ফরিদগঞ্জ পৌর নির্বাচনে হাতপাখার মেয়র প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা দেলোয়ার হোসেন

  • Update Time : ১০:১৬:৩৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২০ জানুয়ারী ২০২১
  • / 140
ফরিদগঞ্জ সংবাদদাতা:
আসন্ন ফরিদগঞ্জ পৌরসভার নির্বাচনে মেয়র পদে হাতপাখা প্রতীকে মনোনয়ন পেয়েছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ফরিদগঞ্জ উপজেলার উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ দেলোয়ার হোসেন।২০১৫ সালের পৌর নির্বাচনেও তিনি হাতপাখা প্রতীকে ভোটের মাঠে ছিলেন।
.
ফরিদগঞ্জ পৌর নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন পেয়েছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল খায়ের পাটোয়ারী আর বিএনপির ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচন করবেন ইমাম হোসেন।
.
মনোনয়ন প্রত্যাশীদের নানা জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে প্রতীক প্রার্থী চূড়ান্ত হয়ে গেছে। এবার পালা ভোটের মাধ্যমে জয়-পরাজয় নির্ধারণ।
.
মুহাম্মদ আতাউল গনি ওসমানি স্বাক্ষরিত মুক্তিযুদ্ধের সনদপত্রে দেখা যায়, মোঃ দেলোয়ার হোসেন ১৯৭১ সালে একজন বীর সৈনিক হিসেবে ২নং সেক্টরে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। যুদ্ধকালীন প্রশিক্ষকের নাম সুবেদার এমএ করিম। যুদ্ধকালীন প্রশিক্ষণ শিবিরের নাম ফরিদগঞ্জ এআর পাইলট মাঠ। মুক্তিযুদ্ধকালে সময়ে তার সাথে থাকা অন্য সহযোদ্ধাদের নাম খলিলুর রহমান, মোহাম্মদ হারুনুর রশিদ ও মনির আহমেদ।
.
বীর মুক্তিযোদ্ধা দেলোয়ার হোসেন ১৯৪৯ সালে ফরিদগঞ্জ পৌরসভা চরকুমিরা এলাকায় জন্মগ্রহণ করেন। পিতার নাম ক্বারী মোহাম্মদ উল্লাহ। উপজেলার সকল ধর্ম, বর্ণের মানুষের কাছে মরহুম ক্বারী মোহাম্মদ উল্লাহর সুনাম খ্যাতি বিদ্যমান আছে। ইসলাম ধর্ম প্রচার এবং মানবিক, সামাজিক কাজে মরহুম ক্বারী মোহাম্মদ উল্লাহর অবদান এলাকাবাসীর কাছে অনস্বীকার্য। তাঁর দেখানো পথে হাতপাখা প্রার্থী মোঃ দেলোয়ার ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে ২নং সেক্টরে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন।
.
জানা গেছে, ফরিদগঞ্জ পৌরসভায় এবারের নির্বাচনে দুই দলের দুজন মুক্তিযোদ্ধা ভোটের মাঠে অংশগ্রহণ করতে যাচ্ছেন। হাতপাখা প্রার্থী মোঃ দেলোয়ার হোসেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ফরিদগঞ্জ উপজেলার সাবেক সভাপতি ও বাংলাদেশ মুজাহিদ কমিটির উপজেলা সাবেক সভাপতি পদে দীর্ঘদিন দায়িত্ব পালন করেছেন।
.
হাতপাখার মেয়র প্রার্থী মোঃ দেলোয়ার হোসেন বলেন, আমি ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধে ২নং সেক্টরে প্রত্যক্ষভাবে অংশগ্রহণ করেছি। আমার উদ্দেশ্য ছিলো দেশকে স্বাধীন করা। মুক্তিযুদ্ধের সনদপত্রে নাম লেখানোর জন্যে আমি যুদ্ধে যাইনি। যুদ্ধ পরবর্তীকালে অনেকে, অনেক দল মতের সাথে যোগ দিয়ে আখের গুছিয়েছে। আমার পক্ষে নয়-ছয় করা সম্ভব হয়নি। যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছি, দেশ স্বাধীন হয়ে গেছে, এখানেই প্রাপ্তি। এখন প্রয়োজন মনে হলে রাষ্ট্র আমার খোঁজ নিবে। যেহেতু আমার নাম, সেক্টর ইত্যাদি রাষ্ট্রের নথিপত্রে সংযুক্ত আছে।
.
তিনি আরোও বলেন, ফরিদগঞ্জ পৌরসভা হচ্ছে জেলার মধ্যে একটা বিস্তৃত আয়তন নিয়ে গঠিত পৌরসভা। দীর্ঘদিন ধরে এই পৌরসভায় তেমন উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। উদ্দেশ্য যদি গন্তব্যবিহীন হয়, উন্নয়ন সেখানে ধরাছোঁয়ার বাইরেই থেকে যাবে। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ থেকে আমাকে ফরিদগঞ্জ পৌরসভায় মনোনয়ন দেয়া হয়েছে। পৌরবাসী বিগত দিনগুলোতে তাদের পছন্দের জনপ্রতিনিধিকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করে দেখেছেন যে, উন্নয়নের ফলাফল কী ঘটেছে।
.
উন্নয়ন বলতে শুধুমাত্র অর্থনৈতিক সফলতাই যথেষ্ট নয়। সামাজিক, মানবিক, পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ, ধর্মীয় মূল্যবোধ_এ সকল বিষয়গুলো স্বয়ংসম্পন্ন হয়ে গেলেই বাস্তবিক উন্নয়নের ফলাফল ভোগ করা সম্ভব। আর এমন সব কাজগুলো প্রতিষ্ঠিত করতে হলে অবশ্যই ইসলামী আন্দালন বাংলাদেশের বিকল্প নেই। মহান রব যদি প্রিয় পৌরবাসীর ভোটের মাধ্যমে আমাকে বিজয়ী করে দেয়, অবশ্যই আমি ফরিদগঞ্জ পৌরসভায় অর্থনৈতিক, সামাজিক, মানবিক কাজে সফলতা আনবো ইনশাআল্লাহ।
Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


ফরিদগঞ্জ পৌর নির্বাচনে হাতপাখার মেয়র প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা দেলোয়ার হোসেন

Update Time : ১০:১৬:৩৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২০ জানুয়ারী ২০২১
ফরিদগঞ্জ সংবাদদাতা:
আসন্ন ফরিদগঞ্জ পৌরসভার নির্বাচনে মেয়র পদে হাতপাখা প্রতীকে মনোনয়ন পেয়েছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ফরিদগঞ্জ উপজেলার উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ দেলোয়ার হোসেন।২০১৫ সালের পৌর নির্বাচনেও তিনি হাতপাখা প্রতীকে ভোটের মাঠে ছিলেন।
.
ফরিদগঞ্জ পৌর নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন পেয়েছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল খায়ের পাটোয়ারী আর বিএনপির ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচন করবেন ইমাম হোসেন।
.
মনোনয়ন প্রত্যাশীদের নানা জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে প্রতীক প্রার্থী চূড়ান্ত হয়ে গেছে। এবার পালা ভোটের মাধ্যমে জয়-পরাজয় নির্ধারণ।
.
মুহাম্মদ আতাউল গনি ওসমানি স্বাক্ষরিত মুক্তিযুদ্ধের সনদপত্রে দেখা যায়, মোঃ দেলোয়ার হোসেন ১৯৭১ সালে একজন বীর সৈনিক হিসেবে ২নং সেক্টরে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। যুদ্ধকালীন প্রশিক্ষকের নাম সুবেদার এমএ করিম। যুদ্ধকালীন প্রশিক্ষণ শিবিরের নাম ফরিদগঞ্জ এআর পাইলট মাঠ। মুক্তিযুদ্ধকালে সময়ে তার সাথে থাকা অন্য সহযোদ্ধাদের নাম খলিলুর রহমান, মোহাম্মদ হারুনুর রশিদ ও মনির আহমেদ।
.
বীর মুক্তিযোদ্ধা দেলোয়ার হোসেন ১৯৪৯ সালে ফরিদগঞ্জ পৌরসভা চরকুমিরা এলাকায় জন্মগ্রহণ করেন। পিতার নাম ক্বারী মোহাম্মদ উল্লাহ। উপজেলার সকল ধর্ম, বর্ণের মানুষের কাছে মরহুম ক্বারী মোহাম্মদ উল্লাহর সুনাম খ্যাতি বিদ্যমান আছে। ইসলাম ধর্ম প্রচার এবং মানবিক, সামাজিক কাজে মরহুম ক্বারী মোহাম্মদ উল্লাহর অবদান এলাকাবাসীর কাছে অনস্বীকার্য। তাঁর দেখানো পথে হাতপাখা প্রার্থী মোঃ দেলোয়ার ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে ২নং সেক্টরে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন।
.
জানা গেছে, ফরিদগঞ্জ পৌরসভায় এবারের নির্বাচনে দুই দলের দুজন মুক্তিযোদ্ধা ভোটের মাঠে অংশগ্রহণ করতে যাচ্ছেন। হাতপাখা প্রার্থী মোঃ দেলোয়ার হোসেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ফরিদগঞ্জ উপজেলার সাবেক সভাপতি ও বাংলাদেশ মুজাহিদ কমিটির উপজেলা সাবেক সভাপতি পদে দীর্ঘদিন দায়িত্ব পালন করেছেন।
.
হাতপাখার মেয়র প্রার্থী মোঃ দেলোয়ার হোসেন বলেন, আমি ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধে ২নং সেক্টরে প্রত্যক্ষভাবে অংশগ্রহণ করেছি। আমার উদ্দেশ্য ছিলো দেশকে স্বাধীন করা। মুক্তিযুদ্ধের সনদপত্রে নাম লেখানোর জন্যে আমি যুদ্ধে যাইনি। যুদ্ধ পরবর্তীকালে অনেকে, অনেক দল মতের সাথে যোগ দিয়ে আখের গুছিয়েছে। আমার পক্ষে নয়-ছয় করা সম্ভব হয়নি। যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছি, দেশ স্বাধীন হয়ে গেছে, এখানেই প্রাপ্তি। এখন প্রয়োজন মনে হলে রাষ্ট্র আমার খোঁজ নিবে। যেহেতু আমার নাম, সেক্টর ইত্যাদি রাষ্ট্রের নথিপত্রে সংযুক্ত আছে।
.
তিনি আরোও বলেন, ফরিদগঞ্জ পৌরসভা হচ্ছে জেলার মধ্যে একটা বিস্তৃত আয়তন নিয়ে গঠিত পৌরসভা। দীর্ঘদিন ধরে এই পৌরসভায় তেমন উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। উদ্দেশ্য যদি গন্তব্যবিহীন হয়, উন্নয়ন সেখানে ধরাছোঁয়ার বাইরেই থেকে যাবে। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ থেকে আমাকে ফরিদগঞ্জ পৌরসভায় মনোনয়ন দেয়া হয়েছে। পৌরবাসী বিগত দিনগুলোতে তাদের পছন্দের জনপ্রতিনিধিকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করে দেখেছেন যে, উন্নয়নের ফলাফল কী ঘটেছে।
.
উন্নয়ন বলতে শুধুমাত্র অর্থনৈতিক সফলতাই যথেষ্ট নয়। সামাজিক, মানবিক, পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ, ধর্মীয় মূল্যবোধ_এ সকল বিষয়গুলো স্বয়ংসম্পন্ন হয়ে গেলেই বাস্তবিক উন্নয়নের ফলাফল ভোগ করা সম্ভব। আর এমন সব কাজগুলো প্রতিষ্ঠিত করতে হলে অবশ্যই ইসলামী আন্দালন বাংলাদেশের বিকল্প নেই। মহান রব যদি প্রিয় পৌরবাসীর ভোটের মাধ্যমে আমাকে বিজয়ী করে দেয়, অবশ্যই আমি ফরিদগঞ্জ পৌরসভায় অর্থনৈতিক, সামাজিক, মানবিক কাজে সফলতা আনবো ইনশাআল্লাহ।