Update Time : ০৬:০৪:২১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ জানুয়ারী ২০২১
  • / 137
মশিয়ার রহমান, নীলফামারী জেলা প্রতিনিধি:
নীলফামারীতে জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ আদালতের বিচারক জেলা ও দায়রা জজ মাহাবুবুর রহমান বৃহস্পতিবার (২১ জানুয়ারি) দুপুরে এক কিশোরীকে ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় এক জনের মৃত্যুদন্ড ও একজনের যাবজ্জীবন সাজা প্রদান করেছে।
.
সাজা প্রাপ্তরা হলেন, জেলার ডিমলা উপজেলার নাউতারা ইউনিয়নের সাতজান গ্রামের মৃত ইয়াছিন আলীর ছেলে মকবুল হোসেন(৪০)কে মৃত্যুদন্ড ও একই গ্রামের মতিয়ার রহমানের ছেলে হালিমুর রহমান(২৮)কে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড এবং এক লাখ টাকা জরিমানার আদেশ প্রদান করেন।
.
এই মামলার অপর চার আসামীকে অব্যাহতি(খালাস)দেয়া হয়েছে। তারা হলেন ঐ গ্রামের মৃত বছির উদ্দিনের পুত্র আবদার রহমান ও এনামুল হক, মৃত টন্না মামুদের পুত্র মমিনুর ও মৃত ফয়মুল্লার পুত্র ছাবিদুল ইসলাম।
.
মামলার বিবরণে জানা গেছে, ২০১৩ সালের ২৯ আগস্ট রাতে বাড়ি থেকে নিখোঁজ হন জেলার ডিমলা উপজেলার নাউতারা ইউনিয়নের সাতজান সাইফুন গ্রামের আব্দুল গণির মেয়ে মৌসুমী আক্তার(১৪)।পরেরদিন সকালে বাড়ির কাছে তিস্তা নদীর ধারে থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
.
এ ঘটনার পর অজ্ঞাতনামা আসামী করে ডিমলা থানায় মামলা দায়ের করেন মৌসুমীর মা এলিজন বেগম। মামলার তদন্ত শেষে মৌসুমিকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে মর্মে প্রতিবেশী ইয়াসিন আলীর ছেলে মকবুল হোসেন ও হালিমুর রহমান সহ ছয় জনের নামে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। দীর্ঘ ৮ বছর বিচারকার্য শেষ করে আদালত উক্ত রায় ঘোষণা করেন মর্মে নিশ্চিত করেছেন পিপি আল মাসুদ আলাল।
.
এদিকে উভয় পক্ষ এ রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করবে মর্মে জানা গেছে।
Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


নীলফামারীতে ধর্ষণের পর হত্যা: ফাঁসি ১,যাবজ্জীবন ১

Update Time : ০৬:০৪:২১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ জানুয়ারী ২০২১
মশিয়ার রহমান, নীলফামারী জেলা প্রতিনিধি:
নীলফামারীতে জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ আদালতের বিচারক জেলা ও দায়রা জজ মাহাবুবুর রহমান বৃহস্পতিবার (২১ জানুয়ারি) দুপুরে এক কিশোরীকে ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় এক জনের মৃত্যুদন্ড ও একজনের যাবজ্জীবন সাজা প্রদান করেছে।
.
সাজা প্রাপ্তরা হলেন, জেলার ডিমলা উপজেলার নাউতারা ইউনিয়নের সাতজান গ্রামের মৃত ইয়াছিন আলীর ছেলে মকবুল হোসেন(৪০)কে মৃত্যুদন্ড ও একই গ্রামের মতিয়ার রহমানের ছেলে হালিমুর রহমান(২৮)কে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড এবং এক লাখ টাকা জরিমানার আদেশ প্রদান করেন।
.
এই মামলার অপর চার আসামীকে অব্যাহতি(খালাস)দেয়া হয়েছে। তারা হলেন ঐ গ্রামের মৃত বছির উদ্দিনের পুত্র আবদার রহমান ও এনামুল হক, মৃত টন্না মামুদের পুত্র মমিনুর ও মৃত ফয়মুল্লার পুত্র ছাবিদুল ইসলাম।
.
মামলার বিবরণে জানা গেছে, ২০১৩ সালের ২৯ আগস্ট রাতে বাড়ি থেকে নিখোঁজ হন জেলার ডিমলা উপজেলার নাউতারা ইউনিয়নের সাতজান সাইফুন গ্রামের আব্দুল গণির মেয়ে মৌসুমী আক্তার(১৪)।পরেরদিন সকালে বাড়ির কাছে তিস্তা নদীর ধারে থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
.
এ ঘটনার পর অজ্ঞাতনামা আসামী করে ডিমলা থানায় মামলা দায়ের করেন মৌসুমীর মা এলিজন বেগম। মামলার তদন্ত শেষে মৌসুমিকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে মর্মে প্রতিবেশী ইয়াসিন আলীর ছেলে মকবুল হোসেন ও হালিমুর রহমান সহ ছয় জনের নামে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। দীর্ঘ ৮ বছর বিচারকার্য শেষ করে আদালত উক্ত রায় ঘোষণা করেন মর্মে নিশ্চিত করেছেন পিপি আল মাসুদ আলাল।
.
এদিকে উভয় পক্ষ এ রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করবে মর্মে জানা গেছে।