মে থেকে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে আশাবাদী বাংলাদেশ

  • Update Time : ০১:১৫:১৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২০ জানুয়ারী ২০২১
  • / 123
নিজস্ব প্রতিনিধি:
মিয়ানমার নমনীয় হওয়ায় মে থেকে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে আশাবাদী বাংলাদেশ। তবে ত্রিদেশীয় বৈঠকের পরও অনিশ্চয়তা রয়েই গেলো।
.

প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া ঠিক করতে আগামী মাসে আবারও বৈঠকে বসবে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার। চীনের মধ্যস্থতায় ত্রিপক্ষীয় বৈঠক শেষে এসব কথা বলেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন। সচিব জানান, মিয়ানমার তাদের নাগরিকদের ফিরিয়ে নিতে আগের চেয়ে ইতিবাচক মনোভাব দেখিয়েছে।
.
আগে দুবার ভেস্তে গেছে প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া। চীনের মধ্যস্থতায় দেড়ঘন্টার বৈঠকের পরও নতুন করে কোনও দিন তারিখ নির্ধারন করা যায়নি তবে পররাষ্ট্র সচিব বলছেন, মিয়ানমারের আচরনে ইতিবাচক পরিবর্তন এসেছে।
.
বৈঠকের সিদ্ধান্ত গুলো সম্পর্কে সচিব মাসুদ বিন মোমেন বলেন, দ্রুত সমাধান খুঁজে বের করতে ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহের মধ্যে ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠক হবে। দুই দেশের ডিজিদের মধ্যে হটলাইন চালু হবে, যাচাই- বাছাই প্রক্রিয়া তরান্বিত করা হবে এবং গ্রাম বা এলাকাভিত্তিক ভাবে প্রথম ব্যাচের প্রত্যাবাসন হবে। এছাড়া আগামী মাসেই সচিব পর্যায়ের আরেকটি বৈঠক হবারও কথা রয়েছে।
.
তিনি আরও বলেন, ব্যক্তিগতভাবে আমি কশাসলি অপটিমিস্টিক, আমাদের ডিপ্লোমেটিক ভাষায় বলে- আমরা চেষ্টা করে যাব, উইথ অল আওয়ার হার্ট অ্যান্ড সউল।

দ্বিপক্ষীয় যে চুক্তি আছে, তা যদি অক্ষরে অক্ষরে পালিত হয়, সেখানে ১০ লাখের বেশিমানুষকে নিয়ে যেতে বছরের পর বছর লেগে যাবে। গত তিন বছরে ৯০ হাজার নতুন বাচ্চাও জন্মগ্রহণ করেছে। সুতরাং এই টোটাল নম্বরটা বাড়তে থাকবে, অনেক জটিলতা আসতে থাকবে। দ্রুত শুরু করাটার বিকল্প নাই। আরসা’ নিয়ে মিয়ানমার তাদের উদ্বিগ্নতা জানিয়েছে যদিও বাংলাদেশ সন্ত্রাসী কোনও কর্মকান্ড সমর্থন করেনা বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র সচিব।
.
চীন তার নিজ স্বার্থেই রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে ভূমিকা রাখবে বলে জানান মাসুদ বিন মোমেন।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


মে থেকে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে আশাবাদী বাংলাদেশ

Update Time : ০১:১৫:১৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২০ জানুয়ারী ২০২১
নিজস্ব প্রতিনিধি:
মিয়ানমার নমনীয় হওয়ায় মে থেকে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে আশাবাদী বাংলাদেশ। তবে ত্রিদেশীয় বৈঠকের পরও অনিশ্চয়তা রয়েই গেলো।
.

প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া ঠিক করতে আগামী মাসে আবারও বৈঠকে বসবে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার। চীনের মধ্যস্থতায় ত্রিপক্ষীয় বৈঠক শেষে এসব কথা বলেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন। সচিব জানান, মিয়ানমার তাদের নাগরিকদের ফিরিয়ে নিতে আগের চেয়ে ইতিবাচক মনোভাব দেখিয়েছে।
.
আগে দুবার ভেস্তে গেছে প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া। চীনের মধ্যস্থতায় দেড়ঘন্টার বৈঠকের পরও নতুন করে কোনও দিন তারিখ নির্ধারন করা যায়নি তবে পররাষ্ট্র সচিব বলছেন, মিয়ানমারের আচরনে ইতিবাচক পরিবর্তন এসেছে।
.
বৈঠকের সিদ্ধান্ত গুলো সম্পর্কে সচিব মাসুদ বিন মোমেন বলেন, দ্রুত সমাধান খুঁজে বের করতে ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহের মধ্যে ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠক হবে। দুই দেশের ডিজিদের মধ্যে হটলাইন চালু হবে, যাচাই- বাছাই প্রক্রিয়া তরান্বিত করা হবে এবং গ্রাম বা এলাকাভিত্তিক ভাবে প্রথম ব্যাচের প্রত্যাবাসন হবে। এছাড়া আগামী মাসেই সচিব পর্যায়ের আরেকটি বৈঠক হবারও কথা রয়েছে।
.
তিনি আরও বলেন, ব্যক্তিগতভাবে আমি কশাসলি অপটিমিস্টিক, আমাদের ডিপ্লোমেটিক ভাষায় বলে- আমরা চেষ্টা করে যাব, উইথ অল আওয়ার হার্ট অ্যান্ড সউল।

দ্বিপক্ষীয় যে চুক্তি আছে, তা যদি অক্ষরে অক্ষরে পালিত হয়, সেখানে ১০ লাখের বেশিমানুষকে নিয়ে যেতে বছরের পর বছর লেগে যাবে। গত তিন বছরে ৯০ হাজার নতুন বাচ্চাও জন্মগ্রহণ করেছে। সুতরাং এই টোটাল নম্বরটা বাড়তে থাকবে, অনেক জটিলতা আসতে থাকবে। দ্রুত শুরু করাটার বিকল্প নাই। আরসা’ নিয়ে মিয়ানমার তাদের উদ্বিগ্নতা জানিয়েছে যদিও বাংলাদেশ সন্ত্রাসী কোনও কর্মকান্ড সমর্থন করেনা বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র সচিব।
.
চীন তার নিজ স্বার্থেই রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে ভূমিকা রাখবে বলে জানান মাসুদ বিন মোমেন।