বাগেরহাটে বাঘের চামড়াসহ পাচারকারী আটক

  • Update Time : ১২:৩৭:০৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ জানুয়ারী ২০২১
  • / 134

বাগেরহাট শরণখোলায় একটি বাঘের চামড়াসহ গাউস ফকির (৫২) নামের এক পাচারকারীকে আটক করেছে র‌্যাব ও বন বিভাগ। উদ্ধার হওয়া বাঘের চামড়াটির দৈর্ঘ ৮ ফুট ১ ইঞ্চি এবং প্রস্ত ৪ ফুট ১ ইঞ্চি।

আসামিকে মঙ্গলবার (১৯ জানুয়ারি) মধ্যরাতে উপজেলার রাজৈর বাসস্টান্ড এলাকা থেকে আটক করা হয়। আসামি উপজেলার দক্ষিন সাউথখালী গ্রামের রশিদ ফকিরের পুত্র। আসামি গাউস ফকিরকে আজ বুধবার (২০ জানুয়ারি) দুপুরে তাকে আদালতে প্রেরন করা হয়েছে।

গ্রেফতার হওয়া গাউস ফকির জানান, তিনি পেশায় একজন জেলে। উপজেলার সোনাতলা গ্রামের অহিদুল ও দক্ষিন সাউথখালী গ্রামের ওবায়দুল করিম নামের দুই ব্যক্তি বাঘের চামড়াটি তাকে বিক্রি করতে দিয়েছে। চামড়াটি বিক্রি করলে তাকে দেড় লাখ টাকা কমিশন দেয়া হবে।

পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মুহাম্মদ বেলায়েত হোসেন জানান, শরণখোলা রেঞ্জের বনরক্ষীরা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গত শনিবার থেকে চারদিন ধরে বিভিন্ন এলাকায় আটক পাচারকারীকে অনুসরণ করতে থাকেন। র্সোসের মাধ্যমে পাচারকারীর সাথে চামড়াটি ১৩ লাখ টাকায় ক্রয় করার চুক্তি করে ফাঁদ পাতেন বনরক্ষীরা। ওই ফাঁদে পাঁ দেয় বাঘ শিকারী গাউস ফকির। এক পর্যায়ে সে চামড়া নিয়ে আসার কথা জানালে শরণখোলা রেঞ্জ কর্মকর্তার নেতৃত্বে বনরক্ষীদের একটি দল ও র‌্যাব-৮ এর একটি দল পূর্ব থেকে ওই এলাকায় ওৎ পেতে থাকে। চুক্তি অনুযায়ী ১৩ লাখ টাকা নিয়ে আসার কথা জানানো হলে গাউস ফকিরও বাঘের চামড়া নিয়ে সেখানে হাজির হয়। এসময় চারিদিক থেকে ঘিরে ফেলে তাকে চামড়া সহ হাতেনাতে আটক করতে সক্ষম হয় যৌথ বাহিনী।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


বাগেরহাটে বাঘের চামড়াসহ পাচারকারী আটক

Update Time : ১২:৩৭:০৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ জানুয়ারী ২০২১

বাগেরহাট শরণখোলায় একটি বাঘের চামড়াসহ গাউস ফকির (৫২) নামের এক পাচারকারীকে আটক করেছে র‌্যাব ও বন বিভাগ। উদ্ধার হওয়া বাঘের চামড়াটির দৈর্ঘ ৮ ফুট ১ ইঞ্চি এবং প্রস্ত ৪ ফুট ১ ইঞ্চি।

আসামিকে মঙ্গলবার (১৯ জানুয়ারি) মধ্যরাতে উপজেলার রাজৈর বাসস্টান্ড এলাকা থেকে আটক করা হয়। আসামি উপজেলার দক্ষিন সাউথখালী গ্রামের রশিদ ফকিরের পুত্র। আসামি গাউস ফকিরকে আজ বুধবার (২০ জানুয়ারি) দুপুরে তাকে আদালতে প্রেরন করা হয়েছে।

গ্রেফতার হওয়া গাউস ফকির জানান, তিনি পেশায় একজন জেলে। উপজেলার সোনাতলা গ্রামের অহিদুল ও দক্ষিন সাউথখালী গ্রামের ওবায়দুল করিম নামের দুই ব্যক্তি বাঘের চামড়াটি তাকে বিক্রি করতে দিয়েছে। চামড়াটি বিক্রি করলে তাকে দেড় লাখ টাকা কমিশন দেয়া হবে।

পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মুহাম্মদ বেলায়েত হোসেন জানান, শরণখোলা রেঞ্জের বনরক্ষীরা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গত শনিবার থেকে চারদিন ধরে বিভিন্ন এলাকায় আটক পাচারকারীকে অনুসরণ করতে থাকেন। র্সোসের মাধ্যমে পাচারকারীর সাথে চামড়াটি ১৩ লাখ টাকায় ক্রয় করার চুক্তি করে ফাঁদ পাতেন বনরক্ষীরা। ওই ফাঁদে পাঁ দেয় বাঘ শিকারী গাউস ফকির। এক পর্যায়ে সে চামড়া নিয়ে আসার কথা জানালে শরণখোলা রেঞ্জ কর্মকর্তার নেতৃত্বে বনরক্ষীদের একটি দল ও র‌্যাব-৮ এর একটি দল পূর্ব থেকে ওই এলাকায় ওৎ পেতে থাকে। চুক্তি অনুযায়ী ১৩ লাখ টাকা নিয়ে আসার কথা জানানো হলে গাউস ফকিরও বাঘের চামড়া নিয়ে সেখানে হাজির হয়। এসময় চারিদিক থেকে ঘিরে ফেলে তাকে চামড়া সহ হাতেনাতে আটক করতে সক্ষম হয় যৌথ বাহিনী।