খুবিতে দুই শিক্ষার্থীকে বহিষ্কারের প্রতিবাদে বশেমুরবিপ্রবি ছাত্র ইউনিয়নের বিবৃতি
- Update Time : ০৯:০১:৩৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ জানুয়ারী ২০২১
- / 155
রাকিবুল হাসান,বশেমুরবিপ্রবি প্রতিনিধি:
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থীকে বহিষ্কারের ঘটনায় বিবৃতি দিয়েছে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় সংসদ।
.
বেতন-ফি কমানো, আবাসন ব্যবস্থা নিশ্চিতকরণ, চিকিৎসা সেবার মানোন্নয়ন এবং শিক্ষার্থীদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট সিদ্ধান্ত গ্রহণে তাদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করাসহ ৫ দফা দাবিতে আন্দোলনে জড়িত ২ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করেন খুবি প্রশাসন।
.
গত ২০ জানুয়ারি ২০২০ সালে তাদের এই আন্দোলনকে কেন্দ্র করে এক বছর পরে ভিন্ন কারন প্রদর্শন করে বহিষ্কার আদেশ দেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
.
যৌথিবৃতিতে বশেমুরবিপ্রবি ছাত্র ইউনিয়ন সংসদের সভাপতি রথীন্দ্র নাথ বাপ্পী এবং সাধারণ সম্পাদক নাজমুল মিলন বলেন, “শিক্ষার্থীদের ন্যায্য দাবি-দাওয়া না মেনে বানোয়াট অভিযোগে উল্টো তাদেরকে বহিষ্কার করার মধ্য দিয়ে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ন্যায্য অধিকার আদায়ের সংগ্রামকে হুমকি প্রদান করেছে।
.
.
বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্যের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, নিপীড়নসহ একাধিক অভিযোগ থাকার পরও রাষ্ট্র যথাযথ ব্যাবস্থা গ্রহণ না করায় তিনি এই দুঃসাহস দেখানোর শক্তি সঞ্চয় করতে পেরেছেন।” নেতৃবৃন্দ বলেন, পাঠ্য বই এবং ক্লাসরুমে আবদ্ধ না থেকে অধিকার আদায়ের সংগ্রামে শামিল হওয়াও একজন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকের দায়িত্ব।
.
শিক্ষার্থীদের ন্যায্য আন্দোলনে সমর্থন জানানো শিক্ষকদের বরখাস্ত করার পাঁয়তারা এই মুহূর্তে বন্ধ না করলে, তার চড়া মূল্য দিতে হবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে।
.
নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের ভূমিকা পর্যালোচনা করলে স্পষ্টই বোঝা যায় যে, উপাচার্যগণ যৌক্তিক আন্দোলন দমন করবার মধ্য দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়কে অনুগত দাস তৈরি করবার কারখানা করে রাখবার প্রত্যয় নিয়েই উপাচার্যের আসনে আসীন হন।
.
বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন মনে করে, যত হামলা-মামলা-হুমকিই আসুক না কেন, বিরাজনীতিকরণের এই চক্রান্তের শিকল ছিঁড়ে শিক্ষার্থীরা যুথবদ্ধ হয়ে তাদের অধিকার আদায়ের সংগ্রামকে আরো শক্তিশালী করবে।
Tag :